বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ ও প্রতিকার

 পাঠক,আপনি কি বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানেন চাইছেন?যদি জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে।আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে আমি বিস্তারিত আলোচনা করব।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা
এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।সুতরাং সময় নষ্ট না করে জেনে নিন বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ ও এর প্রতিকার সম্পর্কে।আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক উপকারী হবে।তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারন ও প্রতিকার সম্পর্কে।

ভুমিকা

একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ড বা রাষ্ট্রের স্থায়ীভাবে বসবাসকারী মোট মানুষের সংখ্যাকে জনসংখ্যা বলে।একটি রাষ্ট্রে মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াকে জনসংখ্যা বৃদ্ধি বলা হয়।বাংলাদেশের জনসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে।জনসংখ্যা এভাবে প্রতিনিয়ত বাড়ার কারণে আমাদের দেশ হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা জনসংখ্যার বৃদ্ধির কারণ গুলো সম্পর্কে তেমন জানেন না। এবং এর প্রতিকারে করণীয় দিক সম্পর্কে অবগত না।

যার জন্য বাংলাদেশের জনসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।আমার এই আর্টিকেলটি আজ তাদের জন্য।যারা এদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ গুলো সম্পর্কে জানতে চান ও এর প্রতিকারে সচেতন হতে চান।সুতরাং জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে যদি বিস্তারিত জানতে চান।তাহলে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে ধৈর্য ধরে পড়ুন। আশা করি আর্টিকেলটি পড়তে আপনার ভালো লাগবে।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ কি কি

অশিক্ষা ও অজ্ঞতারগবেষণায় দেখা গেছে শিক্ষা ক্ষেত্রে অজ্ঞতার কারণে জনসংখ্যার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।আমাদের নারী সমাজে নারীদের অশিক্ষা এদেশের জন্ম হারকে দ্বিগুণ করছে।নাইলে অশিক্ষিত হওয়ার কারণে জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

জন্ম হার ও মৃত্যুহার এর পার্থক্যঃজন্ম হলো মৃত্যুহার এর অসঙ্গতির কারণে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের মৃত্যুহার দিন দিন কম হলেও জন্ম হার সে অনুপাতে কম হচ্ছে না।চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে বাংলাদেশে মৃত্যুহার কয়েক বছরে কমে গেছে।জন্মহার বেশি এবং মৃত্যুহার কম এর ফলে প্রতিবছর জনসংখ্যা বেড়ে চলেছে।জরিপে দেখা গেছে প্রতি বছর ২.৫২% হারে জন্মগ্রহণ করছে এবং মারা যাচ্ছে ১.৯৬% হারে।

দারিদ্রতাঃদারিদ্রতা জনসংখ্যা বৃদ্ধির একটি অন্যতম কারণ।বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে।দারিদ্রতার কারণে এদেশের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা সুযোগ পাই না ফলে তারা অশিক্ষিত থেকে যায়।অশিক্ষিত হওয়ার ফলে তাদের মধ্যে শিক্ষা,স্বাস্থ,বিনোদন ইত্যাদি ক্ষেত্রে উৎসের অভাব দেখা দেয় ফলে জনসংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে।

ভৌগোলিক প্রভাবঃবাংলাদেশের জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ।এই ভৌগোলিক ও জলবায়ুর প্রভাবের কারণে বাংলাদেশের ছেলে মেয়েরা খুব দ্রুত প্রজনন ক্ষমতা অর্জন করে।যার কারণে বাবা মা সন্তানদের অল্প বয়সে অর্থাৎ ১২ থেকে ১৩ বছর বয়সেই বিয়ে দিয়ে দেন।অল্প বয়সে বিয়ের পর তারা গর্ভধারণ করে এবং সন্তানের জন্ম দেয় ফলে জনসংখ্যা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

বাল্যবিবাহঃবাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলে বাল্যবিবাহের প্রচলন খুব বেশি।বাল্যবিবাহ কিছু কিছু শহর অঞ্চলেও প্রচলিত আছে।বাল্যকালেই মেয়েদের বিয়ের প্রচলন আদিকাল থেকে চলে আসছে।এই বাল্যবিবাহের ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কৃষি ভিত্তিক সমাজের কারণেঃবাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ।কৃষি প্রধান দেশে হওয়ার কারনে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল।এই কৃষি কাজের উপর ভিত্তি করে কৃষকদের কৃষি কাজের জন্য অনেক জনবলের প্রয়োজন হয়।এর জন্য কৃষক পরিবার গুলোতে পুত্র সন্তানের আশায় একের পর এক সন্তান জন্ম দিয়ে থাকেন ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

ধর্মীয় বিশ্বাস ও কুসংস্কারঃধর্মীয় বিশ্বাস ও কুসংস্কার এবং বিভিন্ন রকম সামাজিক মূল্যবোধের কারণে এদেশের জনসংখ্যা দিব দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।ধর্মীয় বিশ্বাসকে কেন্দ্র করে একে অপরকে সন্তান জন্মদানে উৎসাহিত করা হয় ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসঃবিশেষজ্ঞ ও পুষ্টিবিদদের মতে বাংলাদেশের জনগণ অধিক পরিমাণ শ্বেতসার এবং সামান্য পরিমাণ আমিষ জাতীয় খাবার খান।অধিক পরিমাণে শ্বেতসার খাওয়ার ফলে দেশের ছেলে মেয়েদের প্রজনন ক্ষমতা বেশি হয় যা জন্মহারকে প্রভাবিত করতে সাহায্য করে।

বিনোদনের অভাবঃবাংলাদেশের প্রতত্ব গ্রাম অঞ্চলে বিনোদনের তেমন সুযোগ নেই বললেই চলে। এজন্য যৌন আকাঙ্ক্ষাকে বিনোদনের উপায় হিসাবে খুঁজে এবং গ্রহণ করে।এর ফলে ছেলেমেয়েরা একে অপরের সাথে যৌন আকাঙ্ক্ষায় লিপ্ত হয় এবং প্রজনন হার বৃদ্ধি পায়।

নারীশিক্ষার অভাবঃউন্নত দেশে নারী শিক্ষার হার বেশি যার ফলে সেখানে জনসংখ্যার হার খুবই কম। অপরদিকে অনুন্নত ও দরিদ্র দেশগুলোতে নারী শিক্ষার অভাব রয়েছে।এই নারীশিক্ষা অভাবের অন্যতম কারণ হলো জনসংখ্যা বৃদ্ধি।নারীরা প্রকৃত শিক্ষা অর্জন না করার ফলস্বরূপ তারা জনসংখ্যা বৃদ্ধির কুফল সম্পর্কে অনুধাবন করেন না।

নিম্ন জীবনযাত্রা কারণেঃবাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান নিম্ন পর্যায়ের।এদেশের প্রায় ৯০ ভাগ লোক নিম্নমানের জীবনযাপন করে থাকেন।জীবন যাত্রার মান সম্পর্কে কোন ধারণা নেই বলে তারা অধিক সন্তান জন্ম দিতে দ্বিধাবোধ করেন না।

যৌথ পরিবার ব্যবস্থাঃযৌথ পরিবার ব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশ উচ্চ জন্মহারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।গ্রাম অঞ্চলে যৌথ পরিবারের সন্তান জন্মদান এবং তাদের লালন পালনে ব্যয় খুব কম হয়।তাই যৌথ পরিবারের লোকজনের কাছে অধিক সন্তান জন্মদান তেমন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয় না।

পুত্র সন্তানের আকাঙ্ক্ষাঃএদেশের বেশিরভাগ পিতা-মাতা পুত্র সন্তান কামনা করেন।তাদের এই লক্ষ্য অর্থাৎ পুত্র সন্তান না হওয়া পর্যন্ত তারা সন্তান জন্দান করতে থাকেন এর ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

সামাজিক নিরাপত্তার প্রভাবঃসামাজিক নিরাপত্তার প্রভাবের কারণে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়।এদেশে সামাজিক নিরাপত্তা তেমন নাই বললেই চলে।বাবা -মা ভাবেন বৃদ্ধ বয়সে সন্তান তাদের ভরণ- পোষণ করবেন এ চিন্তা করে তারা অধিক সন্তানের জন্ম দেয়।

পরিবার পরিকল্পনা শিক্ষার অভাবঃপরিবার পরিকল্পনা শিক্ষার অভাবের কারণে এদেশের জনগণ অধিক সন্তান গ্রহণ করে থাকে।বেশিরভাগ নব দম্পতি পরিবার পরিকল্পনার শিক্ষা গ্রহণ করেন না ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

শিশু মৃত্যুর হারঃএদেশের শিশু মৃত্যুর হার অনেক বেশি।অনেক শিশু জন্মের পর মারা যান।এজন্য বাবা মা বেশি সন্তানের জন্ম দেন।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব

যে কোনো দেশের উন্নয়ন,অগ্রগতি,অর্থনৈতিক কর্মকান্ড এবং জীবনযাত্রার মান সে দেশের জনগণের উপর নির্ভর করে।দেশের ভৌগোলিক অবকাঠামো ও সম্পদে তুলনায় যদি জনসংখ্যা অধিক হয় তাহলে সে দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হয়।বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব নিম্নলিখিত সমস্যার সৃষ্টি করেঃ
  • খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়
  • বেকারত্ব বৃদ্ধি পায়
  • মাথাপিছু আয় হ্রাস পায়
  • শিক্ষার অভাব
  • চিকিৎসার অভাব দেয়
  • মূলধন গঠনে বাধা সৃষ্টি হয়
  • পুষ্টিহীনতায় ভোগে
  • সুবিধালাভে বঞ্চিত হয়
  • চলাফেরায় অসুবিধা সৃষ্টি হয়
  • জীবনীশক্তি হ্রাস পায়
  • দুর্ভিক্ষ,মহামারি দেখা দেয়
  • মূল্যবােধে চিড় ধরে
  • কৃষিজমির পরিমাণ হ্রাস পায়
  • ভূমির খণ্ড-বিখণ্ডতা বৃদ্ধি
  • ভূমিহীন মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়
  • শিল্পোন্নয়নে বাধার সম্মুখিন হয়
  • কাঁচামাল উৎপাদন ব্যাহত
  • চাহিদাবৃদ্ধিজনিত মুদ্রাস্ফীতি
  • বাসস্থানের সমস্যা হয়
  • পরনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি
  • পরিবেশদূষণ হয়
  • প্রতিযােগিতার রেষারেষি তীব্র হওয়া
  • সামাজিক অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি
  • বিদেশি ঋণ বৃদ্ধি

বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রতিকার

এদেশে জনসংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।জনসংখ্যা বৃদ্ধি বিস্ফোরক আকার ধারণ করেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রতিকার প্রায় অসম্ভব।তবে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনে।জনগণের সচেতনতার মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার একটু হলেও সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব হবে।চলুন জেনে নেয়া যাক জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রতিকার বা নিয়ন্ত্রম সম্পর্কে।নিম্নে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

  • শিক্ষা বিস্তার করাঃ জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রতিরোধে প্রধান হাতিয়ার হলো শিক্ষা বিস্তার।শিক্ষিত জনগণ তার নিজ দেশ সম্পর্কে ও তাদের জীবনযাত্রা মান সম্পর্কে উপলব্ধি করতে পারে। শিক্ষিত জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের মাধ্যমে তার নিজ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রসার ঘটাতে পারে।এছাড়া শিক্ষিত নারী যখন কর্ম ক্ষেত্রে প্রবেশ করে তখন তাদের মধ্যে অধিক সন্তান জন্ম দেওয়ার প্রবণতা এমনিতেই কমে যায়।
  • ধর্মীয় মূল্যবোধ ও কুসংস্কার দূরীকরণঃএদেশের মানুষ ধর্মে বিশ্বাসী। ধর্মের প্রতি তাদের স্বচ্ছ ও সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে তারা কুসংস্কারে নিমজ্জিত হয়। তাই স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের কাজে লাগিয়ে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও কুসংস্কার দূরীকরণ করতে হবে।
  • বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ রোধঃবাংলাদেশের বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ রোধ করতে পারলে জনসংখ্যার হার অনেকটা কমে যাবে।তাই অল্প বয়সে ছেলে মেয়েদের বিয়ে না দিয়ে সঠিক সময়ে বিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।ছেলেদের ক্ষেত্রে ২০ বছর ও মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পর তাদের বিয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
  • পরিবার পরিকল্পনার শিক্ষা বিস্তারঃপরিবার পরিকল্পনার শিক্ষা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। জন্মনিয়ন্ত্রণের উপকরণ সমূহ মানুষের কাছে সহজলভ্য করতে হবে।বিশেষ করে নারীদের মাঝে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী বিনামূল্যে বা ফ্রিতে সরবরাহ করার ব্যবস্থা করতে হবে।তাহলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করা যাবে।
  • সচেতনতা বৃদ্ধিঃজনগণকে জন্ম নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।বিভিন্ন রকম প্রচারের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।পরিবার পরিকল্পনা,টেলিভিশন, রেডিও,খবরের কাগজ ইত্যাদি বিভিন্ন রকম মাধ্যম দ্বারা জনগণকে সচেতন করতে হবে।
  • আইন প্রণয়ন ও শাস্তির বিধানঃবাংলাদেশে বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহের উপর কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।একই সাথে সরকারকে সন্তান কয়টা সন্তান দেওয়া যাবে সেটা নির্ধারণ করে দিতে হবে।
  • খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনঃযে সকল খাদ্যগুলো আমাদের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।এর জন্য বিভিন্ন রকম সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
  • শিশু মৃত্যুরহার রোদঃশিশু মৃত্যুর কারণে পিতা মাতা অধিক সন্তান জন্ম দিয়ে থাকেন।তাই শিশু মৃত্যুর হার রোধ করতে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে এবং পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে হবে।
  • চিত্ত বিনোদনের ব্যবস্থা গ্রহণঃশহরসহ গ্রাম অঞ্চলগুলোতে চিত্ত বিনোদনের ব্যবস্থা করতে হবে। এর ফলে জনগণের মধ্যে সন্তান জন্মদান অনেকটা কমে যাবে।
  • বয়স্ক ভাতা প্রদানঃসরকারিভাবে বয়স্কদের ভাতা দেয়ার ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে। পিতা মাতা বৃদ্ধ বয়সে সন্তান নির্ভরশীল হয়ে পড়ে এজন্য তারা অতি সন্তান জন্ম দেয়।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠাক,আজকে আপনারা জানলেন বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।আশা করি আপনাদের এই আর্টকেলটি পড়ে ভালো লেগেছে এবং উপকৃত হয়েছেন। চাইলে আপনিও জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ ও প্রতিকারে সচেতন হতে পারেন। সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা জনসংখ্যা বৃদ্ধি অনেকটা কমিয়ে আনতে পারি। এরকম আরো ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমার এই ওয়েবসাইটটিতে ভিজিট করুন এবং প্রিয়জনদের শেয়ার দিয়ে পাশেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url