চায়ের অজানা ইতিহাস ও কালক্রমিক বিবর্তন
পাঠক মহোদয়,আপনাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা চা এর অজানা ইতিহাস সম্পর্কে জানেন না।যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে।আজ এই পোস্টের মাধ্যমে চা এর অজানা ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে যাচ্ছি ।
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক চা এর অজানা ইতিহাস ও এর পুষ্টিগুন সম্পর্কে।তাই এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পুরোটা পড়ুন।এখন দেরি না করে আসুন জেনে নেওয়া যাক চা এর অজানা ইতিহাস সম্পর্কে।
ভূমিকা
চা বাংলাদেশসহ পৃথির বিভিন্ন দেশে বহুল প্রচলিত একটি কোমল পানীয় হিসেবে সুপরিচিত।সকালে ঘুম থেকে উঠার পর আমাদের দিন শুরু হয় চা পানের মধ্য দিয়ে।ছোট বড় সকলের কাছে চা খুব প্রিয়।চা পানের পর আমরা তৃপ্তি বোধ করি এবং নতুন উদ্যামে কাজ করি।চা পছন্দ করে না এমন মানুষ খুজে পাওয়া কষ্টকর।আমাদের যেহেতু সকলের চা প্রিয় তাই কোন চায়ের পাতা ভালো,কোন চা খেলে আমাদের উপকার হয়,কোন চায়ের পাতার গ্রেড ভালো সেটা আমাদের জানা একান্ত প্রয়োজন।এই পোস্টটির পড়ার মাধ্যমে আপনি এসকল বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।
চা এর ইতিহাস
সর্বপ্রথম চীনে ১৬৫০ সালে বাণিজ্যিকভাবে চায়ের চাষ করা হয় এবং উৎপাদন শুরু হয়।এজন্য চীনকে চায়ের আদি জন্মভূমি ও মাতৃভূমি বলা হয়।তারপর সমগ্র ভারতবর্ষে চায়ের প্রথম চাষ শুরু হয় ১৮১৮ সালে।আর বাংলাদেসের সিলেট জেলায় সর্বপ্রথম চায়ের গাছ খুঁজে পাওয়া যায়।বাংলাদেশের সিলেট জেলার মালনীছড়ায় প্রথম সফলভাবে চা-চাষ করা হয়।
১৯৭১ সালে বাংলাদেসের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় চা-চাষ ও চা বাগানগুলো প্রায় ধ্বংসের পথে চলে যায়। বাংলাদেশের সর্বকালের মহানায়ক ও শ্রেষ্ট বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চা শিল্পকে টেকসই ও উন্নত খাতে দাঁড় করানোর জন্য নানা রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।দেশ স্বাধীনত হবার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে একটি টি ইন্ডাস্ট্রিজ ম্যানেজমেন্ট নামে কমিটি গঠন করেন।
সে সময় থেকে শুরু করে এ অবদি পর্যন্ত বিশ্বে বাংলাদেশের চায়ের সুমান ও গুরুত্ব রয়েছে।তাছাড়া বাংলাদেশ চা উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে খুব সুপরিচিত।বর্তমানে বাংলাদেশে চা-চাষ ও চায়ের বাজার প্রসারিত করতে বাংলাদেশে গড়ে উঠেছে একের পর এক ছোট বড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।এছাড়াও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং চা গবেষণা ইনস্টিটিউট ।
চা কে আবিষ্কার করে
চা আবিষ্কার হয়েছিল একেবারেই হঠাৎ করে।শেন নাং ছিলেন একজন চীনের সম্রাট।প্রথমদিকে তিনি বিভিন্ন রকম খামখেয়ালি কাজ করতেন।পরবর্তীতে তিনি বেশ স্বাস্থ্যসচেতন হয়ে উঠলেন। রাজ্যের সবাইকে তিনি সুস্থ্য থাকার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দিতেন এবং সবাইকে পানি পান করার আগে পানি ফুটিয়ে পান করতে বলতেন।এমনকি তিনি নিজেও ফুটানো পানি পান করতেন।একদিন রাজা খোলামেলা স্থানে গরম করা পানি পান করছিলেন হঠাৎ একটা পাতা তার পানির পাত্রে এসে পড়লো।
রাজা শেন নাং তার পাত্র থেকে পাতা তুলতে না তুলতেই তিনি দেখেন যে, পাত্রের পানি রঙ্গিন হয়ে গেছে রাজা শেন নাং দেখে অবাক হলেন।তিনি এই পানি পান করে সস্তিবোধ করলেন।এর পর তিনি সেই একই পাতা গরম পানিতে মিশিয়ে পান করতে লাগলেন।সে সময় রাজা এর নাম দেন চা।আর এভাবেই রাজা শেন নাং চা আবিষ্কার করেছিলেন খ্রিস্টপূর্ব ২৭৩২ সালে।
চা উৎপাদনে কোন দেশ প্রথম
বিশ্বের প্রতিটি দেশেই চা ব্যপক প্রচলিত।আর কম বেশি প্রতিটি দেশেই এর চাষ হয়ে থাকে।আমরা প্রায় সকলেই জানি চায়ের আবিষ্কার হয়েছে চীনে এবং সেখানেই চায়ের চাষ বেশি হয়ে থাকে।চা উৎপাদনে শীর্ষ দেশ চীন।পৃথিবীতে যে পরিমাণ চা উৎপাদন হয়,তার প্রাই ৪০ ভাগ চা চীনে উৎপাদন হয়।বিশ্বের যে সকল দেশ চা উৎপাদন করে না সে সকল দেশ চীন থেকে চা রপ্তানি করে।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত।ভারতের আসাম রাজ্যে সবথেকে চা বেশি উৎপন্ন হয়।এশিয়া মহাদেশের এই দুই দেশ চীন ও ভারত চা উৎপাদনের ৬০ ভাগ স্থান তাদের নিজেদের দখলে রেখেছে।এহাড়া বাংলাদেশেও প্রচুর চা-চাষ হয়।বাংলাদেশ চা উৎপাদনে ১০ম স্থানে রয়েছে।চা রপ্তানিকারক শীর্ষ দেশ হল- কেনিয়া ও শ্রীলংকা।এছাড়া যে সকল দেশে প্রচুর চা উৎপাদন করা হয় সে সকল দেশগুলো হলোঃ
- চায়না
- ইন্ডিয়া
- কেনিয়া
- শ্রীলংকা
- ভিয়েতনাম
- টার্কি
- ইন্দোনেশিয়া
- মায়ানমার
- ইরান
- বাংলাদেশ
চা পাতার গ্রেড চেনার উপায়
চা পান করার আগে আমদের চায়ের গ্রেড সম্পর্কে জানা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।ভালো গ্রেডের চা নির্ভর করে ভালো মানের চয়ের পারতার উপর।আমাদের চায়ের গ্রেড সম্পর্কে জানা থাকলে আমরা সহজেই কনো চায়ের প্যাকেটে লেখা গ্রেড দেখেই খুব সহজেই চায়ের ধরন সম্পর্কে বলে দিতে পারবো।এর ফলে নিজের স্বাদ,পছন্দ ও চাহিদার উপর ভিত্তি করে ভালো চা বেছে নিতে পারবো।
চা পাতার গ্রেডকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।এই গ্রেডটা নির্ভর করে উৎপাদনের পদ্ধতির উপর।আমরা প্রতিদিন যে চা বেশি খাই সেই চা কে বলা হয় অর্থোডক্স বা সিটিসি (ক্রাশ-টিয়ার-কার্ল)পদ্ধতিতে গ্রেডিং করা চা।চা পাতাকে গ্রেডিং করা হয় সাধারনত চা পাতার সাইজের উপর ভির্তি করে।পাতার সাইজ অনুসারে চা পাতাকে যখন পুরো অক্ষত পাতা থেকে চা তৈরি করা হয় তখন সেই চায়ের গ্রেডটা ভালো হয়ে থাকে।
তাছাড়া এই চা সবথেকে দামি হয়।সাধারনভাবে ভালো মানের চায়ের পাতার গ্রেড বুঝার জন্য কনো প্যকেট থেকে কিছু পরিমাণ চা হাতে নিয়ে দেখতে হবে যে,চায়ের পাতার রং সুন্দর ও উজ্জ্বল কি না।যদি সুন্দর ও উজ্জ্বল হয় তাহলে বুঝতে হবে চায়ের গ্রেডটি ভালো।এই চা পাতি যদি গরম পানিতে দেওয়া হয় তবে এর রং উজ্জ্বল ও ঝকঝকে হবে।এছাড়াও ভালো মানের চায়ের গ্রেড বুঝার জন্য কিছু পরিমান চা হাতের তালুতে নিয়ে ঘোষে নাকের কাছে নিলেই আমরা সহজেই বুঝতে পারবো ,সেটি কেমন গ্রেডের চা।
চা পাতার উপকারিতা
আমাদের স্থানীয় হাট, বাজার বা দোকানগুলোতে বিভিন্ন রকম চা পাওয়া যায়। চা আমাদের দেহের জন্য খুবি উপকারি এবং এর উপকারী গুণ বিভিন্ন রকম। আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি লিকার চা।লিকার চা আমাদের ত্বক ও চুল ভালো রাখে।আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।আমাদের হার্টকে ভালো রাখে এই চা।মাথা ব্যথা বা মাইগ্রেন কমায়।
আমরা যে চা পান করি সে চায়ে যে শক্তিশালী ‘ফেনোলিক’ উপাদান থাকে সেটি আমাদের শরীরের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং আমাদের বিভিন্ন রকম হৃদরোগ থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।আমাদের দেহ ও মনকে সতেজ ও ফুরফুরে করতে চায়ের ভূমিকা অনেক,বন্ধু বান্ধবদের বা আত্বীয়দের সাথে গল্পে আড্ডা জমাতে প্রতিদিন চা পানের জুরি নেই।চা ছাড়া আড্ডা যেন জমেই না।চায়ে যে ভিটামিন বি-২ রয়েছে তা আমাদের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়া চা আমাদের ত্বকের মসৃণতা বাড়ায় এবং ত্বকের উজ্জ্বলভাব ফুটিয়ে তোলে।চায়ে থাকা ভিটামিন "ই' আমাদের শরীরের নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে।চয়ে পটাসিয়াম রয়েছে আর এই পটাসিয়াম আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।এছাড়া এতে রয়েছে জিংক, যা আমাদের শারীরিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন। আমাদের অনেকের চুল পড়া সমস্যা রয়েছে।এই চুল পড়া সমস্যা সমাধানে চা-পাতার সেদ্ধ পানি কার্যকারীতা অনেক।
চা পাতার অপকারিতা
পৃথিবিজুড়ে জনপ্রিয় যতগুলো পানীয় রয়েছে সেগুলোর মধ্যে একেবারে প্রথমের দিকে রয়েছে চায়ের নাম।আমাদের মধ্যে এরকম অনেকে আছেন যাদের সারা দিন খাবার না হলেও চলবে। তবে তাদের সারা দিনের মধ্যে কয়েক কাপ চা না হলে তাদের দিন যেন চলেই না।কেউ কেউ তো দিনে কমপক্ষে দশ-বারো কাপ চা খেয়ে থাকেন।চা খাওয়াটা খারাপ কিছু নয়।স্বাস্থ্যকরভাবে চা তৈরি করলে ও পরিমানমত খেলে চা থেকে মিলবে অনেক উপকারী গুণ।
প্রতিটি জিনিসের যেমন উপকারীতা আছে তেমনি কিছু অপকারিতাও রয়েছে ।কনো জিনিস যখন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হয়ে যায় ।তখন সেটি সকল কিছুর জন্য মন্দ দিক বা অপকারিতা।তাই আমাদের অতিরিক্ত চা খাওয়ার অভ্যাস থাকলেও তা থেকে বিরত থাকতে হবে।অভ্যাস যেহেতু এক দিনে পরিবর্তন করা সম্ভব না,তাই আস্তে আস্তে অতিরিক্ত চা পানের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে।অতিরিক্ত চা পানের অপকারিতা গুলো হলঃ
ঘুমের সমস্যা জন্য দায়ী
আমাদের অনেকের মাঝে কম বেশি ঘুম আসে না এই নিয়ে অনেক অভিযোগ শোনা যায়।এর জন্য আমাদের প্রতিদিনের কিছু কিছু ছোট অভ্যাস দায়ী।আমরা যারা অতিরিক্ত চা পান করি তাদের অনিদ্রা সমস্যা হয়।তাদের ঠিকমত ঘুম আসে না।তাই আমদের সন্ধ্যার পর থেকে রাত অবদি অতিরিক্ত পরিমানে চা পান থেকে বিরত থাকতে হবে।আমাদের ঘুমের সমস্যা হলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
পরিপাক বা হজমের সমস্যা
স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত যেকনো খাবার বেশি খেলেই তা আমাদের হজমে সমস্যা হয়। হজমে সমস্যা হলে পেটে ব্যথা,পেট ফাপা,বমি হয়ে থাকে।আমাদের মধ্যে যারা অতিরিক্ত চা পান করে থাকি তাদের হজমের সমস্যা হয়ে থাকে।তাই আমাদের অতিরিক্ত চা পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
খাওয়াতে অনিহা
অতিরিক্ত চা পান করলে আমাদের যে কনো খাবারের প্রতি আকর্ষণ নষ্ট হয়ে যায়।যারা দিনের পর দিন অতিরিক্ত চা পান করতে থাকে।তাদের খাবারের রুচি কমে যেতে থাকে।এক কথাই বলতে গেলে ক্ষুধা নষ্ট হয়ে যায়া।ক্ষুধা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারনে আমাদের শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না।ফলে আমরা শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যায়।
রং চা বানানোর নিয়ম
সকাল ,বিকাল বা সন্ধ্যায় এক কাপ রং চা বা লাল চা’য়ে চুমুক দিতে কার না ভালো লাগে।রং চা বানানো সহজ হলেও এর কিছু সঠিক নিয়ম আছে।সঠিক নিয়মে চা বানালে সেই চা খেতে খুব সুস্বাসু ও মজার লাগে।রং চা খাওয়া উপকারি তবে আমরা আদা বা মসলা চা সবাই বেশি পছন্দ করি।কিভাবে রং চা বানাতে হয় আজ আমরা তা শিখবো।প্রিয় পাঠক,সঠিক নিয়মে কিভাবে রং চা বানাতে হয় সে সম্পর্কে আজ আমরা জানবো।
উপকরণ সামগ্রীঃ
- দুই থেকে তিন কাপ পানি
- স্বাদমতো চিনি
- এক থেকে ডের চামুচ চা পাতি
- স্বাদমতো কিছু আদা কুচি ও কয়েকটা লবঙ্গ
- স্বাদমতো লেবুর রস
- চা বানানোর জন্য হাড়ি বা সসপ্যান ও ছাঁকনি
রং চা তৈরি করার প্রণালীঃ
প্রথমে একটি পরিষ্কার হাড়ি বা সসপ্যান গ্যসের চুলা,মাটির চুলাই রেখে চুলাটি অন করি।সেই হাড়িতে পানি দিয়ে ফুটতে দিই। হাড়ির পানি ফুটতে থাকলে সেই পানিতে আদা কুচি ও লবঙ্গ দিই।এবারে চা পাতা দিয়ে কিছু সময় পানি ফুটাতে থাকি।চা পাতি যখন পানির সাথে মিশে ফুটতে থাকবে এবং গাড় রং আসবে তখন সেখানে স্বাদমতো চিনি দিয়ে দিবো।
কয়েক মিনিট চা ফুটার পার গ্যাস বন্ধ করে দিবো।এরপর মগে বা কাপে চা ছাঁকনি দিয়ে চা ছেঁকে নিবো এবং সেখানে লেবুর রস মিশিয়ে দিবো।তারপর পরিবেশন করবো।এই গরম গরম রং চা আমাদের একটু অন্যরকম এনার্জি দেয়।শীত বা বর্ষায় সর্দিকাশিতে চায়ের সাথে তুলসি পাতা অনেক উপকারী।তাই নিজে পরিমাণমত চা পান করুন এবং অন্যকে চা বানিয়ে খাওয়ান।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক,আজ আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম চায়ের ইতিহাস সম্পর্কে,চা পানের উপকারিতা ও অপকারিতার বিভিন্ন দিক এবং চা তৈরি করার প্রনালী সম্পর্কে।আশা করি আপনারা এই পোস্টি পড়ে উপকৃত হয়েছেন।এ রকম আরো পোস্ট পড়তে আমার এই ওয়বসাইটটিতে ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url