ছাদে বাগান করার সহজ পদ্ধতি
প্রিয় পাঠক,আপনাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা ছাদ বাগান করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানার জন্য গুগলে সার্চ দিয়ে থাকেন।তাদের জন্য আমার এই আর্টিকেল বা পোস্টটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে।এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ছাদ বাগান করার পদ্ধতি সম্পর্কে আজ আমি বিস্তারিত আলোচনা করবো।
তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক ছাদ বাগান করার পদ্ধতি সম্পর্কে।এর জন্য প্রিয় কৃষক বন্ধুগন, আপনাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ প্রর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অনুরোধ রইল।এখন দেরি না করে আসুন জেনে নেওয়া যাক ছাদ বাগান করার পদ্ধতি সম্পর্কে।
ভূমিকা
বাসা বাড়ির খালি ছাদে বা খালি বেলকনীতে বিজ্ঞান সম্মত ও সঠিক উপায়ে বিভিন্ন রকম শাক-সবজির,ফুল ও নানা রকম ফলের বাগান গড়ে তোলাকেই ছাদ বাগান বলে।বর্তমানে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন ছোট বড় শহরে বাড়ির ছাদে বা বেলকনীতে বাগান করা খুব জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।এসকল বাসা বাড়ির ছাদের দিকে দৃষ্টিপাত করলেই দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের বাগান।
ছাদ বাগানের উপকরণ
আদিকালে কৃষি কাজে মাটি খোড়া বা চাষাবাদের জন্য ব্যবহার করা হতো পাথরের কোদাল এবং বীজ বপনের জন্য ব্যবহার করা হতো ছুচালো লম্বা গাছের ডাল।সময়ের বিবর্তনে মানুষ পাতের কোদাল ও লাঙল আবিষ্কার করে।জমি চাষের জন্য ব্যবহার করে মোষ বা গরু।এর ফলে মানুষের শারীরিক শ্রম কমে এসেছে।সময়ের পরিবর্তনে কৃষিতে অনেক নতুন নতুন আধুনিক উপকরণ বা যন্ত্রপাতির দিয়ে চাষাবাদ করা হচ্ছে।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কিছু কিছু যন্ত্রপাতি বা উপকরণ আছে যেগুলো ব্যবহার করলে আমাদের ছাদ বাগান করা অনেক সহজ হয়।একটি আদর্শ ও সুন্দর বাগান করতে এই সকল উপকরণের বিকল্প নাই।মাটি তৈরির কাজে,মাটি নিড়ানি ও ঢিলা ভাংতে,সার ও কিটনাশক প্রয়োগ করতে,গাছ ছাঁটাই করতে এই সকল উপকরণ আমাদের কাজকে আরও সহজ ও আরামদায়ক করেছে।আসুন আমার কৃষক ভয়েরা,আমরা এই সকল উপকরণ সম্পর্কে জনে নিই।
গাছ লাগানোর টব
টব বলতে আমরা সাধারণত মাটি, প্লাস্টিক, সিরামিকের তৈরি জিনিসকে বুঝি।ছাঁদ বাগান করার জন্য সবচেয়ে জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ এই টব।টব বিভিন্ন রকমের ও বিভিন্ন সাইজের হয়ে থাকে।এটা নির্ভর করে গাছের ধরনের উপর।আমরা অনেকে আবার প্লাস্টিকের তেলের বোতল দিয়েও টব বানিয়ে থাকি, ছোট ছোট গাছ লাগানর জন্য।তবে মাটির তৈরি টবি বেশি জনপ্রিয়।
কোদাল
কৃষি কাজে কোদালের ব্যবহার সব থেকে বেশি।মাটি কাটা ও ভাঙার জন্য কোদাল ব্যবহার করা হয়।কোদালের নিচের অংশ লোহা বা পাতের আর উপরের অংশটি বাঁশের।ছাদ বাগানে সাধারনত মাঝারি আকৃতির কোদাল ব্যবহৃত হয়।
মাটি চালার চালনি
ছাঁদ বাগানের মাটি মিহি,আলগা ও ঝুরঝুরে করতে চালনি ব্যবহার করতে হয়।চালনি দিয়ে মাটি চেলে নিতে হয়।এতে মাটিতে থাকা ইটের টুকরা, গাছের শিকড় চালনিতে আটিকিয়ে যায়।চালা মাটি গাছের গোড়ায় দিলে গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
গ্লাভস্
আমাদের মধ্যে অনেক আছে যারা গ্লাভস্ ছাড়া বাগানের পরিচর্যা করে থাকি।এটা মোটেও ঠিক না।কারন মাটিতে বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান,খুচ বা কাচ থাকতে পারে এগুলো আমাদের হাতের ক্ষতি করে।বিশেষ করে শীতকালে ছাঁদ বাগানের পরিচর্যার জন্য গ্লাভস্ ব্যবহার করা অতি জরুরি।
বেলচা
বাগানের মাটি সরানো,মাটি ভরাট,বীজ বপন,মাটি উত্তোলন করার কাজে বেলচা ব্যবহার করা হয়।ছাঁদ বাগানের জন্য সাধারনত মাঝারি বা ছোট আকারের বেলছা ব্যবহার করা হয় ।
ডাল ছাটায়ের প্রুনার
ছাঁদ বাগানের জন্য ডাল ছাটায়ের প্রুনারচ একটি প্রয়োজনীয় উপকরণ।গাছের গোড়ার ছোট ছোট ডালপালা ছাটাইয়ের কাজে এটি ব্যবহৃত হয়।প্রুনার দিয়ে ডালপালা কাটলে গাছের মূলের কনো ক্ষতি হয় না এবং কাটা ডালটি মসৃণ হয় ।
কীটনাশক ছিটানোর স্প্রেয়ার
বিভিন্ন রকম রোগবালাই ও ছত্রাকের হাত থেকে ছাঁদ বাগানকে মুক্ত রাখতে নিয়মিত কীটনাশক স্প্রে করতে হয়।স্প্রেয়ার দিয়েই এ সকল কীটনাশক ছিটাতে হয়।এই উপকরণটি ছাড়া কীটনাশক ছিটানো সম্ভব না।
ওয়াটার ক্যান
সকল গাছের জন্য পানি হলো একটি অপরিহার্য উপাদান।ওয়াটার ক্যান দিয়ে গাছে পানি দিলে গাছগুলো সুষমভাবে পানি পায়।ছাদ বাগানে অনেক গাছ থাকলে মগে বা বালতিতে পানি দেওয়া অনেক সময়ের ব্যপার।তাই অল্প সময়ে বাগানে পানি দিতে ওয়াটার ক্যান ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ফল সংরক্ষনের ব্যাগ
ছাঁদ বাগানের ফল সংরক্ষণের বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ।ফলের গাছে পিপড়া, বাদুর, কাঠবিড়ালী,ইদুর ইত্যাদির আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে এই ব্যাগ বা ফ্রুট ব্যাগ ব্যবহৃত হয়ে থাকে।বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে এই ব্যাগ দিয়ে ফল সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে এবং এই ফ্রুট ব্যাগ পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয়।
ছাদ বাগানের মাটি তৈরি
বর্তমান সময়ে আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা টবে ছাদ বাগান করার জন্য আগ্রহী।কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই জানি না যে,টবের মাটি কিভাবে তৈরির করতে হয় এর সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে।মাটি তৈরির সঠিক পদ্ধতি না জানার কারণে আমরা অনেকেই ছাঁদ বাগান করে সফল হতে পারি না।ফলে আমাদের মধ্যে অনেকেই ছাঁদ বাগান করার উৎসাহ হারিয়ে ফেলি।
সুপ্রিয় পাঠক, আজ আমরা জানবো ছাদ বাগান করার জন্য টবের মাটি কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় এর সহজ কৌশল সম্পর্কে।আমাদের যদি নিম্নক্ত সহজ কৌশলগুলো জানা থাকে তাহলে আমরা ছাঁদ বাগান করে লাভবান হতে পারবো।
টবের বা ড্রামের মাটি তৈরি
আমরা টবে যে মাটি দিবো সেই মাটিটি যদি এঁটেল বা শক্ত মাটি হয়,তাহলে সেই মাটিতে আমাদেরকে বালি মেশাতে হবে।ঠিক একই ভাবে যদি বেলে মাটি হয় তবে সেখনে এঁটেল বা শক্ত মাটি মেশাতে হবে।এক কথাই মাটিটি দো-আঁশ মাটিতে পরিনত করতে হবে।উক্ত মাটিটি যদি ঝুর ঝুরে হয় তাহলেই বুঝতে হবে মাটিটি দো-আঁশ মাটি হয়েছে।
টবের মাটিতে জৈব সার মেশানো
টবের মাটিতে জৈব সার মেশানো সময় আমাদের অবশ্যয় মাথাই রাখতে হবে যেন মাটি এবং সারের অনুপাত ঠিক থাকে।যদি জৈব সার মাটির অর্ধেক পরিমাণ হয় তবে আরো ভালো হয়।এই জৈব সার আমরা সহজেই বাসায় তৈরি করতে পারি শাকসবজির আবর্জনা পচা, গোবর,ও খরখুটো পঁচা দিয়ে।
রাসায়নিক সার মেশানো
টবের মাটিতে জৈব সার মেশানোর পর রাসায়নিক সারও মেশাতে হবে।এই রাসায়নিক সারগুলো হলো টিএসপি,পটাশ,বোরণ ও দস্তা।এই সকল সারগুলো মাটির সাথে পরিমাণ মতো ভালোভাবে মিশিয়ে টবের মাটি ১৫ দিন ঢেকে রেখে দিতে হবে।পনেরো দিন পর সার মিশ্রিত মাটি আবার ভালোভাবে মিশিয়ে কয়েক দিন খোলা রেখে রেখে দিতে হবে।
টবের মাটি শোধন করা
টবের বা ড্রামের মাটি তৈরি করার সময় আমাদের অবশ্যয় মাটি শোধনের কাজটি যত্নসহকারে করতে হবে।এর জন্য তৈরি মাটির সাথে সঠিক হারে দানাদার কীটনাশ ও কার্বেন্ডাজিম নামক ছত্রাকনাশক মিশাতে হবে ।এর ফলে প্রস্তুতকৃত মাটি ছত্রাক মুক্ত হবে।এই ভাবে আমরা ছাঁদ বাগানের টবের জন্য আদর্শ মাটি তৈরি করতে পারি।টবে গাছ লাগানোর আগে আমাদের হাতে যদি সময় থাকে তবে আমরা এই ভাবে টবের মাটি প্রস্তুত করতে পারি।
ছাদ বাগানের জন্য উপযুক্ত গাছ
ছাঁদ বাগান করা আমাদের যেহেতু কম বেশি সবার জনপ্রিয় একটি শখ।এই ছাঁদ বাগান করার মাধ্যমে আপনি বাগার করার আনন্দ পেতে পারেন।ছাঁদ বাগানের টবে আমরা বিভিন্ন ধরণের গাছ লাগাতে পারি।এই পোস্ট পড়ার মাধ্যমে আমরা জানব টবে কি কি গাছ লাগানো যায় সে সম্পর্কে।
ফল গাছঃ
আম
পেয়ারা
বাতাবিলেবু
কাগজিলেবু
কমলালেবু
বাউকুল
আপেলকুল
বেদানা
ডালিম
বারোমাসিক আম
কামরাঙা
আমড়া
জামরুল
করমচা
ফুলের গাছঃ
গোলাপ
গাঁদা
শিউলি
সূর্যমুখী
পদ্ম
হাসনাহেনা
রজনীগন্ধা
বেলি
জবা
নাধবীলতা প্রভৃতি
শাকসবজিঃ
পুদিনা পাতা
লাঊ
মিষ্টি কুমড়া
ধনে পাতা
মটরশুটি
কলমি শাক
লাল শাক
সবুজ শাক
ঢেঁড়স
কুচুর শাক
শসা
ঝিঙ্গা
গাজর
পুঁই শাক
বেগুন
মরিচ প্রভৃতি
ছাদ বাগানের উপকারিতা
বাগান কথাটির সাথে আমরা সবাই অনেক পরিচিত।আমরা কম বেশি সবাই জীবনের এক পর্যায়ে বাড়ির আঙ্গিনা,ছাদের উপর টবে বিভিন্ন রকম গাছ লাগিয়েছি।বর্তমানে বাগান করা যে একটা পছন্দের ও সখের কাজ এতে কারো দ্বিমত নেই।আমরা গ্রামে যারা বসবাস করে থাকি তাদের বাসা বাড়ির পাশে অনেক জায়গা থাকার কারনে সেখানে বাগান করা সহজ।
অপরদিকে যারা শহরে বসবাস করে থাকি, তাদের বাগান করার জন্য ফাঁকা জায়গা নাই বললেই চলে।কিন্তু বর্তমানে শহরের মানুষ তাদের সখ ও চাহিদার উপর ভির্তি করে বাড়ির ছাদেই ছাঁদ বাগান করছে।ছাঁদ বাগান যে কতো উপকারি তা বলে শেষ করা যাবে না। নিম্নলিখিত আলোচনার মাধ্যমে আজ আপনাদের জানাবো ছাদে বাগান করার উপকারিতা সম্পর্কে।
অক্সিজেন বৃদ্ধিতে
শহরের ইট কনক্রিটের বড় বড় দালান ও বিভিন্ন স্থাপনার জন্য গাছপালা কেটে ফেলা হচ্ছে।ফলে পরিবেশে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।কলকারখানার এবং যানবাহনের ধোঁয়া দিন দিন আমাদের পরিবেশকে দূষিত করছে।
বৃদ্ধি পাচ্ছে কার্বন ডাই- অক্সাইড এর মাত্রা।এ রকম অবস্থায় অক্সিজেন বৃদ্ধির জন্য ও কার্বণ ডাই অক্সাইডের পরিমাণ কমানোর জন্য ছাঁদ বাগান গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে।এছাড়া ছাঁদ বাগান পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখার অন্যত্ম হাতিয়ার।
মানসিক প্রশান্তি জন্য
আমারা যখন সকালে ঘুম থেকে উঠি সে সময় অথবা সারা দিনের কর্মব্যস্ততা শেষে কিছু সময়ের জন্য যখন ছাদ বাগানে যায় তখন আমাদের সকলের মনটা আনন্দে ভরে উঠে।সকলের ভিতর মানসিক প্রশান্তি বয়।মেজাজ ফুরফুরে থাকে এবং কাজে মন বসে।
সতেজ শাকসবজি এবং ফলমূল
বর্তমানে সময়ে ফরমালিন মুক্ত শাকসবজি ও ফলমূল খুঁজে পাওয়া অনেকটা মুসকিলের ব্যপার।বাজারে বেশিরভাগ যে সকল শাকসবজি এবং ফলমূল পাওয়া যায় সেগুলোতে রাসায়নিক সার ও ফরমালিন যুক্ত।এ সকল শাকসবজি এবং ফলমূল খেলে আমাদের সাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে এবং আমরা দিন দিন রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছি।
অল্প সময়ে ছাঁদ বাগান করে আমরা সহজেই সতেজ শাকসবজি এবং ফলমূল পেয়ে থাকি।রাসায়নিক সার ও ফরমালিন যুক্ত শাকসবজি এবং ফলমূল থেকে মুক্তি পেতে এই ছাঁদ বাগান অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য সমাধান।
তাপমাত্রা কমাতে
বিশেষ করে গ্রীষ্মের দাবদহের সময় সারাদিনের সূর্যের তাপে ছাদ যখন গরম হয়ে যায়।এর ফলে সারা দিন গরম তো লাগেই রাতের বেলায় তাপমাত্রা যেন আরও বেড়ে যায়।কিন্তু ছাঁদে বাগান করলে ঘন গাছপালার জন্য সূর্যের তাপ সরাসরি ছাঁদে পড়তে পারে না।এর ফলে বাসা বাড়ির ছাঁদ সহ সম্পূর্ন বাড়িটা ঠান্ডা থাকে। ছাঁদ বাগান করায় গ্রীষ্মকালে বাড়িতে অনেক আরাম লাগে।
খরচ কমায়
শাকসবজি ও ফলমূল কেনার জন্য যে খরচ হয়, ছাঁদ বাগান করার ফলে সেই খরচ অনেকটা কমে যায়। এই বাগান করার ফলসরূপ পরিবারের শাকসবজি ও ফলমূলের চাহিদা মেটে।ছাঁদ বাগান একটি পরিবারের অর্থনৈতিক চাপ হ্রাস করে।
প্রকৃতি ও পাখিদের সমাগম
ছাদবাগান যেমন আমাদেরকে সবুজ প্রকৃতির ছোয়া দেয়।ঠিক তেমনি ছাঁদ বাগানে গাছপালায় খাবার খোঁজার জন্য ও আশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন প্রজাপতি পাখি,মৌমাছি,প্রজাপতি, আকৃষ্ট হয়।বাগানে আসা পাখিদের সুরে আমদের মন ভরে উঠে।
ছাদ বাগানের পরিচর্যা
একটি ছাদ বাগান করা আমাদের সকলেরি সখ।এই সখ পূরণ করার সময়,আমাদের মাথাই রাখতে হবে যেন আমাদের বাসা বাড়ির ছাদের কনো ক্ষতি না হয়।বিশেষ করে বর্ষাকালে এই ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।ছাঁদে কোনো অবস্থাতেই যেন বৃষ্টির পানি জমতে না পারে এজন্য ছাদে পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা রাখতে হবে।
ছাঁদ বাগানের ছাদে ময়লা জমতে দেওয়া যাবে না।নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে।পিড়ি বা টুল তৈরী করতে হবে।সরাসরি ছাদের মেঝেতে গাছের টব রাখা এটা মোটেও ঠিক নয়।পিড়ি বা টুলের উপর গাছের টব রাখলে ছাঁদ ভালো থাকবে এবং দেখতেও সুন্দর লাগবে।
ছাঁদ বাগানের গাছের গোড়ায় ঘন ঘন কমপোস্ট, গোবর সার দেওয়া উচিত না।পরিমাণমত এসকল সার প্রয়োগ করতে হবে।যদি গাছের গোড়ায় সূর্যের আলো ভালোভাবে পড়ে,তাহলে সেখানে খোল পচা, জৈব সার অল্প করে ব্যবহার করতে হবে।মাসে অন্তত একবার ব্যবহার করতে হবে।
বর্ষাকালে বেশি আর্দ্রতার জন্য ছাঁদ বাগানে ছত্রাকের আক্রমণ বেড়ে যায়।তাই বর্ষাকালে মাসে দুইবার করে ছত্রাক নাশক স্প্রে প্রয়োগ করতে হবে।সাতদিন পর পর জৈব কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।যাতে বাগানে পোকা মাকড়ের আক্রমন কমে হয়।কীট পতঙ্গের মাত্রা বেশি হলে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যাবহার করতে হবে।
ছাঁদ বাগানের গাছের গোড়ায় প্রচুর আগাছা জন্মায়,আমাদেরকে মাঝে মধ্যেয় এ সকল আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। গাছের নীচের দিকের ঝোপালো ছোট ছোট ডালগুলো ছেটে দিতে হবে।যেন গাছের গোড়ায় ঠিকমতো সূর্যের আলো পড়ে এবং ছত্রাকের উপদ্রব্য কম হয়।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠাক,আজকে আমরা জানলাম ছাঁদ বাগান ও এর পরিচর্যা সম্পর্কে।আশা করি আপনাদের এই পোস্টটি পড়ে ভালো লেগেছে এবং আপনারা উপকৃত হয়েছেন।চাইলে আপনিও ছাঁদে বাগান করে উপকৃত হতে পারেন।এরকম আরো ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমার এই ওয়েবসাইটটিতে ভিজিট করুন এবং প্রিয়জনদের শেয়ার দিয়ে পাশেই থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url