ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুন,উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ড্রাগন ফল কিভাবে খায়
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ,ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ড্রাগন ফল কিভাবে খেতে হয় বন্ধুগণ,আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা সে সম্পর্কে জানাবো। আশা করি এ সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে আপনারা উপকৃত হবেন। ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ,উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য এই আর্টিকেলটি আপনাদের মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অনুরোধ রইল।
এছাড়া এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা আরো জানতে পারবেন। গর্ভাস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা এবং ড্রাগন ফলের অপকারিতা সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ,উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ড্রাগন ফল কিভাবে খায় তার নিয়ম। এজন্য এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ভূমিকা
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুনের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ছোট বড় সকলেই ড্রাগন ফল খেতে খুব পছন্দ কর। বর্তমানে বাড়ির ছাদে,টবে,উঠানে,এই ড্রাগন ফলের চাষ হচ্ছে। যার ফলে ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ পাওয়া সহজলভ্য হচ্ছে। আমরা সকলে ডাগন ফল খেয়ে থাকি। কিন্তু কখনো কি একবারও জানার চেষ্টা করেছি যে,
এই ড্রাগন ফলে কোন কোন পুষ্টি উপাদান গুলো আছে।ড্রাগন ফল খেলে আমাদের কি কি উপকার হয় এবং এই ফল কিভাবে খেতে হয়। যদি না জেনে থাকেন তাহলে সে সফল ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে আমার এই আর্টিকেলটি। এ সমস্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে যদি আপনি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি ধৈর্য ধরে পড়ুন।
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ
ড্রাগন ফলের আকারের ওপর এবং এটির পরিপক্কতার ওপর ড্রাগনের পুষ্টিগুণ নির্ভর করে। আনুমানিক প্রতিটি ১০০ গ্রাম ওজনের ড্রাগন ফলে যে সকল পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান রয়েছে সেগুলো হলঃ
সাদা ড্রাগন প্রতি ১০০ গ্রাম ফলের ক্ষেত্রেঃ
- ক্যালরি ৬০ গ্রাম
- কার্বোহাইড্রেট ৯-১৪ গ্রাম
- চিনি ৮-১২ গ্রাম
- ডায়েটারি ফাইবার ১-২ গ্রাম
- প্রোটিন ১-২ গ্রাম
- চর্বি ১ গ্রামের কম
লাল ড্রাগন প্রতি ১০০ গ্রাম ফলের ক্ষেত্রেঃ
- ক্যালরি ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম
- কার্বোহাইড্রেট ৯ থেকে ১৪ গ্রাম
- চিনি ১থেকে ২ গ্রাম
- ডায়েটারি ফাইবার ৮ থেকে১২ গ্রাম
- প্রোটিন ১-২ গ্রাম
- চর্বি ১ গ্রামের কম
এছাড়া ড্রাগন ফলে আরও রয়েছে ভিটামিন সি,ভিটামিন বি ১,ভিটামিন বি২,আয়রন,বিভিন্ন রকম খনিজ পদার্থ,ফসফরাস ক্যালসিয়াম ফাই টু নিউ টিএমস হাইড্রেশন এবং ইলেক্ট্রোলাইট।
ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম
ড্রাগন ফল দেখে অনেকেই ভাবতে পারেন যে ড্রাগন ফল আসলে কিভাবে খেতে হয়।এটায় ড্রাগন ফলের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। অন্যান্য ফল আমরা যেভাবে খায় ড্রাগন ফল ঠিক সেই একই নিয়মে খেতে হয় ড্রাগন ফল খাওয়ার আলাদা কোন নিয়ম নাই।কেউ কেউ ফলটিকে ফল হিসাবে খায় এবং আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা এটিকে জুস করেও খেয়ে থাকেন।তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক ড্রাগন ফল খাওয়ার সহজ নিয়ম সম্পর্কে।
প্রথমে একটি পছন্দ মতো ড্রাগন ফল নিয়ে সেটিকে পরিস্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।এরপর ড্রাগন ফলের মাথা এবং নিচের অংশটুকু কেটে ফেলে বাদ দিতে হবে। এবার ড্রাগন ফলটি মাঝ বরাবর চাকু অথবা বটি দিয়ে কেটে নিতে হবে।ড্রাগন ফলের উপরের খোসা অংশটুকু হাত দিয়ে টেনে সরিয়ে ফেলতে হবে। রুচিও পছন্দ অনুযায়ী ফলটিকে টুকরো টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এ কাটা অংশটুকু খাওয়ার উপযোগী ড্রাগন।
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় মায়েদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেক। ড্রাগন ফলটি খুব সহলভ্য হওয়ায় এর ব্যবহার ব্যাপক।এই ড্রাগন ফলটি দেখতে যেমন আকর্ষণীয় ঠিক তেমনি খেতেও খুব সুস্বাদু।ড্রাগন ফল পুষ্টিগুণে ভরপুর হাওয়ায় এই ফলটি সকলের কাছে প্রিয় এবং দামেও সস্তা। খেতেও তেমন ঝামেলা পোহাতে হয় না।সহজেই খাওয়া যায়।নিম্নে গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
পুষ্টি সমৃদ্ধঃ ড্রাগন একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ফল যার পুষ্টিগুণ অনেক।এই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফলটি গর্ভাবস্থায় মহিলাদের জন্য খুব পছন্দের এবং প্রয়োজনীয় একটি ফল।ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন সি,ফাইটো- কিমিকেল,প্রোটিন এবং পটাশিয়াম এছাড়াও এ ফলে রয়েছে ভিটামিন বি১ এবং কার্বোহাইড্রেট।
ফাইবার সমৃদ্ধঃ এ ফলটি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে গর্ভ অবস্থায় মহিলাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাগুলোকে সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।ফাইবার সমৃদ্ধ ফল হওয়ার কারণে চিকিৎসকেরা গর্ভাবস্থায় মায়েদের ড্রাগন ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন।ড্রাগন ফলের একটি কাটা অংশে ০.৩ থেকে ০.৯ গ্রাম ফাইবার বিদ্যমান থাকে।ড্রাগন ফল সেবনের মাধ্যমে পরিপাক ক্রিয়া সহজ হয় যার ফলে প্রাচীন কিয়ায় কোন সমস্যা সৃষ্টি হয় না।
কার্বোহাইড্রেটের উৎসঃ ড্রাগন ফলকে কার্বোহাইড্রেটের উৎস হিসেবে ধরা হয়।এ কার্বোহাইড্রেট মাতৃ অবস্থায় শিশুর বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।গর্ভাবস্থায় মহিলাদের কার্বোহাইড্রেটের প্রয়োজনীয়তা বাড়ে।এই ড্রাগন ফল খাওয়ার মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব হয়।শরীরের শক্তির উৎস হিসেবে এবং সরাসরি ভ্রুনের কাছে এসকল শক্তি স্থানান্তর করতে ড্রাগন ফল সাহায্য করে।
সংক্রমনের বিরুদ্ধে বাধা সৃষ্টি করেঃ গর্ভাবস্থায় মায়েদের বিভিন্ন রকম সংক্রমণের বিরুদ্ধে বাধা সৃষ্টি করে এর ড্রাগন ফল।জীবাণুগুলির দ্বারা সংক্রামিত হওয়া ভ্রূণের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।এর কারণ সেগুলি প্ল্যাসেন্টা মাধ্যমে শিশুর কাছে পৌঁছানোর জন্য চেষ্টা করে।ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে এ সকল সংক্রমিত জীবন হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়ঃ ড্রাগন ফলে থাকা আয়রন উপাদানটি গর্ভবতী মায়েদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।এর ফলে রক্তকোষে অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে। শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে গর্ভ অবস্থায় মহিলাদের রক্তস্বল্পতা ও এনিমি আর হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা হ্রাস পায়।
হাড় বিকাশে সহায়তা করেঃড্রাগনফল হাড় বিকাশে সহায়তা করে।ড্রাগন ফলে শুধুমাত্র ক্যালসিয়াম নয় এতে খনিজ পদার্থ ও ফসফরাস ও রয়েছে।এ দুটি উপাদান গর্ভাবস্থায় মায়েদের বাচ্চার হাড় গঠনে এবং মায়ের দাঁত ভালো রাখতে সাহায্য করে।
জন্ম ত্রুটিগুলি রোধ করেঃ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং নিউরনের অভাবে শিশুদের স্নায়ুর বিকাশ এবং স্নায়ু তন্ত্রের বিকাশের বাধা সৃষ্টি হয়। এ ড্রাউন ফলে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যা শিশুর স্নায়ু বিকাশে সাহায্য করে।
ড্রাগন ফলের অপকারিতা
মন্তব্য
প্রিয় পাঠাক,আজকে আমরা জানলাম ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।আমরা আরও জানলাম ড্রাগন ফলের উকারিতা ও অপকারিতা এবং ড্রাগন ফল কিভাবে খায় সে সম্পর্কে।আশা করি আপনার এই পোস্টটি পড়ে ভালো লেগেছে এবং উপকৃত হয়েছেন।চাইলে আপনিও ড্রাগন ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।এবং আপনার বাসায় গর্ভবতী মহিলা থাকলে তাকে ড্রাগন ফল খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।এরকম আরো ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমার এই ওয়েবসাইটটিতে ভিজিট করুন এবং প্রিয়জনদের শেয়ার দিয়ে পাশেই থাকুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url