ব্রেস্ট টিউমারের লক্ষণ ও প্রতিকার, ব্রেস্ট টিউমার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রাজশাহী
ব্রেস্ট টিউমারের লক্ষণ ও প্রতিকার এবং ব্রেস্ট টিউমার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রাজশাহী সম্পর্কে আপনি কি বিস্তারিতভাবে জানতে চান? তাহলে আমার এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এ প্রতিবেদনটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ব্রেস্ট টিউমারের লক্ষণ ও প্রতিকার, ব্রেস্ট টিউমার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রাজশাহী সম্পর্কে।
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুগণ, এই প্রতিবেদনটিতে আমি আলোচনা করার চেষ্টা করেছি ব্রেস্ট টিউমারের লক্ষণ ও প্রতিকার এবং বেস্ট টিউমার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রাজশাহী সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে। এই প্রতিবেদনটি পড়ার মাধ্যমে আপনি এ সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন সময় নষ্ট না করে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
উপস্থাপন
ব্রেস্ট টিউমার হল মানবদেহের কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। স্তনের অস্বাভাবিক ও অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন এক সময় মাংসপিণ্ড, চাকা বা গোটায় পরিণত হয়। আর এই মাংসপিণ্ড বা চাকাই হল স্তন বা ব্রেস্ট টিউমার। আমার এই প্রতিবেদনটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন ব্রেস্ট টিউমারের লক্ষণ ও প্রতিকার এবং ব্রেস্ট টিউমারের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রাজশাহী সম্পর্কে।
আরও জানতে পারবেন ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার কারণ, ব্রেস্ট টিউমার কি ভাল হয়, ব্রেস্ট টিউমার অপারেশন খরচ ও ব্রেস্ট টিউমার অপারেশন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য। এ সকল প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে জানার জন্য এই প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অনুরোধ রইল। তাহলে চলুন আলোচনার মাধ্যমে জেনে নিন এ সকল বিষয় সম্পর্কে তথ্যগুলো।
ব্রেস্ট টিউমারের লক্ষণ ও প্রতিকার
ব্রেস্ট টিউমারের লক্ষণঃ ব্রেস্ট টিউমার হলো স্তনের অনুপ্রবৃত্তি বা কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। এই রোগের লক্ষণ বিভিন্ন হতে পারে এবং তা অনুভব করা স্তনের অবস্থার উপর নির্ভর করে। কিছু মৌলিক লক্ষণ এবং ধারণা নিম্নে দেওয়া হলোঃ
- স্তনে ব্যাথাঃ স্তনে অস্বাভাবিক ব্যাথার অনুভুতি হতে পারে, যা টিউমার বা অন্যান্য সমস্যার চিহ্ন হতে পারে। স্তনের গ্রন্থি টিউমারের কারণে এই ব্যথার অনুভব হয় এবং স্তনে স্পর্শ করলে ব্যথা হয়। এছাড়াও স্তনে অনুভূতির পরিবর্তন হতে পারে।
- স্তনে গঠনগত পরিবর্তনঃ স্তনের গঠন এবং আকারে পরিবর্তন হতে দেখা যেতে পারে। অনেক সময় যে স্তনটি টিউমারে আক্রান্ত হয়েছে সেটার তুলনায় অন্য স্তনটি অনেকটা ছোট দেখায়।
- স্তনে চামড়ার পরিবর্তনঃ অনেক সময় স্তনের চামড়ার পরিবর্তন হতে পারে। টিউমারের উপস্থিতিতে স্তন পুরু বা মোটা হয়ে যায়।
- স্তনে গোটাঃ অনেক সময় স্তনে গোটা গোটা দেখা দেয়, যা মাংসপেশীতে সমস্যা অথবা টিউমারের উপস্থিতিতে হয়ে থাকে।
- স্তনে চার্ম বা জালের মত দেখায়ঃ স্তন আকারে বড় দেখায় সাথে সাথে স্তনে জালের বা চার্মের গঠন দেখতে পাওয়া যেতে পারে।
- স্থান থেকে তরল পদার্থ বের হওয়াঃ বেস্ট টিউমার হলে স্তন থেকে সাদা তরল পথ বা রক্ত নিঃসরিত হয়ে থাকে।
- স্তনের পরিবর্তনঃ টিউমারের উপস্থিতিতে, স্তনের চারপাশের অংশটুকু পরিবর্তন হতে দেখা যায়।
- স্তনের চামড়ার রং পরিবর্তনঃ স্তনের চামড়ার রং লাল বা কালো হয়ে যায়।
যদি আপনি স্তনে যেকোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন অনুভব করেন, তবে তৎক্ষণাৎ ভাবে আপনার উচিত হবে পরীক্ষা করার জন্য চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা ও চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করে চিকিৎসা নেওয়া। তবে, মনে রাখা উচিত যে, এই লক্ষণগুলি অন্যান্য স্তনের সমস্যার সাথেও সম্পর্কিত হতে পারে, স্বাস্থ্য সম্পর্কে ধৈর্য ধরুন এবং স্বাস্থ্য সেবা সর্বদা গ্রহণ করুন।
ব্রেস্ট টিউমারের প্রতিকারঃ ব্রেস্ট টিউমারের প্রতিকার নির্ভর করে টিউমারের ধরণ, আকার, এবং রোগীর শারীরিক পরিস্থিতির উপর। ব্রেস্ট টিউমারের প্রতিকার সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য প্রদান করা কিছুটা কঠিন। এর কারণ এটি অনেকভাবে প্রতিকার করা যেতে পারে পারে। তবে, এই প্রতিকারের মধ্যে কিছু মূল সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিম্নরূপঃ
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষাঃ নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরীক্ষা করতে হবে। ব্রেস্টে টিউমারের উপস্থিতি লক্ষণ বুঝতে পারার সাথে সাথে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্রেস্ট পরীক্ষা করে করতে হবে।
- পর্যাপ্ত ব্যায়ামঃ প্রতিদিন পর্যাপ্ত ব্যায়াম করার অভ্যাস করতে হবে। মহিলাদের প্রতিদিন ৩০ মিনিট থেকে ৪০ মিনিট যেকোনো শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। কারণ মহিলাদের ওজন বাড়ার সাথে সাথে বেস্ট টিউমার থেকে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও অনেকটা বেড়ে যায়। তাই শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
- ধূমপান না করাঃ ধূমপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যেহেতু ব্রেস্ট টিউমার থেকে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই সকল প্রকার ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকতে হবে। আমাদের সচেতনতায় পারে এই সকল মারাত্মক ব্যাধি থেকে প্রতিরোধ বা প্রতিকার করতে।
- স্বাস্থ্যকর খাবারঃ মহিলাদের স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। সবুজ শাকসবজি যেমনঃ বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি ও ফল বেশি বেশি করে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
- স্তন রিস্ক ফ্যাক্টর নিয়ে সচেতন: পরিবারের ইতিহাস, বয়স, ওজন, পরিবার পরিকল্পনা ইত্যাদি যে কোনও স্তন রিস্ক ফ্যাক্টর নিয়ে সচেতন থাকা উচিত।
এছাড়াও, যদি কেউ সংক্রান্ত লক্ষণ বা অস্বাভাবিকতা অনুভব করেন, সেটি নিয়মিতভাবে চেকআপ করার জন্য তাদের ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। স্তনে গাড়ি, ঠান্ডা, নকশা বা অস্বাভাবিক মোটা স্তন হতে পারে স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে। যেকোনো অস্বাভাবিক স্তন পরীক্ষার জন্য ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার কারণ
ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার কারণ বেশ বহু। কিছু প্রধান কারণ নিম্নলিখিত হতে পারে, তবে এটি সবসময় স্তন ক্যানসার না হওয়ার অর্থ নয়। তবে, কিছু প্রধান কারণ হলোঃ
- জেনেটিক ফ্যাক্টরঃ কিছু মানুষের ব্রেস্ট টিউমার জন্য পারিবারিক জেনেটিক ফ্যাক্টর জড়িত থাকে। পরিবারে পূর্বে কেউ বেস্ট টিউমার বা ক্যানসারে আক্রান্ত থাকলে পরিবারের অন্যদেরও ব্রেস্ট টিউমার হওয়া সম্ভব থাকে।
- হরমোনাল পরিবর্তনঃ কিছু হরমোনাল পরিবর্তনের কারনে মহিলাদের স্তন বৃদ্ধির জন্য দায়ী। পরবর্তীতে এই হরমোনাল সমস্যার কারণে স্তন টিউমার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- বয়সঃ মহিলাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে বেস্ট টিউমার হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়তে থাকে। স্তন টিউমারের ঝুঁকিতে থাকে বয়স্ক মহিলারা।
- পরিবর্তনশীল জীবনযাপনঃ বেশি বেশি খাবার দাবার যেমনঃ অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় ও মাছ-মাংস খাওয়া, অতিরিক্ত মদ পান, ধূমপান, ওজনের বৃদ্ধি, ইত্যাদি অপ্রয়োজনীয় জীবনযাপনের প্রভাবে স্তনের টিউমার হতে পারে।
- পরিশ্রমের নিয়মঃ নিয়মিত সাধারণ শারীরিক পরিশ্রমের অভাব স্তনের টিউমার এবং সেখান থেকে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি রেড়ে যায়।
- দেরিতে সন্তান গ্রহণঃ অনেক মহিলাদের ক্ষেত্রে দেরিতে সন্তান গ্রহণ করার কারণে ব্রেস্ট টিউমার হওয়া সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও সন্তানকে স্তন পান না করার কারণে ব্রেস্ট টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- ঋতুস্রাবে অনিয়মঃ বয়ঃসন্ধি কালের আগে অর্থাৎ ১২ বছর বয়সের আগে যে সকল মেয়েদের ঋতুস্রাব হয় এবং দেরিতে ঋতুস্রাব বন্ধ হয় এ সকল মহিলাদেরও ঝুঁকি রয়েছে ব্রেস্ট টিউমারের।
স্তন টিউমারের ঝুঁকির কারন ইতিপূর্বে আপনারা জানতে পেরেছেন। তবে, সতর্ক থাকা ও নিয়মিত চিকিৎসা এবং স্তন পরীক্ষার মাধ্যমে আপনার স্তন স্বাস্থ্য ভালো রাখা উচিত।
ব্রেস্ট টিউমার কি ভাল হয়
ব্রেস্ট টিউমার প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ব্রেস্ট টিউমারে রোগী যদি দীর্ঘদিন ধরে ভোগে তবে সেটি স্বাভাবিকভাবে ভালো হয় না। অনেক সময় ভালো হতে পারে যদি এটি বেনাইন হয়, অর্থাৎ এটা থেকে ক্যানসার না হয়। এবং যদি সেটি সুস্থ বোঝা যায়, তাহলে তা ভালো হয়ে যায়। বেনাইন টিউমার অধিকাংশই অক্ষম হয়ে যায় এবং কোনও ব্যথা বা অসুস্থতা সৃষ্টি করে না।
তবে, এটি মধ্যম বা বড় আকারের হলে স্তনের আকারে পরিবর্তন হয় যা স্তনের আকার অস্বাভাবিক দেখায়। তবে যদি ব্রেস্ট টিউমার থেকে ক্যান্সার সৃষ্টি হয় তবে সেটি ভালো হওয়ার কোন সুযোগ নেই। কোনও সময় ব্রেস্ট টিউমার থেকে ক্যানসারও হতে পারে, এর জন্য সতর্কতা প্রয়োজন। এর জন্য আপনার চিকিৎসকের পরামর্শের প্রয়োজন পড়ে। এবং চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন রকম ওষুধ সেবন ও প্রয়োজনে অপারেশনের ব্যবস্থা সহায়ক হয়।
যদি ব্রেস্ট টিউমার সনাক্ত হয়, তবে অপারেশন বা অন্যান্য চিকিৎসার পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করেন যে টিউমার কি প্রাথমিক পর্যায়ের না এর গভীরতা গুরুতর । নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হোন এবং ব্রেস্ট টিউমারের লক্ষণ থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন। ব্রেস্ট টিউমারের লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসকের চিকিৎসা সেবা নিন এবং সুস্থ হন।
ব্রেস্ট টিউমার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রাজশাহী
স্থানীয় হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহে যোগাযোগ করুন। রাজশাহীতে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিক আছে যেখানে ব্রেস্ট টিউমার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সেবা প্রদান করেন। আপনি স্থানীয় হাসপাতালে যোগাযোগ করে তাদের ব্রেস্ট টিউমার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। এভাবে যোগাযোগ করে রাজশাহীর বেস্ট টিউমার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ সম্পর্কে জানাটা খুব কষ্টসাধ্য।
তাই আপনাদেরকে জানানোর সুবিধার্থে আমার এই প্রতিবেদনে আমি রাজশাহীর কিছু স্পেশালিস্ট বেস্ট টিউমার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সম্পর্কে তথ্য নিম্ন আলোচনা করব। আশা করি বেস্ট টিউমারে আক্রান্ত রোগী গন এ সকল ডাক্তারের সরনাপন্ন হয়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করে উপকৃত হবেন। নিম্নে ব্রেস্ট টিউমার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রাজশাহী বা রাজশাহীর ব্রেস্ট বিশেষজ্ঞ সার্জন এর নাম ও বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো।
*ডা: রুপসা নূরে লায়লা
এমবিবিএস, এফসিপিএস(সার্জারী), এমএস(সার্জারী)
জেনারেল এবং ল্যাপারোস্কপিক ও কালোরেক্টাল সার্জন
স্তনরোগ বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত (ব্যাংকক)
সহকারি অধ্যাপক (সার্জারি বিভাগ)
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী।
*ডাঃ সৈয়দা মোমেনা হোসাইন (নিশি)
এম.বি.বি.এস, এফ.সি.পি.এস (সার্জারী)
জেনারেল ও ল্যাপরসকপিক সার্জন
কনসালটেন্ট সার্জারী বিভাগ,
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
*ডাঃ তামান্না তাসনীম
এমবিবিএস, এমএস(কলোরেক্টাল সার্জারী)
মহিলাদের জন্য বিশেষজ্ঞ সার্জন
বৃহদান্ত্র ও পায়ুপথ রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন।
*অধ্যাপক ডা: মো: বাহারুল ইসলাম
এম.বি.বি.এস, এফ.সি.পি.এস (সার্জারী)
জেনারেল ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জন
অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান (সার্জারী বিভাগ)
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
*ডা: মো: সফি উল্লাহ
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এফসিপিএস(সার্জারী)
ফেলো মিনিমাল এক্সেস সার্জন অফ ইন্ডিয়া
জেনারেল ও ল্যাপারস্কপিক সার্জন
সহকারী অধ্যাপক (সার্জারী)
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী।
*ডা: মো: আবু বকর সিদ্দিক
এমবিবিএস, এফসিপিএস(সার্জারী)
ল্যাপারস্কপিক ও জেনারেল সার্জন
অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
সার্জারী বিভাগ
ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী।
অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান(অব)
সার্জারী বিভাগ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী।
* ডা: ফারহান ইমতিয়াজ চৌধুরী
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এফসিপিএস(সার্জারী),এফআইএজিইএস(ইন্ডিয়া)
রেজিষ্ট্রার (এন্ডোক্রাইন সার্জারী),
জেনারেল ,ব্রেস্ট, কোলারেকটাল সার্জন, ল্যাপরোস্কোপিক সার্জন
ল্যাপরোস্কোপিক সার্জারীতে উচ্চতর প্রশিক্ষন প্রাপ্ত( ইন্ডিয়া)
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
*ডা: এইচএনএম শফিকুজ্জামান
এমবিবিএস, এফসিপিএস(সার্জারী)
সহকারী অধ্যাপক
সার্জারী বিভাগ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
*ডা: আ.ন.ম মোজাম্মেল হক
এমবিবিএস, এফসিপিএস(সার্জারী)
জেনারেল ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জন
সহকারী অধ্যাপক
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
ব্রেস্ট টিউমার অপারেশন খরচ
ব্রেস্ট টিউমারের অপারেশনের খরচ বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমনঃ অপারেশনের ধরন, চিকিৎসার ধরণ, চিকিৎসার স্থান, চিকিৎসার পরিসংখ্যান, ঔষধের ব্যবহার ইত্যাদি। সাধারণত সরকারি হাসপাতালের তুলনায় বেসরকারি হাসপাতালে বেস্ট টিউমার অপারেশন খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। সরকারি হাসপাতালে যেখানে ব্রেস্ট টিউমার অপারেশন খরচ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে হয়।
অপরদিকে বেসরকারি কোন ক্লিনিক বা হাসপাতালে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। তাই সরকারি হাসপাতাল হোক বা বেসরকারি হাসপাতাল ব্রেস্ট টিউমার অপারেশনের খরচ নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের উপর। আমার প্রতিবেদনের মাধ্যমে নিম্নে আলোচনা করতে চলেছি ব্রেস্ট টিউমার অপারেশনের খরচ নির্ধারণের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয়।
- অপারেশনের ধরণঃ ব্রেস্ট টিউমারের অপারেশনের ধরণ নির্ভর করে টিউমারের ধরণ, আকার, এবং অবস্থানের উপর। একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করার মাধ্যমে অপারেশন ধরণ সম্পর্কে অবগত হতে হয় এবং অপারেশনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়।
- ঔষধের ব্যবহারঃ কিছু ব্রেস্ট টিউমারের চিকিৎসার জন্য কেমোথেরাপি বা অন্যান্য ঔষধের ব্যবহার প্রয়োজন হতে পারে। এই ঔষধের খরচ অপারেশনের খরচ বা মূল্যকে আরও বাড়াতে পারে।
- চিকিৎসার স্থানঃ চিকিৎসার স্থান অর্থাৎ হাসপাতালের উপর অনেকটা ব্রেস্ট টিউমার অপারেশন খরচ নির্ভর করে। অপারেশন কোথায় হয়েছে এবং আপনার চিকিৎসার স্থান খরচের উপর প্রভাব ফেলে।
- হাসপাতালের খরচঃ অপারেশনের জন্য হাসপাতালের খরচ ব্রেস্ট টিউমার অপারেশনের সঙ্গে জড়িত। অর্থাৎ হাসপাতালে খরচ বাড়লে আপনার বেস্ট টিউমার অপারেশন খরচ সাধারণভাবে বেড়ে যাবে।
- এছাড়াও সাধারণত, ব্রেস্ট টিউমারের অপারেশনের মৌলিক খরচ হিসাবে চিকিৎসার মূল্য, শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ঔষধের মূল্য, হাসপাতালের ভাড়া, ডাক্তারের ফি, এবং পোস্ট-অপারেশনাল সেবা যোগ করা হয়।
ব্রেস্ট টিউমার অপারেশন
ব্রেস্ট টিউমার অপারেশন হলো স্তনের টিউমার (স্তনের গাঠা) কেটে বের করার জন্য অপারেশনের একটি প্রক্রিয়া। এই অপারেশন স্তনের যেকোনো অংশে যে কোনো ধরণের টিউমার সরিয়ে ফেলতে করা হয়ে থাকে। ব্রেস্ট টিউমার অপারেশন যে সময় প্রয়োজন হয়, তা নির্ভর করে টিউমারের ধরণ, আকার, স্থান এবং রোগীর শারীরিক পরিস্থিতির ওপর। বিভিন্ন ধরনের বেস্ট টিউমার অপারেশন করা যেতে পারে। সাধারণত, ব্রেস্ট টিউমার অপারেশন নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি অনুসরণ করে।
- লুম্পেকটোমিঃ এটি স্তনের ক্ষেত্রে সম্প্রতি চিকিৎসা যা টিউমার বা গাঠা অপসারনে জন্য ব্যবহৃত হয়। এই প্রক্রিয়াতে টিউমারটি এবং স্তনের সাথে সংগঠিত সমস্ত মাংসপেশী সরিয়ে নেয়া হয় এবং স্তনকে উচ্চমাত্রায় ফিক্স করে রাখা হয়।
- মাসটেকটোমি বা সুদূর স্তন টিউমার অপারেশনঃ যদি টিউমার স্তনের গভীরে অবস্থিত হয়, সেক্ষেত্রে চিকিৎসক টিউমারটি স্তনের উচ্চতা থেকে অনুপ্রদান করে সরাতে পারেন।
- মাস্টেক্টমিঃ যদি টিউমার বৃহত্তর বা স্তনের বাকি অংশগুলির সাথে মিশে থাকে, তবে সম্পূর্ণ স্তন অপারেশনের জন্য অস্ত্রপ্রচার দ্বারা চিকিৎসার প্রয়োজন হওয়াটাই হল মাস্টেক্টমি।
এই অপারেশনের প্রক্রিয়ায় বিস্তারিত জানতে আপনার চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
শেষ কথা
পাঠক, আশা করি আমার এই প্রতিবেদনটি পড়ে আপনাদের ভালো লেগেছে। এই প্রতিবেদনটি পড়ার মাধ্যমে ইতিপূর্বে আপনারা জানতে পেরেছেন ব্রেস্ট টিউমারের লক্ষণ ও প্রতিকার ও ব্রেস্ট টিউমার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রাজশাহী সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য। এ প্রতিবেদনটি পড়ার মাধ্যমে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন। তবে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এরকম গুরুত্বপূর্ণ আরো পোস্ট পেতে আমার ওয়েবসাইটটি প্রতিনিয়ত পরিদর্শন করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url