গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ ও আলসার থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
সুপ্রিয় পাঠক,গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ ও আলসার থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানার জন্য খোজাখুজি করছেন? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনারা জন্য। এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন আলসার রোগের লক্ষণ ও আলসার থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।
তাই গ্যাস্টিক আলসার রোগের লক্ষণ ও আলসার থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানার জন্য আপনাকে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে ও ধৈর্য ধরে পড়তে হবে। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়তে আপনার ভালো লাগবে। তাহলে পাঠক চলুন সময় নষ্ট না করে জেনে নিন গ্যাস্টিক আলসারের রক্ষণ ও আলসার থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
উপস্থাপনা
আমাদের দেশে গ্যাস্টিক আলসার একটি অতি পরিচিত রোগ। ছোট বড় সকল বয়সের মানুষ এই গ্যাস্টিক আলসারে ভোগে। আলসারে আক্রান্ত রোগীর পেটে জালা পোড়া, ব্যথাসহ অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। যে সকল ব্যক্তি এই আলসারে ভোগেন একমাত্র তারাই বোঝেন এই রোগের যন্ত্রণা ও ভয়াবহতা সম্পর্কে।
আমার এই আর্টিকেলটিতে আমি আলোচনা করার চেষ্টা করেছি গ্যাস্টিক আলসারের লক্ষণ ও আলসার থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। তাই আপনার কাছে আনুরোধ রইলো এই আর্টিকেলটি সসম্পূর্ণ পড়াত জন্য। আমি আরও আলোচনা করবো গ্যাস্টিক আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা, আলসার রোগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রাজশাহী, আলসার রোগের ঔষধ
গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ
গ্যাস্ট্রিক আলসার হল পাকস্থলী ও ক্ষুদ্রান্তের স্তরে সৃষ্ট ছোট বড় ক্ষত। যার কারণে পাকস্থলীর অভ্যন্তরে রক্তপাত ও ইনফেকশন হয়ে থাকে। অনিয়মিত খাদ্যভাস এবং অনিমিত জীবন যাপনের কারণেই এই গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগটিতে অনেকেই ভুকে থাকেন। বর্তমান বিশ্বের প্রায় ২.৪% থেকে ৬.১% মানুষ গ্যাস্ট্রিক আলসার সমস্যায় ভুগছেন। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা গ্যাস্ট্রিকের আলসারের লক্ষণ সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না।
এর ফলে গ্যাস্ট্রিক আলসারে আক্রান্ত ব্যক্তির সমস্যা আরও দ্বিগুণ হয়। গ্যাস্ট্রিক আলসারের কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে। আমার এই প্রতিবেদনটিতে আলোচনা করতে চলেছি গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ সম্পর্কে। এই প্রতিবেদনটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণগুলো নিম্নে গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
- পেটের উপরিভাগে ব্যথাঃ গ্যাস্ট্রিক আলসারের সবথেকে বেশি পরিচিত ও সাধারণ লক্ষণ হল পেটের উপরিভাগে তীব্র ব্যথা। এই ব্যাথা সাধারণত পাকস্থলী ও ক্ষুদ্রান্তে হয়ে থাকে। গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে পেটে জ্বালাপোড়া তীব্র ব্যথা ও হালকা ব্যথা অনুভূত হয়।
- বমি বমি ভাবঃ গ্যাস্ট্রিকাল সারে আরেকটি সাধারণ লক্ষণ হল বমি বমি ভাব। আলসার পাকস্থলীর পাচক রসের রসায়ন পরিবর্তন করে এর ফলে বমি বমি ভাব। হয় এই বমি ভাব সাধারণত সকালে বেশি হয়। অনেক সময় খাবার খাওয়ার পর পেটে ব্যথা অনুভূত হয় ও বমি বমি ভাব লাগে।
- পেট ফেঁপে যায়ঃ গ্যাস্ট্রিক আলসারের আরেকটি লক্ষণ হল পেট ফাঁপা। আলসার রোগের লক্ষণ হিসেবে পেট ফাঁপা আলসারের প্রাথমিক উপসর্গ। অল্প পরিমাণে খাবার বা পানীয় খেলেও পেট স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ফেঁপে যায়।
- বমি হয়ঃ অনেক সময় বমি বমি ভাব যখন তীব্র পর্যায়ে চলে যায় তখন বমি হয়। গ্যাস্ট্রিক আলসারের কারণে বমি হয় ফলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়।
- ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়ঃ এ রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর খাবারের প্রতি অনীহা চলে আসে এবং খোদামন্দা দেখা দেয়। খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায় এবং মাঝে মাঝে বমি হয় যার ফলে রোগীর ওজন দ্রুত কমে যায়।
- স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঢেকুর ওঠাঃ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঢেকুর ওঠা গ্যাস্ট্রিক আলসারের আরেকটি লক্ষণ। আক্রান্ত রোগীর খাওয়ার ইচ্ছা যেহেতু কমে যায়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার না খেলেও অতিরিক্ত ঢেকে ওঠে।
- বুক জ্বালাপোড়া করাঃ যে কোন খাবার খেলে বুক প্রচন্ড জ্বালাপোড়া করে। এ বুক জ্বালাপোড়া করার জন্য দায়ী গ্যাস্ট্রিক আলসার।
- রক্তপাত হওয়াঃ গ্যাস্ট্রিক আলসারে আক্রান্ত হলে রোগী বমি করার সময় বা মলত্যাগের সময় রক্তপাত হতে পারে।
গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীর খাদ্য তালিকা
- ফুলকপি
- বাঁধাকপি
- ব্রোকোলি
- গাজর
- দই
- মধু
- রসুন
- গ্রিন টি
- যষ্টিমধু
- অলিফ অয়েল
- মূলা
- আপেল
- স্ট্রবেরি
- বেল পিপার বা ক্যাপসিকাম
আলসার থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
যে কনো বয়সী মানুষের গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পেটে ক্ষত হতে পারে। হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি নামক এক বিশেষ ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারনে পাকস্থলিতে আলসার বা ঘা হয়। আলসার হলে রোগীকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবনের পাশাপাশি বিশেষ কিছু খাদ্য তালিকা অনুসরন করতে হয়। এই খাবারগুলো খাওয়ার মাধ্যমে ঘরোয়া উপায়ে আলসার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ঘরোয়া উপায়ে এই খাদ্য তালিকা অনুসরন করে নিয়মিত খেলে গ্যাস্ট্রিক আলসার সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস্ব হয়। চাইলে আপনিও আলসার থেকে ঘরোয়া উপায়ে মুক্তি পেতে পারেন। এর জন্য আপনাকে আমার এই প্রতিবেদনটি ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে। পাঠক বন্ধুগণ, তাহলে চলুন জেনে নিন গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।
- ফুলকপিঃ ফুলকপিতে আছে সালফোরাফেন নামক উপাদান যা হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি ব্যাকটিরয়া ধ্বংস্ব করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ফুলকপি খেলে পাকস্থলিতে থাকা ব্যাকটেরিয়ার অক্রমণ ৭৮% কমাতে সাহায্য করে।
- বাঁধাপকপিঃ পাকস্থলিতে পিএইচ এর মাত্রা কম বা বেশি হলে আলসার হয়। বাঁধাপকপিতে রয়েছে এমাইনো এসিড গুলটামিন। এই উপাদানটি আলসার সারাতে সাহায়্য করে। এছাড়াও বাঁধাকপিতে রয়েছে ভিটামিন সি যা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণকে হ্রাস করে।
- যষ্টিমধুঃ যষ্টিমধু প্রাচীনকাল থেকেই মাহাঔষুধ হিসেবে সবার কাছে অনেক বেশি পরিচিত। গ্যাস্ট্রিক আলসারের বিপক্ষে লড়ে যষ্টিমধু। যষ্টিমধুতে পেটের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- নারিকেলঃ নারিকেলের দুধ ও পানিতে ব্যাকটেরিয়ারোধী উপাদান রয়েছে। এই আন্টি- ব্যাকটেরিয়া উপাদান ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। নারিকেলের পানি পাকস্থলিকে ঠান্ডা রাখে এবং পেটের ব্যাথা কমায়।
- মেথিঃ আলসারের ক্ষত বা ঘা সারাতে মেথি একটি শক্তিশালি খাদ্য উপাদান ও আয়ুর্বেদিক ঔষধ। মেথি ভিজিয়ে রেখে সকাল বেলা খালি পেটে প্রতিদিন খেলে গ্যাস্ট্রিক আলসার অনেকটা সেরে যায়। মেথি স্বাদে তিতো হওয়ায় আপনি চাইলে মেথির সাথে মধু মিশিয়েও খেতে পারেন।
- কলাঃ কলা কাঁচা হোক বা পাঁকা দুই অবস্থাতেই কলায় রয়েছে ব্যাকটেরিয়ারোধী উপাদান। এই উপাদান ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়ে। এছাড়াও অম্লীয় ও গ্যাস্ট্রিক রস বের করার ফলে খাবার হজমে সাহায্য করে। তাই আপনারা যারা গ্যাস্ট্রিক আলসারে ভুগছেন তারা প্রতিদিন কলা খেতে পারেন।
- স্ট্রবেরিঃ পাকস্থলীর আলসার সারাতে স্ট্রবেরি একটি উপকারী ফল। বেবেরিতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা আলসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ টা স্ট্রবেরি খেলে আলসারের ক্ষত বা ঘা দ্রুত ভালো হয়।
- মূলাঃ মূলা আঁশ জাতীয় খাবার যা পরিপাকে সাহায্য করে। মূলা খেলে আলসার রোগিদের পেটে ব্যথা ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়।
- দইঃ দই খেলে খাবার হজম হয় এটা আমরা সবাই জানি। এতে থাকা ল্যাকটোবেসিলাস আলসার ভালো করতে ও খাবার হজমে সাহায্য করে।
- সবুজ শাকসবজিঃ আলসার রোগিদের প্রচুর সবুজ শাক সবজি খাওয়া দরকার। সবুজ শকসবজি আলসার ভালো করতে সাহায্য করে।
আলসার কত দিনে ভালো হয়
আলসার কত দিনে ভালো হয় তা নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের উপর। যেমনঃ আলসারের ধরন, সাধারনত আলসার যদি প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে তাহলে ১থেকে ২ মাসের মধে ভালো হয়ে যায়। আলসারের তীব্রতা, যদি আলসারের তীব্রতা কম হয় এবং আলসারের ক্ষত অল্প হয়। তাহলে আলসার দ্রুত ভালো হয়ে যায়। তরুণদের হালসার বয়স্কদের তুলনায় খুব দ্রুত ভালো হয়ে যায়।
এছাড়া যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি সে সকল আলসার রোগীদের দ্রুত আলসার ভালো হয়। নিয়মিত ঘুম, ব্যায়াম এবং পুষ্টিকর খাবার খেলে আলসার ভালো হতে বেশিদিন লাগে না। তাছাড়া ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আলসারের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নিয়মিত ওষুধ সেবন করলে আলসার খুব দ্রুত ভালো হয়। অপরদিকে যে সকল রোগীদের ডায়াবেটিস হৃদরোগ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে আলসার ভালো হতে অনেক সময় লাগে।
আলসার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রাজশাহী
*ডা: মো: আব্দুল আলীম
এমবিবিএস, এফসিপিএস (মেডিসিন), এমডি(গ্যাষ্ট্রো), এফএসিপি(আমেরিকা)
পরিপাকতন্ত্র ও লিভার ব্যাধি বিশেষজ্ঞ
সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান গ্যাস্ট্রো এন্টারোলজী বিভাগ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী।
*ডা: গোলাম মাসুদ
এমবিবিএস, এমডি (হেপাটলজী)
লিভার ও পরিপাকতন্ত্র রোগ বিশেষজ্ঞ
অধ্যাপক
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী।
*ডা: মোহা: হারুন অর রশীদ
এমবিবিএস, এমসিপিএস (মেডিসিন),
এমডি(লিভার), এফএসিপি(আমেরিকা)
লিভার পরিপাকতন্ত্র ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
লিভার বিভাগ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী।
*ডা: মো: খালেকুজ্জামান সরকার (কাজল)
এমবিবিএস(ঢাকা মেডিকেল কলেজ), এমডি(গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজী),
বিএসএমএমইউ(ঢাকা), এমএসিপি(আমেরিকা), এমএসিজি(আমেরিকা), পিএইচডি(ফেলো)
পরিপাকতন্ত্র, লিভার, প্যানক্রিয়াস ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
সহকারী অধ্যাপক
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, রাজশাহী
ইন্টারভেনশনাল গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিষ্ট এন্ড হেপাটোলজিষ্ট।
*ডাঃ সুবীর আনন্দ বিশ্বাস
এমবিবিএস, বিসিএস, এমডি (পেডিয়াট্রিক গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি)
পেডিয়াট্রিক গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি এবং লিভার বিশেষজ্ঞ
সহকারী অধ্যাপক
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
*ডা: মো: শফিকুল ইসলাম
এমবিবিএস, সিসিডি, এমডি(গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজী)
কনসালটেন্ট
পরিপাকতন্ত্র, অগ্নাশয় ও লিভার রোগ বিশেষজ্ঞ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
*ডাঃ মনজুরুল চৌধুরী
এমবিবিএস(ঢাকা), এফসিপিএস (মেডিসিন),
এমডি (গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজী)
সহযোগী অধ্যাপক, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজী বিভাগ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী।
*ডাঃ মাহাফুজ্জামান
এমবিবিএস, এমডি গ্যাস্ট্রোএস্টারোলোজী (বিএসএমএমইউ)পরিপাকতন্ত্র,
লিভার ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
সহকারী অধ্যাপক (গ্যাস্ট্রো-এস্টারোলোজী)
ইসলামি ব্যাংক মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী
*ডাঃ মোঃ মামুন-উর রশিদ
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমসিপিএস(মেডিসিন),
এফসিপিএস (মেডিসিন), এমএসিপি(আমেরিকা),
এমডি (গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি)
গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
কনসালটেন্ট, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল রাজশাহী।
*ডাঃ মোঃ বদরুল আলম
এমবিবিএস, বিসিএস এমডি শিশু (গ্যাসস্ট্রোএন্টরোলজি)
শিশু পরিপাকতন্ত্র (পেট) লিভার ও শিশু বিশেষজ্ঞ
সহকারী অধ্যাপক
শিশু (গ্যাসস্ট্রোএন্টরোলজি) এন্ড নিউট্রিশন
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, রাজশাহী।
শিশু পরিপাকতন্ত্র (পেট) লিভার ও শিশু বিশেষজ্ঞ
গ্যাস্ট্রিক আলসারের ঔষধ
গ্যাস্ট্রিক আলসারের ঔষধ সেবনের আগে অবশ্যয় একজন গ্যাস্ট্রিক আলসার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তারপর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে। গ্যাস্ট্রিক আলসারের চিকিৎসা কেমন হবে বা কি ধরনের ঔষধ খেলে রোগী দ্রুত সুস্থ হবে সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে একজন চিকিৎসকের উপর। রোগী প্রাথমিক অবস্থায় সঠিক চিকিৎ্সা পেলে অধিকাংশ সময় গ্যাস্ট্রিক আলসার ভালো হয়ে যায়।
গ্যাস্ট্রিক আলসারের রোগীকে ডাক্তার বা চিকিৎসকগণ যে সকল ঔষধ দিয়ে থাকেন সেগুলোর মধ্যে প্রথমেই প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর (পিপিআই) গ্রুপের ঔষধ খেতে পরামর্শ দেন। এই গ্রুপের ঔষধগুলো সাধারনত গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ হিসেবে সুপরিচিত। এছাড়াও নন কিছু (পিপিআই) গ্রুপের ঔষধও সেবন করতে দেন। নিম্নে গ্যাস্ট্রিক আলসারের কিছু ঔষধের নাম দেওয়া হল।
- ওমিপ্রাজল
- ইসোমিপ্রাজল
- ন্যাপ্রক্সেন
- , অ্যাসপিরিন
- ল্যানসোপ্রাজল
- ফ্যামোটিডিন
- ডেক্স-ল্যানসোপ্রাজল
- এসিক্লোফেনাক
- ডাইক্লোফেনাক
- অ্যান্টাসিড
- সুক্রালফেট
- বিসমাথ
উপসংহার
সম্মানিত পাঠক, আমার এই আর্টিকেলের একেবারে শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। আশা করি আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং পড়ে আপনার ভালোও লেগেছে। তাই এই আর্টিকেলটি ইতিপূর্বে পড়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন গ্যাস্টিক আলসারের লক্ষণ ও আলসার থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে সামান্য পরিমান উপকৃত হয়ে থাকেন।
তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু ও প্রিয়জনদের সাথে ছড়িয়ে দিন। এই রকম আরও গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে আমার এই ওয়েবসাইটটিতে প্রতিদিন পরিদর্শন করুন।আবারও দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলের মাধ্যমে। ভালো থাকুন ও সুস্থ থাকার জন্য রোগের প্রতি সচেতন হোন। আল্লাহ হাফেজ ❤️
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url