তেজপাতা দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায় জেনে নিন

পাঠক, তেজপাত দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায় জানার জন্য আপনি কি অনুসন্ধান করছেন। তাহলে আপনি ঠিক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন। আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন তেজপাত দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায়। তাই এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
তেজপাত দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায়
আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে এই আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে সহজেই জেনে যাবেন তেজপাতা দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায়। তাহলে চলুন আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে জেনে নিন তেজপাতা দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায়। চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

উপস্থাপনা

আমাদের দেশে গ্রীষ্মকালে অর্থাৎ গরমের সময় মশার উপদ্রব্য সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায়। দিন হোক কিংবা রাত মশার উৎপাত সবসময় থাকে। রাতে ঘুমানোর সময় মশারি না টাঙ্গালে মশার কামড়ে ঘুম হারাম হয়ে যায়। আমার এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আলোচনা করতে চলেছি তেজপাতা দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায়। 

তাই আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনি ধৈর্য ধরে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন তেজপাতা দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে আপনার কাঙ্ক্ষিত জানার বিষয়টি বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।

মশা

মশা এক প্রকারের ছোট মাছি প্রজাতির পতঙ্গ। এই ছোট্ট প্রজাতির পতঙ্গটি প্রাণীর রক্ত পান করতে পছন্দ করে। মশাকে রোগ জীবাণু সংক্রমণকারী পতঙ্গ বলা হয়। মশার মাধ্যমে ম্যালেরিয়ার , ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়া, পীতজ্বর ও চিকা ভাইরাস প্রভৃতি রোগ সংক্রমিত হয়ে থাকে।

প্রাণীদের রক্তের প্রোটিন অংশটি কাজে লাগিয়ে মশা ডিম পাড়ে তাই মশা রক্ত খায়। নারী মশা সাধারন্ত ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ বেঁচে থাকে। আর পুরুষ মশা বাচেঁ একদিন। এই ছোট প্রজাতির পতঙ্গ দীর্ঘ ২৫০০ বছর বিশ্বের বুকে টিকে আছে।

তেজপাতা দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায়

মশার উৎপাতে কমবেশি আমরা সকলেই অতিষ্ঠ। ঘরে বাইরে সবখানে মশার রাজত্ব। মশা বিভিন্ন রোগের জীবাণু বহন করে। মশার কামড় থেকে রেহাই পেতে আমরা কোয়েল ও স্প্রে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু তাতেও মশার উৎপাত যেন কমেই না। এছাড়া কয়েল ও স্প্রে ব্যবহারের ফলে মানুষের শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হতে পারে। 

তাই আপনি চাইলে আপনার বাসায় থাকা তেজপাতা দিয়ে মশা তাড়াতে পারেন। মশার উৎপাত ও যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে তেজপাতা দিয়ে কিভাবে মশা তাড়ানো যায়। এ বিষয় নিয়ে আপনার সাথে আলোচনা করতে চলেছি। তেজপাতা দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায় টি খুব সহজ। তেজপাতা মশা তাড়ায় জাদুর মত। 

এর জন্য প্রথমে আপনাকে নিমের তেল ও কর্পূর নিতে হবে। তারপর নিমের তেলের সাথে কর্পূর মিশিয়ে সেই কর্পূর মিশ্রিত তেলটুকু একটি স্প্রে বোতলে ঢেলে নিন। এরপর একটা বড় মাপের তেজপাতা নিয়ে সেই তেজপাতার উপর কর্পূর মিশ্রিত তেলটুকু অল্প অল্প করে কয়েকবার স্প্রে করুন। 

তারপর তুই আজ পাতাটি পুড়িয়ে দিন। তেজপাতাটি যখন পুড়বে তখন তেজপাতা থেকে নির্গত ধোঁয়া মুহূর্তের মধ্যে ঘর ছেড়ে মশা তাড়াবে। তেজপাতার ধোয়া শুয়ে জন্য ক্ষতিকর না তাই আপনি চাইলে এখনি এই পন্থাটি অবলম্বন করতে পারেন।

রসুন দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায়

রসুন দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায় শুনলে অনেকেই মশকরা ও হেসে থাকেন। বলেন যে রসুন দিয়েন মশা আবার কিভাবে তাড়ানো সম্ভব। সে সকল ভাই ও বোনদের জানার উদ্দেশ্যে বলতে চাই। জ্বী হ্যাঁ, রসুন দিয়েও মশা তাড়ানো সম্ভব। আর রসুন দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায়টি খুব সহজ। 

কেননা রসুন আমাদের সকলের বাড়িতে রান্নার মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাই রসুন যেহেতু সহজলভ্য তাই আপনি চাইলে সহজেই রসুন দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায়টি অবলম্বন করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে বাড়তি কোনো খরচ করতে হবে না। 

সংক্ষিপ্ত আলোচনার মাধ্যমে জেনে নিন রোশন দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায়। কর্পূরের মত রসুনের গন্ধও মসা সহ্য করতে পারে না। তাই রসুনের গন্ধ হলো মশার শত্রু। তাই একটি পাত্রে অল্প পরিমাণ পানি নিয়ে সেখানে বাসায় থাকা রসুনের কয়েক কুয়া দিয়ে পানিটুকু কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। 

ফোটানো পানিটুকু যখন হালকা ঠান্ডা হবে তখন সমস্ত ঘরের টু একটু করে স্প্রে করুন। লক্ষ্য করে দেখবেন অল্প সময়ের মধ্যে ঘর থেকে মশা উধাও। আপনি চাইলে রসুন দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায়টি আপনার বাসায় এপ্লাই করতে পারেন।

কর্পূর দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায়

কর্পূরে এক ধরনের গন্ধ থাকে। কর্পূরে থাকা গন্ধ মশা মোটেও সহ্য করতে পারে না। অনেকেই কর্পূর দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায় জানতে চান। কর্পূর দিয়ে মশা তাড়ানোর খুব সহজ। আমারে প্রতিবেদনটির মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করতে চলেছি কর্পূর দিয়ে মশা তাড়ানোর সহজ উপায়।

কর্পূর সহজলভ্য এবং এর দামও কম। স্থানীয় হাট বাজারে ফার্মেসী গুলোতে সচরাচর কর্পূরের ট্যাবলেট কিনতে পাওয়া যায়। তাই আপনি চাইলে একটি ৫০ গ্রামের কর্পূর ট্যাবলেট নিয়ে আসুন। তারপর একটি ছোট বাটিতে পানি দিয়ে ৫০ গ্রামের ট্যাবলেটি পানির মধ্যে ছেড়ে দিন। 

এরপর কর্পূর দেওয়া পানির বাটিটি ঘরের এক কোণে রেখে দিন। লক্ষ্য করে দেখুন অল্প সময়ের মধ্যে ঘর থেকে মশা টাইপ হয়ে যাচ্ছে। কর্পূর দেওয়া পানির বাটিটির পানি দুইদিন পর পর পরিবর্তন করুন। আপনি চাইলে কর্পূর মিশ্রিত পানি পরিবর্তন করার সময় ওই পানি দিয়ে ঘরের মেঝে পরিষ্কার করতে পারেন এতে করে বাসায় পিঁপড়ার উপদ্রব্য কম হবে।

লেবু দিয়ে মশা তাড়ানোর

লেবু দিয়ে মশা তাড়ানো যায়। হ্যাঁ যায়। যদি লেবু দিয়ে মশা তাড়াতে চান তাহলে আমার এ প্রতিবেদনটি গুরুত্ব সহকারে পড়ুন। লেবু দিয়ে মশা তাড়ানোর জন্য প্রথমে আপনাকে একটা ছোট সাইজের লেবু নিয়ে কয়েক খণ্ড করে কেটে নিতে হবে। এরপর কাটা লেবুর প্রতিটি খন্ডের উপর লবঙ্গ গেঁথে দিতে হবে। 

লেবুর উপর লবঙ্গ গাথার সময় অবশ্যই মনে রাখতে হবে যেন লবঙ্গের মাথার উপরে অংশটুকু বাইরে থাকে। তারপর লবঙ্গ কথা সেই লেবুর খন্ড গুলো ঘরের চার কোণাতে রেখে দিতে হবে। এভাবে লেবুর উপর লবঙ্গ গেঁথে ঘরে রেখে দিলে মশার উৎপাদব্য থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। আপনি চাইলে এভাবে লেবু দিয়ে মশা তাড়াতে পারেন।

মশার কামড় থেকে বাঁচার দোয়া

দিন দিন মশার অত্যাচার বেড়েই চলেছে। মশার কামড়ের ফলে মানুষের ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়ার মত ভয়ানক রোগ গুলো হয়ে থাকে। বর্তমানে আমাদের দেশে এই রোগগুলোর ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে। কোন ভাবেি যেন কমছে না। এই ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া কারনে অনেক মানুষের মৃত্যু ঘটছে। 

এই পরিস্থিতিতে মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। এর সাথে বাড়ির আশপাশ পরিস্কার পরিছন্ন রাখতে হবে। বাড়ির আশপাশ পরিস্কারের সাথে সাথে বাসায় থাকা ফুলের টব, টায়ার, ডাবের খোল, ভাঙা কাতারি, ও ছাদে পানি জমতে দেয়া যাবে না। 

এই সতর্কতা গুলো পালন করার সাথে সাথে মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বান্দার দোয়া কখনো ফেলে দেন না। নবী কারীম (সাঃ) উম্মাদদেরকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নানা রকম দোয়া শিখিয়েছেন। সেই দোয়া গুলোর মধ্যে একটি দোয়া হল - ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ বা জীবজন্তুর অনিষ্ঠ থেকে বাঁচার দোয়া। 

দোয়াটি হলঃ উচ্চারণঃ "আউযু বি কালিমা-তিল্লাহি তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাক।"

অর্থঃ আল্লাহর পূর্ণ কালিমার বিনিময়ে তার সৃষ্টির সব (বিষাক্ত) প্রাণীর অনিষ্টতা থেকে পরিত্রাণ চাচ্ছি। (আবু দাউদ-৩৮৯৮)

উপরোক্ত দোয়াটি যারা নিয়মিত পড়বে বা আমল করবে, মহান আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে বিষাক্ত সাপ, বিচ্ছু , মশাসহ সকল প্রকার পোকামাকড় ও ক্ষতিকর প্রাণীর হাত থেকে রক্ষা করবে।

মশা তাড়ানোর স্প্রে

বাড়িতে, অফিসে কিনবা বাড়ির ব্যালকনিতে সবখানে মশার উৎপাত দিন দিন বেড়েই চলেছে। মশার উৎপাত যেন কোনভাবেই কমছে না। এই অবস্থাতে মশা তাড়ানোর জন্য সবথেকে কার্যকরী হলো স্প্রে। এই রকম পরিস্থিতিতে মশার উপাদব্য বেশি হোক বা কম হোক মশা তাড়ানোর জন্য স্প্রে গুডনাইট পাওয়ার শর্টস ব্যবহার করতে পারেন। 

ঘরের কোনাতে কোনাতে গুড নাইট পাওয়ার সট স্প্রে করলে মশার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। এছাড়াও মশা তাড়ানোর স্প্রে হিসেবে এরোসল ব্যবহার করতে পারেন। তবে মশা তাড়ানোর জন্য এই সকল স্প্রে গুলো অতিমাত্রায় ব্যবহার না করাটাই ভালো। অতিমাত্রায় ব্যবহার করলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হতে পারে।

লেখকের শেষ কথা

আশা করি, আপনি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে ও ধর্য ধরে পড়েছে এবং পড়ার মাধ্যমে ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন তেজপাতা দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায়। তাই এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার প্রিয়জনদের সাথে সেয়ার করুন। 

আরও গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমার www.sumonworld.com ওয়েবসাইটটিতে প্রতিদিন পরিদর্শন করুন। আবারও দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলের মাধ্যমে। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি। ভালো থাকুন ও প্রিয় মানুষদের ভালোবাসুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url