রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য সমূহ নাম জেনে নিন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য সমূহ নাম সম্পর্কে আপনি কি তেমন কিছুই জানেন না? এ বিষয়ে জানার জন্য আপনি কি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে খোঁজাখুঁজি করছেন? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য খুব দরকারী ও প্রয়োজনীয় হতে চলেছে। কেননা এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভাস্কর্য সমূহের নাম।
এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য এই আর্টিকেলটি আপনাকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে ও ধৈর্য ধরে পড়তে হবে। তাহলে আপনি জানতে পারবেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য সমূহ নাম। তাহলে চলুন এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে জেনে নিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য সমূহ নাম সম্পর্কে।
ভূমিকা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৩ সালে ৬ জুলাই। প্রাচ্যের ক্যামব্রিজ খ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রেলওয়ে স্টেশন ও ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে রাজশাহী শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত।
আমার আজকের এই আর্টিকেলটিতে আলোচনা করতে চলেছি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য সমূহ নাম ও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য সমূহের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটনা সম্পর্কে। এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে।
আরোও জানতে পারবেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত ব্যক্তি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সমূহ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য কে? এই সকল বিষয় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে। তাহলে চলুন আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য সমূহ নাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য সমূহের নাম সম্পর্কে আমরা অনেকেই তেমন কিছু জানি না। অনেকে লোকমুখে কিছু কিছু শুনে থাকতে পারি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য সমূহের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটনা রয়েছে যা আমাদের সকলের জানা উচিত। আমার আজকের এই আর্টিকেলটিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভাস্কর্য সমূহের নামের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি এই ভাস্কর্য সমূহ সম্পর্কে জেনে আপনি উপকৃত হবেন।
শহীদ মিনার কমপ্লেক্স
বর্তমানে বাংলাদেশে স্কুল ও কলেজে ছোট-বড় অনেক শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপনের মূল লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের মাঝে এদেশের ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ত্যাগের কথা স্মরণের জন্য। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের জন্য এদেশের অগণিত ছাত্র শিক্ষক তাদের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন।
স্কুল ও কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের আকৃতি একই রকমের। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের অবকাঠামোতে রয়েছে কিছুটা ভিন্নতা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত শহীদ মিনারটি মূল প্রশাসন ভবনের ঠিক পূর্ব দিকে অবস্থিত। এই শহীদ মিনারটি চারটি স্তম্ভ দিয়ে ছয় কোণা প্লাটফর্মের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
সাবাশ বাংলাদেশ
সাবাশ বাংলাদেশ এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত একটি ভাস্কর্য। এই ভাস্কর্যটি হাজার ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতীকী ভাস্কর্য। সাবাস বাংলাদেশ ভাস্কর্যটি বাংলাদেশের বৃহত্তম একটি ভাস্কর্য। এ ভাস্কর্যটি তৈরি করেছেন নতুন কুন্ডু। সাবাস বাংলাদেশ ভাস্কর্যটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে অবস্থিত।
১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানে সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। ১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের জীবন বাঁচাতে শহীদ হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহা। যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় ও চির অম্লান করে রাখার জন্য উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ।
এ ভাস্কর্যটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিমেন্ট ভবনের দক্ষিণ পাশে নির্মাণ করা হয়। সাবাস বাংলাদেশ ভাস্কর্যটি নির্মাণ কাজ শেষ করা হয় ১৯৯২ সালে ১০ই ফেব্রুয়ারি। এ ভাস্কর্যটি কংক্রিতের তৈরি যার ফলক উম্মোচন করেন জাহানারা ইমাম। মূল ভাস্কর্যটি ৪০ বর্গফুট মাপের একটি বেদির উপর অবস্থিত। ভাস এই ভাস্কর্যটিতে রাইফেল হাতে দুজন মুক্তিযোদ্ধাকে দেখা যায়।
দুইজন মুক্তিযোদ্ধাকে খালি গায়ে উপস্থাপন করা হয়েছে এ ভাস্কর্যটিতে। এদের মধ্যে একজন লুঙ্গি পরা এবং মাথায় গামছা বাঁধা গ্রামীণ যুবা–কৃষকসমাজের প্রতিনিধি। তার এক হাতে রাইফেল ধরা। মুষ্টিবদ্ধ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ অন্য হাতটি ওপরে উত্থিত। আরেকজন যুবক প্যান্ট পরিহিত শহরের যুবকের প্রতিনিধিত্ব করছে। সে দুই হাত দিয়ে ধরে রেখেছে রাইফেল।
আরও পড়ুনঃ রাজশাহী বিভাগ সম্পর্কে তথ্য জেনে নিন
কোমরে তার গামছা বাধা এবং বাতাসে ঝাপটায় চুলগুলো পেছনের দিকে সরে যাচ্ছে। সিঁড়ির অপর মঞ্চের পেছনে নারী-পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ সমাজের সব বয়সী মানুষের মিছিলের এক দৃশ্য। , রাইফেল হাতে যুবক-যুবতী ও একতারা হাতে বাউল এবং গেঞ্জি পরা এক কিশোর তাকেই আছে পতাকার দিকে। এই সাবাস ভাস্কর্যটি সবমিলে বাংলার জনজীবনের ছবি।
এ ভাস্কর্য টির মাধ্যমে শিল্পী নতুন কুন্ডু বুঝেছেন মুক্তিযুদ্ধে গণমানুষের সম্পৃক্ত তার কথা। মূল ভাস্কর্যের পেছনে রয়েছে ৩৬ ফুট উঁচু একটি স্তম্ভ। এর ভেতরে রয়েছে ৫ ফুট ব্যাসে গোলাকার শূন্যতা যা স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকার প্রতীক। ভাস্কর্যে স্থান পেয়েছে তরুণ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতার কয়েকটি লাইন। যা হলো-
“সাবাস বাংলাদেশ
এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়
জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার
তবু মাথা নোয়াবার নয়। ”
বিদ্যার্ঘ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য সমূহের মধ্যে বিদ্যার্ঘ ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হাবিবুর রহমান হলের সামনে অবস্থিত। এদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মকর্তী এবং কর্মচারীদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম ও বলিষ্ঠ।
১৯৭১ সালে ২৫ শে মার্চ কাল রাত্রে পাকিস্তানি বাহিনীর অধিকৃত আক্রমণ চালিয়ে নিরীহ বাঙালিকে নিশ্চিহ্ন করার যে প্রচেষ্টা চালিয়েছিল, তাতে আক্রান্ত হয়েছিল বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। পরবর্তীতে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী একটি বড় অংশ ঘাঁটি ঘিরে বসেছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়।
সে সময় যেসকল বাংলা মায়ের বীর সন্তানেরা তাদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে পাক হানাদার বাহিনীকে এদেশ থেকে নির্মূল করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে স্মরণীয় ও অবরণী হয়ে আছেন তাদের মধ্যে অধ্যাপক হাবিবুর রহমান অন্যতম। অধ্যাপক হাবিবুর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের একজন শিক্ষক ছিলেন।
হাবিবুর রহমানকে ১৫ ই এপ্রিল নিজ বাসা থেকে ধরে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে নিয়ে যা হয় এবং সেখানে তাকে হত্যা করা হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক হাবিবুর রহমানের সর্বোচ্চ ত্যাগের সম্মানে একটি হলের নামকরণ করেন। এরপর তিনিসহ বিশ্ববিদ্যালয় যে সকল বুদ্ধিজীবী স্বাধীনতার যুদ্ধে জীবন দিয়ে গেছেন তাদের স্মৃতিতে বিদ্যার্ঘ’।
ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেন। বিদ্যার্ঘ ভাস্কর্যটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হাবিবুর রহমান হকের থেকে প্রায় ২০ ফিট সামনে নির্মাণ করা হয়। এ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করতে প্রায় তিন লক্ষ টাকা খরচ করা হয়। ২৬ শে মার্চ ২০১১ সালে এ ভাস্কর্যটি উন্মোচন করা হয়। বিদ্যার্ঘ ভাস্কর্যটির স্থপতি শাওন সগীর সাগর।
এই ভাস্কর্যটিতে রয়েছে। প্রায় পাঁচ ফিট লম্বা আকৃতির দুজন মুক্তির যোদ্ধা যাদের একজনের হাতে একটি বন্ধু আর অন্যজনের হাতে রয়েছে একটি কলম। এই ভাস্কর্যটিতে। বন্ধুকে যে কলমে উচ্চতা উপরে দেখানো হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীন করার জন্য একজন বন্ধুর হাতে যুদ্ধ করেছেন এবং অন্যজন যুদ্ধ করেছেন কলমের মাধ্যমে।
তাই কলম সৈনিক বা বুদ্ধিজীবীদের অবস্থান একজন অস্ত্রধারী যোদ্ধার চেয়ে অনেক উপরে যা শিল্পী ভাস্কর্যের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে। বিদ্যার্ঘ ভাস্কর্যটি সাদা রংয়ের। যা দেখে মনে হয় বর্তমান প্রজন্মের জন্য আলো ছড়াচ্ছে। এ ভাস্কর্যটি দাঁড়িয়ে আছে একটি ষষ্ঠ ভূজের উপর।
সফুলিঙ্গ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত ব্যক্তি
রাজশাহীতে আনেক বিখ্যাত ব্যক্তি রয়েছেন শিক্ষা, শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি, সমাজসেবা, রাজনীতি বিভিন্ন বিষয়ে এই সকল ব্যক্তিবর্গ তাদের নিজ নিজ অবদানের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছের। প্রিয় পাঠক, আজ আমরা এদের মধ্যে কয়েকজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের সম্পর্কে জানবো। তাহলে চলুন জেনে নিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বিখ্যাত ব্যক্তি সম্পর্কে।
মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা
১ মে, ১৯৩৪ সালে বাঁকুড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ব্রিটিশ ভারতে মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা জন্মগ্রহণ করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা।তিনি ১৯৬৯ সালের ফেব্রয়ারি মাসে পাকিস্থানি আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের রক্ষা করতে গিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে শহীদ হন।
আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান
আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি নাটোর জেলায় মামার বাড়িতে ২৬শে জুন ১৯২৩ সালের জন্মগ্রহণ করেন। শহীদ কামারুজ্জামানের পৈতৃক নিবাস ছিল রাজশাহী জেলার কাদিরগঞ্জ এলাকায়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে অস্থায়ী সরকারের স্বরাষ্ট্র, কৃষি, ত্রাণ ও পুনর্বাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ বাসায় নিহত হন। সে সময় আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামানসহ আরো ৩ নেতাকে কারাবন্দী করা হয়। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ভোরে জাতীয় এই চার নেতাকে গুলি করে হত্যা করে হয়। এজন্য ৩ নভেম্বর নাংলাদেসগের ইতিহাসে “জেল হত্যা দিবস” হিসেবে পরিচিত।
এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন
এ এইচ এম(আবুল হাসনাত মোহাম্মদ) খায়রুজ্জামান লিটন ১৪ আগস্ট ১৯৫৯ সালে রাজশাহী জেলার কাদিরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আবুল হাসনা মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ও মাতার নাম জাহানারা বেগম । এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।তিনি ২০২৩ সালে আবার মেয়র নির্বাচিত হন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য কে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসি বা উপাচার্য কে এই বিষয়টি আমাদের অনেকেরি অজানা। আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনার অজানা বিষয়টি জানতে পারবেন। ১৯৫৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে ড. ইসরাত হোসেন জুবেরি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসি বা উপাচার্য নিযুক্ত হন। তিনিই হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম ভিসি বা উপাচার্য।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সমূহ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মোট হোল সংখ্যা হচ্ছে ১৭টি। এই ১৭ টি হলের মধ্যে ছেলেদের জন্য রয়েছে ১১ টি হল এবং মেয়েদের জন্য ৬ টি হল। নিম্নে হল সমূহের নাম উল্লেখ করা হলো।
ছেলেদের হল মোট ১১ টি। হল সমূহের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
- নবাব আবদুল লতিফ হল
- মতিহার হল
- শের-ই-বাংলা ফজলুল হক হল
- সৈয়দ আমীর আলী হল
- শাহ্ মাখদুম হল
- শহীদ শামসুজ্জোহা হল
- মাদার বক্স হল
- শহীদ হবিবুর রহমান হল
- শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী হল
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল
- শহীদ জিয়াউর রহমান হল
মেয়েদের ৬টি হলসমূহ হলো-
- বেগম খালেদা জিয়া হল
- বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল
- মন্নুজান হল
- রোকেয়া হল
- তাপসী রাবেয়া হল
- রহমতুন্নেসা হল
মন্তব্য
পাঠক, আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারী ও ধৈর্য ধরে পড়েছেন। পড়ার মাধ্যমে ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য সমূহ নাম সম্পর্কে। আপনার যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লেগে থাকে। তবে আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন।
এই রকম আরো গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে নিয়মিত আমার www.sumonworld.com ওয়েবসাইটটি পরিদর্শন করুন। আপনি চাইলে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আবারও দেখা হবে নতুন কোন এক আর্টিকেলের মাধ্যমে। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি। ভাল থাকুন এবং প্রিয়জনদের ভালবাসুন। আল্লাহ হাফেজ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url