অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায়
আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক, অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় আপনি কি জানতে চাইছেন? তাহলে আপনি সঠিক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন। আপনাকে আমার ওয়েবসাইটে স্বাগতম। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে।
সুতরাং, অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানার জন্য আপনাকে এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে এবং ধৈর্য ধরে পড়তে হবে। তাহলে আপনি জানতে পারবেন অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায়। তাহলে চলুন দেরি না করে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে নিন।
ভূমিকা
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উপর দিয়ে হয়ে যাচ্ছে প্রচণ্ড তাপদাহ। এ সকল দেশগুলোর মধ্যে আমাদের দেশে রয়েছে। অতিরিক্ত গরমে মানুষের অবস্থা নাজেহাল। এ তীব্র তাপদাহে ও অতিরিক্ত গরমে শুকিয়ে যাচ্ছে পুকুর নদী নালা ও খাল বিল। এই তাপদহ দিন দিন যেন বেড়েই চলেছে।
ফলে ঘরের বাইরে বের হলে যেন মনে হয় আগুনের আভা গায়ে লাগছে। এ সময় পিপাসায় গলা শুকিয়ে যায়। বৈশাখ মাসের শুরু থেকেই অতিরিক্ত গরম অতীব্র তাপদেহ শুরু হয়ে থাকে। এতে জনজীবন সহ সকল জীবের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে ওঠে। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করতে চলেছি।
অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে আপনি আরও জানতে পারবেন অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার দোয়া। আরো জানতে পারবেন অতিরিক্ত গরমে কি কি সমস্যা হয় এবং শরীরে অতিরিক্ত গরম লাগার কারণ সম্পর্কে। তাহলে চলুন সময় নষ্ট না করে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায়
অতিরিক্ত গরমের কারণে ঘরে বসে থাকলে চলবে না। কেননা দৈনন্দিন জীবনে আমাদের বিভিন্ন রকম কাজকর্মের জন্য ঘরের বাইরে যেতে হয়। আর ঘরের বাইরে বের হলে যেন সূর্যের তাপ শরীরে এসে লাগে। এই সূর্যের তাপের কারণে অতিরিক্ত গরম সহ্য করেও আমাদের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেতে হয়।
কর্মজীবীদের অফিস ও অন্যান্য গন্তব্য কর্মস্থলে যেতে হয়।
তাই অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার জন্য আমাদের কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়। এ সকল প্রয়োজনও পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে রাখলে গরম থেকে অনেকটা বাঁচা সম্ভব হয়। সুপ্রিয় পাঠক মন্ডলী, এই তীব্র তাপদাহে অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় আপনাদের সাথে উপস্থাপন করব। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপসমূহ।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করাঃ অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার প্রধান উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম উপায় হল পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা। অতিরিক্ত গরমে কারণে আমাদের শরীর থেকে ঘাম ও প্রসাবের মাধ্যমে প্রায় ১ থেকে ১.৫ লিটার পানি প্রতিদিন বের হয়ে যায়। আর স্বাভাবিকের চেয়ে শরীর থেকে বেশি পরিমাণে পানি বের হয়ে গেলে শরীরে দেখা দেয় পানি শূন্যতা।
আর পানি শূন্যতার কারণে ডিহাইড্রেশন হয়। তাই শরীর থেকে পানি শূন্যতা দূর করতে এবং ডিহাইড্রেশনের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার সাথে সাথে বিভিন্ন রকম ফলের জুস, যাবে পানি খেতে হবে। অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার জন্য সবসময় মাথায় রাখতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার বিষয়ে।
খাবার স্যালাইনঃ অতিরিক্ত গরমের কারণে শরীর থেকে পানি বের হওয়ার সাথে সাথে প্রয়োজনীয় লবনও বের হয়ে যায়। ফলে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পানি ও লবণের ঘাটতি দূর করার জন্য খাবার স্যালাইন খাওয়া খুব কার্যকরী। শরীরের ক্লান্তি ভাব দূর করতে এবং শরীরকে সতেজ রাখতে খাবার স্যালাইন খাওয়া দরকার।
এজন্য আধা লিটার পানির সাথে এক প্যাকেট স্যালাইন ভালোভাবে মিশিয়ে খেলে তৎক্ষণাৎ খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন রকম স্বাদযুক্ত স্যালাইন খেয়ে থাকেন। সতর্কতা স্বরূপ বলতে চায় আপনারা ভুলেও এমনটা করবেন না।
শরীরের দুর্বল ভাব দূর করতে ওরস্যালাইন সবচেয়ে ভালো। তবে যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা হাই প্রেসার রয়েছে তাদের স্যালাইন খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কেননা বেশি স্যালাইন খেলে যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের অনেক সমস্যা হতে পারে। তাই স্যালাইন খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
নিয়মিত গোসল করাঃ অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার জন্য নিয়মিতভাবে প্রতিদিন গোসল করতে হবে। প্রয়োজনে দিনে ২ থেকে ৩ বারও গোসল করতে পারেন। প্রতিদিন গোসল করলে শরীর থেকে অতিরিক্ত তাপ বের হয়ে যায় ফলে শরীর সতেজ ও সুস্থ থাকে। তবে গোসল করার ক্ষেত্রে একটু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
আর তা হলো বাইরের রোদ থেকে এসে সাথে সাথে গোসল করা উচিত না। বাইরে রৌদ্রে থেকে আসার পর খানিকটা বিশ্রাম নেয়ার পর গোসলে যেতে হবে। কেননা হঠাৎ করে বাইরের সূর্যের তাপ থেকে এসে গোসল করলে বিভিন্ন রকম সমস্যা হতে পারে।
বিনা প্রয়োজনে ঘরে বাইরে না যাওয়াঃ অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে বিনা প্রয়োজনে অর্থাৎ কোন প্রয়োজন ব্যতীত ঘরে বাইরে যাওয়া মোটেও উচিত না। যদিও আমাদের বিভিন্ন রকম কাজকর্মের কারণে ও দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য ঘরের বাইরে যেতে হয়। তাই সে ক্ষেত্রে ঘরের বাইরে যাওয়ার জন্য অবশ্যই সাথে ছাতা নিতে হবে।
কেননা ছাতার ব্যবহার আমাদের অনেকটা রোদের হাত থেকে বাঁচায়। আমরা যখন বাইরে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কারণে অবস্থান করবো তখন ছাতা ব্যবহারে পাশাপাশি যতটুকু সম্ভব যেখানে গাছ আছে অর্থাৎ ছায়াযুক্ত স্থানে অবস্থান করার চেষ্টা করব। এতে করে অতিরিক্ত গরমে হাত থেকে নিজেকে অনেকটা বাঁচানো সম্ভব হবে।
সতেজ সবুজ শাকসবজি খাওয়াঃ অতিরিক্ত গরমে শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত সতেজ সবুজ শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন। কেননা সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন রকম ভিটামিন ও মিনারেল এবং খনিজ উপাদান বিদ্যমান থাকে। এর ফলে অতিরিক্ত গরমে শরীরকে বিভিন্ন রকম অসুখের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে এবং অসুখ হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। এছাড়াও সবুজ শাকসবজি সহজে পরিপাক হয়ে হজম হতে সাহায্য করে।
বিভিন্ন রকম টক জাতীয় ফল খাওয়াঃ অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় তথা সুস্থ থাকার উপায় হিসেবে প্রতিদিন বিভিন্ন রকম টক জাতীয় ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। অবশ্যই মনে রাখতে হবে টক জাতীয় ফল খাওয়াটা যেন পরিমাণ মতো হয়। টক জাতীয় ফল যেমনঃ কামরাঙ্গা, লেবু, তেতু্ল, কমলালেবু, আঙ্গুর, আমড়া ইত্যাদি।
আমাদের মধ্যে অনেকেরই গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা থাকে। যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে সে সকল ব্যক্তিদের টক জাতীয় ফল খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে অথবা বিরত থাকতে হবে। টক জাতীয় ফল খাওয়ার ব্যাপারে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে, খালি পেটে খাওয়া যাবে না।
পাতলা সুতি কাপড় পরিধান করাঃ অতিরিক্ত গরমের সময় পাতলা সুতি কাপড় এবং ঢেলাঢেলা কাপড় পরিধান করা উচিত। পাতলা ঢিলাঢালা সতী কাপড় পড়লে গরম অনেকটা কম লাগে। তাই অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার জন্য অবশ্যই পাতলা সুতি কাপড় এবং সেই কাপড়টি যেন সাদা রঙের হয় এমন কাপড় ব্যবহার করতে হবে।
কেননা সাদা কাপড় তাপকম শোষণ করে অন্যান্য রঙের কাপড়ে তুলনায়। তাই অতিরিক্ত গরমের সময় সাদা রঙের কাপড় পরলে তাপের প্রতিফলন ঘটে এবং গরম কম লাগে। তাই অতিরিক্ত গরমে আমাদের কাপড় পরিধানের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
চা ও কফি এবং ধূমপান পরিত্যাগ করাঃ চা, কফি ও অ্যালকোহল এবং অতিরিক্ত ধূমপান আমাদের শরীরে তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে তোলে। তাই অতিরিক্ত গরমে অতিরিক্ত চা কফি অ্যালকোহল এবং ধূমপান করলে শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পেয়ে হতে পারে হিটস্ট্রোক।
সুতরাং অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে এ সকল জিনিসগুলো খাওয়া বা পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আমাদের সকলের মনে রাখা উচিত অতিরিক্ত গরমে সুস্থ থাকার জন্য নিজেদের অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
শারীরিক পরিশ্রম না করাঃ আমাদের চারপাশে এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যারা প্রচন্ড গরমের সময় অতিরিক্ত শারীরিক ব্যায়াম ও বিভিন্ন রকম শারীরিক পরিশ্রম করে থাকেন। প্রচন্ড গরমে অতিরিক্ত শারীরিক ব্যায়াম করলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয়ে যায়। তাই অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার জন্য শারীরিক ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম কম করতে হবে।
অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার দোয়া
অতিরিক্ত গরম হলো জাহান্নামের নিঃশ্বাস। তাই যখন অতিরিক্ত গরম পড়ে তখন সেই গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বড় বড় সূরা দিয়ে নফল নামাজ আদায় করতে হযবে। হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যখন অতিরিক্ত গরম পরবে তখন বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করো।
কারণ অতিরিক্ত বা প্রচন্ড গরম হলো জাহান্নামে নিঃশ্বাস (মিশকাতঃ আয়াত ৫৯১)। মহান আল্লাহ তালার ক্রোধ থেকে বাঁচার জন্য মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আমাদের বিভিন্ন দোয়ার শিখিয়েছেন। সে সকল দোয়া গুলোর মধ্যে থেকে এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া নিম্নে উচ্চারণ সহ দেওয়া হল।
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন যাওয়ালি নি'মাতিকা ওয়া তাহাওউলি আফিয়াতিকা ওয়া ফুজাআতি নিক্বমাতিকা ওয়া জামি'য়ি সাখাত্বিকা।
অর্থঃ হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই আপনার নিয়ামতের বিলুপ্তি, আপনার অনুকম্পার পরিবর্তন, আকস্মিক শাস্তি এবং আপনার সমস্ত ক্রোধ থেকে।
অতিরিক্ত গরম থেকে মুমিনদের জন্য রয়েছে শিক্ষা। কেননা জাহান্নামের আগুনের উত্তাপ পৃথিবীর আগুনে চেয়ে প্রায় ৭০ গুণ বেশি। তাই পৃথিবীর এই অতিরিক্ত গরম থেকে জাহান্নামের তীব্রতার পরিমাণ অনুমান করে আমাদের সকলকে গুনাহ থেকে মুক্ত থাকতে হবে।
অতিরিক্ত গরমে কি কি সমস্যা হয়
গ্রীষ্মকালে বেশ কিছুদিন বৃষ্টি না হওয়ার ফলে অতিরিক্ত গরম লাগে এবং সকলের অবস্থা নাজেহাল হয়ে যায়। অতিরিক্ত গরম এবং রোদে তীব্রতার কারণে বিভিন্ন রকম রোগ ও স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। পরিবেশবিদ দের মতে, অতিরিক্ত গরমে প্রয়োজন ব্যতীত ঘরের বাইরে যাওয়া উচিত নয়। প্রচন্ড গরমে বিশেষ করে বয়স্ক এবং বাচ্চাদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়।
কেননা অতিরিক্ত গরমে সবচেয়ে বেশি বয়স্ক ব্যক্তি ও বাচ্চারাই বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকে। আমাদের সকলের জানা উচিত অতিরিক্ত গরমে কি কি সমস্যা হয় সে সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক অতিরিক্ত গরমে কি কি স্বাস্থ্য সমস্যা হয়। নিম্নে অতিরিক্ত গরমে যে সকল সমস্যাগুলো হয় সেগুলো উল্লেখ করা হলোঃ
- জ্বর
- কাশি
- পানি শূন্যতা
- হিটস্ট্রোক
- চর্মরোগ
- ডায়রিয়া
- বদহজম
- শ্বাসকষ্টের রোগ
- নিউমোনিয়া
- পানিবাহিত টাইফয়েড ও জন্ডিস
- মানসিক স্বাস্থ্যের ঝুঁকি
শরীরে অতিরিক্ত গরম লাগার কারণ
শরীরে অতিরিক্ত গরম লাগার বিভিন্ন রকম কারণ রয়েছে। মানুষের গড় স্বাভাবিক শরীরের তাপমাত্রা সাধারণত ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। সরিয়ে তাপমাত্রা সাধারণত বয়স কার্যকলাপ এবং দ্বীনের সময়ের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। যদিও সকল মানুষ উষ্ণ রক্তযুক্ত এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
আমাদের চারপাশে এমন অনেকে আছেন যাদের অন্যদের তুলনায় শরীরে অতিরিক্ত গরম লাগে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, যে সকল ব্যক্তিদের শরীরে বেশি পরিমাণে ফ্যাট রয়েছে তাদের অন্যদের তুলনায় অতিরিক্ত গরম লাগে। কেননা অতিরিক্ত ফ্যাট শরীরকে উত্তপ্ত করে রাখে।
আবার যাদের শরীরে ওজন কম তারা অতিরিক্ত ওজনের ব্যক্তিদের তুলনায় কম গরম অনুভব করে। এছাড়াও কিছু মেডিকেল কন্ডিশন মানুষের শরীরে তাপমাত্রাকে খেয়ে প্রভাবিত করে অতিরিক্ত গরম অনুভূত করায়। সুতরাং উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে বুঝতে পারছেন শরীরে অতিরিক্ত গরম লাগার কারণগুলো সম্পর্কে।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার এই প্রতিবেদনটি সসম্পূর্ণ পড়েছেন। আর পড়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে। আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে। তবে এই প্রআর্টিকেলটি সকলের মাঝে শেয়ার করুন এবং আরো নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে আমার www.sumonworld.com ওয়েবসাইটটি প্রতিনিয়ত পরিদর্শন করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url