মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি উপায় জানুন

পাঠক, আপনি কি মাথাব্যথা কমানো ১০ টি উপায় সম্পর্কে জানতে চাইছেন? এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে খোঁজাখুঁজি করছেন। তাহলে বলব আপনি সঠিক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি উপায় সম্পর্কে।

মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি উপায় জানুন

মাথা ব্যথা সমস্যায় কম-বেশি সকলেই ভোগেন। তাদের মধ্যে আপনি যদি একজন হন তাহলে আপনার জন্য এই আর্টিকেলটি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কেননা এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে ও ধৈর্য ধরে পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন মাথা ব্যথা কমানো ১০টি উপায়। তাহলে চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

উপস্থাপনা

মাথাব্যথা, সিফালালজিয়া নামেও বেশ পরিচিত। প্রত্যেক মানুষই তার জীবনের কোনো না কোনো একটা সময় মাথাব্যথায় আক্রান্ত হন। মাথাব্যথা যার ইংরেজি (Headache) একটি অতি পরিচিত অসাধারণ সমস্যা। মাথা ব্যথার বিভিন্ন রকম কারণ রয়েছে। রোগ নির্ণয়ের জন্য মাথাব্যথা কে দুই ভাগে ভাগ করা যায় প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি। 

প্রাইমারির মধ্যে রয়েছে মাইগ্রেন ও টেনশন। আর সেকেন্ডারির মধ্যে রয়েছে মাথা আঘাত পাওয়া, টিউমার ও ইনফেকশন। আজকের এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি উপায়ে সম্পর্কে। 

এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি আরোও জানতে পারবেন মাথা ব্যথার কারণ, মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম ও মাথা ব্যথা কমানোর দোয়া এবং মাথা যন্ত্রণা কমানোর ব্যায়াম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। তাহলে চলুন সময় নষ্ট না করে বিস্তারিত আলোচনা গুলো পড়ে নিন।

 মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি উপায় 

মাথা ব্যথার সমস্যা কমবেশি সকল বয়সী মানুষের হয়ে থাকে। মাথাব্যথায় ভোগেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কষ্টসাধ্য। আমরা সকলে কমবেশি মাথাব্যথা রোগটি সাথে পরিচিত। মাথা ব্যথা একটি অসহ্য ও যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। কারো কারো মাথাব্যথা সামান্য কারণে এবং কারো ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম বড় অসুখের জন্য হয়ে থাকে। 

আবার যে সকল ব্যক্তি অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করেন। যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে এবং যারা অতিরিক্ত ধূমপান ও মধ্যান করে তারা মাথাব্যথা সমস্যায় সবথেকে বেশি ভোগেন। এছাড়াও বেশি ব্যথানাকশ ওষুধ সেবনের ফলে এবং শরীরে পানি শূন্যতা হলেও মাথাব্যথা হয়। 

তাই মাথা ব্যথা সমস্যার সঠিক কারণ অনুসন্ধান করার জন্য যথাযথ চিকিৎসা নেয়া একান্ত প্রয়োজন।অনেকে মাথা ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে চলুন মাথাব্যথা কমানোর ১০ টি উপায় নিম্নে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হলো-

১। পর্যাপ্ত পানি পান করাঃ শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিলে শরীর ডিহাইড্রেট হয় ফলে মাথা ব্যথা শুরু হয়।মাথা ব্যথার অন্যতম কারণ হলো শরীরের পানি শূন্যতা। তাই শুয়ে পানি শূন্যতা দূর করার জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। 

পানি পানির পাশাপাশি বিভিন্ন রকম ফলের পান করতে হবে। এগুলোর পাশাপাশি ডাবের পানি ও স্যালাইন পানি খেলেও শরীরকে পানি শূন্যতা হাত থেকে রক্ষা করে মাথা ব্যথা কমানো সম্ভব হয়।

২। পর্যাপ্ত ঘুমানোর অভ্যাস করাঃ পর্যাপ্ত ঘুম মানুষের শরীরকে ক্লান্তি ভাব দূর করতে সাহায্য করে।প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুমালে শরীর মন প্রফুল্ল থাকে এবং কাজকর্মে মন বসে। তাই দৈনিক গড়ে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো একজন মানুষের জন্য অপরিহার্য। এ পর্যাপ্ত ঘুম মাথা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

৩। মাথায় মাসাজ করার অভ্যাস করাঃ মাথায় ম্যাসাজ করলে মাথায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এর ফলে ঘুম ভালো হয়। আর আমরা জানি ঘুম ভালো হলে মাথাব্যথা সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। অনেকের আবার মাথা ব্যাথার সময় হাতের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে মাথায় কিছুক্ষণ পর পর হালকা ভাবে ম্যাসাজ করলে মাথা ব্যথা কমে যায়।

৪। আদাঃ আদাতে এমন এক ভেষজ উপাদান রয়েছে যা মাথার রক্তনালীর ব্যথা বা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। আদা চা মাথা ব্যথা কমাতে সবথেকে বেশি কার্যকরী। এছাড়াও যাদের মাথা ব্যথা সমস্যা রয়েছে তারা আদাকে বেটে পেস্ট করে দুই চা চামচ পানির সাথে মিশিয়ে এটি কপালে লাগিয়ে রাখলে মাথা ব্যথা কমে যায়। আবার মাথা ব্যথা কমানোর জন্য আদা ভালোভাবে পানিতে সিদ্ধ করে সেই পানিতে ভাব নিলে মাথা ব্যথা কমে যায়।

৫। পুদিনা পাতাঃ পুদিনা পাতাতে রয়েছে আয়ুর্বেদিক ও ভেষজ উপাদান ম্যানথল ও ম্যানথন। পুদিনা পাতার এই উপাদানগুলো মাথাব্যথা দ্রুত কমানোর জন্য খুব উপকারী। তাই যাদের মাথা ব্যথা রয়েছে তারা পুদিনা পাতার বেটে রস করুন এবং সেই রস কপালে লাগিয়ে রাখুন। আপনি চাইলে পুদিনা পাতার চা করেও খেতে পারেন। এতে মাথাব্যথা দ্রুত সেরে যায়।

৬। বরফের প্যাক ব্যবহার করাঃ অনেকে মাথা ব্যথা কমানোর জন্য বরফের প্যাক ব্যবহার করে থাকেন।মাথা ব্যথা দূর করতে বরফের প্যাক বেশ কার্যকরী। কয়েক টুকরো বরফ একটি নরম কাপড়ে রেখে মুড়ে নিতে হবে। আপনি চাইলে আইশ ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। বরফের টুকরো গুলো কাপড়ে মোড়ানোর পর সেটা দিয়ে কপালে সেঁক দিতে হবে। 

এভাবে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট সেঁক দিতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না বরফের টুকরো গুলো গলে পানিতে পরিণত না হয়। দেখবেন আস্তে আস্তে মাথা ব্যথা কমতে শুরু করেছে। তবে খেয়াল রাখবেন এই বরফের সেঁক যেনো বেশিক্ষণ ধরে দেওয়া না হয়। বেশিক্ষণ ধরে বরফের সেঁক দিলে সর্দি লেগে গিয়ে জ্বর ও কাশি হতে পারে।

৭। মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকাঃ মানসিক চাপ ও বিভিন্ন রকম দুশ্চিন্তার কারণে মাথাব্যথা সমস্যা সব থেকে হয়ে থাকে। এজন্য মাথাব্যথা সমস্যা কমানোর জন্য সর্বপ্রথমে আমাদের মানসিক চাপ কম করতে হবে এবং বিভিন্ন রকম দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকতে হবে। ভালো কিছু চিন্তা করতে হবে এবং মনকে সব সময় শান্ত ও সতেজ রাখতে হবে।

৮। কফি পান করাঃ আদা চায়ের পাশাপাশি কফি পান করেও মাথাব্যথা কমানো সম্ভব। তাই প্রচন্ড মাথা ব্যথা কমানোর জন্য পরিমাণ মতো কফি পান করার অভ্যাস করুন। তবে মনে  রাখতে হবে বেশি পরিমাণে কফি খেলে শরীরের পানি ঘাটতি দেখা দেয়। তাই মাথা ব্যথা হলে পরিমাণ মতো কফি খাওয়ায় উত্তম।

৯। দারুচিনি ও লবঙ্গের গুরা ব্যবহারঃ দারুচিনি ও লবঙ্গের গুঁড়া মাথাব্যথা কমানোর জন্য দ্রুত কার্যকরী।তাই মাথা ব্যথা কমানোর জন্য দারুচিনি ঘোড়া করে সামান্য পানিতে মিশে পেস্ট বানিয়ে কপালে লাগালে মাথাব্যথা কমে যায়। আবার এক টুকরো ছোট কাপড়ে কয়েকটা লবঙ্গ নিয়ে গুড়া করে সেই কাপুড়ে মুড়িয়ে বারবার গন্ধ শুকলেও মাথাব্যথা নিরাময় হয়।

১০। আপেল সিডার ভিনেগারঃ আপেল সিডার ভিনেগার মাথা ব্যথা কমানোর জন্য উপকারী। আধা কাপ আপেল সিডার ভিনেগার ও আধা কাপ পানি একসাথে নিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর কপালে একটি পাতলা কাপড় রেখে দিয়ে তারপর ওই ফোটানো পানি দিয়ে আস্তে আস্তে ভাব দিতে হবে। এভাবে কিছুক্ষণ ভাব দিলে মাথাব্যথা দ্রুত কমে যাবে

মাথা ব্যথার কারণ

অনেকেই মাথাব্যথা কারণ সম্পর্কে জানতে চান। তাদের জন্য আজকের এই প্রতিবেদনটি। মাথা ব্যথার জন্য একটি মাত্র কারণ কে দায়ী করলে হবে না। মাথাব্যথা জন্য বিভিন্ন রকম কারণ দায়ী। তাই মাথা ব্যথার বিভিন্ন রকম কারণ রয়েছে। মাথাব্যথার জন্য যে সকল সাধারণ কারণ গুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যে হল- মাইগ্রেন, দুশ্চিন্তা, প্লাস্টার হেডেক। 

এছাড়াও রয়েছে আরো কিছু কারণ যেমন অসুস্থতা, আঘাত কিংবা অন্য কোন শারীরিক সমস্যার কারণেও মাথায় যন্ত্রণা বা ব্যথা হয়ে থাকে। আজকের এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে আমি আলোচনা করতে চলেছি মাথাব্যথার ভিন্ন ভিন্ন কয়েকটি কারণ নিয়ে। 

কেননা মাথাব্যথা এই কারণগুলো সম্পর্কে জানা থাকলে আমাদের চলার অভ্যাস ও দৈনন্দিন খাবার-দাবারে পরিবর্তন এনে সহজে মাথা ব্যথা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। নিম্নে মাথা ব্যথার কয়টি কারণ উল্লেখ করা হলো-

  • অ্যালার্জি
  • সাইনোসাইটিস 
  • অ্যালার্ম 
  • মাইগ্রেন 
  • ক্লাস্টার পেইন
  • ক্যাফেইন এর প্রভাব
  • মানসিক চাপ
  • টিএমজে
  • হজমে গন্ডগোলজনিত
  • জায়ান্ট সেল আথ্রাইটিস
  • খারাপ আবহাওয়া
  • মাথায় আঘাত
  • দাঁতের রোগ
  • খুবই ঠাণ্ডা পানীয়

মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম

অনেকেই মাথা ব্যথা কমানোর ঔষধের নাম সম্পর্কে জানতে চান। যাদের তীব্র মাথাব্যথা বা হালকা মাথাব্যথা রয়েছে তাদের এই মাথাব্যথার ১০টি ওষুধের নাম সম্পর্ক জেনে রাখা প্রয়োজন। কেননা মাথাব্যথা দ্রুত কমানোর এই দশটি ওষুধ আপনার দ্রুত মাথা ব্যথা কমিয়ে আপনাকে সুস্থ করতে সাহায্য করবে। 

গবেষণায় দেখা গেছে বিশ্বে প্রায় ২০০ চির বেশি বিভিন্ন রকমের মাথাব্যথা রয়েছে। একেকজনের মাথা ব্যথার কারণ এক এক রকম। বিশ্বের একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়েছে যে, বিশ্বের প্রায় ৪৫ থেকে ৫২ শতাংশ মানুষ প্রতিবছর মাথাব্যথার মত একটি যন্ত্রণাদায়ক সমস্যায় ভুগে থাকেন।

তবে যাদের বয়স ৩০ বছরের কম তাদের মাথা ব্যথার ঝুঁকির প্রবণতা অনেকটা কম থাকে। এই মাথাব্যথা ঘরোয়া উপায়ে ও বিভিন্ন রকম ওষুধ সেবন এর মাধ্যমে দূর করা সম্ভব। সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুগণ।, তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম-

মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম

১। Tufnil (টাফনিল) ২০০ মিলিগ্রাম

২। Napa extra (নাপা এক্সট্রা) ৫০০

৩। Tolfem (টলফেম) ২০০ মিলিগ্রাম

৪। Anilic (এনিলিক) ২০০ মিলিগ্রাম

৫। Arain (এ্যারেইন) ২০০ মিলিগ্রাম

৬। Migratol (মাইগ্রেটল) ২০০ মিলিগ্রাম

৭।Minopa (মিনোপা) ২০০ মিলিগ্রাম

8। Migrex (মিগরেক্স) ২০০ মিলিগ্রাম

9। Namitol (নেমিটল) ২০০ মিলিগ্রাম

১০। Lograin (লজরিন) ২০০মিলিগ্রাম 

মাথা ব্যথা কমানোর দোয়া

কোন রোগী ভালো না। আর যদি মাথাব্যথা হয় তাহলে তো বুঝতে পারছেন। মাথাব্যথা বেদনাদায়ক ও কষ্টদায়ক অতি পরিচিত একটি রোগ। মাথা ব্যথায় কারণে মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটে। অনেকে মাথা ব্যথা কমানোর জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করে।

অনেকে আবার বিভিন্ন রকম ওষুধ সেবন করেন। মাথা ব্যথা হলে অনেক সময় আমাদের বাড়িতে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র হাতের নাগালে থাকে না। তখন মাথা ব্যাথা কমানো বা মাথা ব্যথা দূর করার জন্য দোয়া সব থেকে বেশি উপকারী। 

পবিত্র কুরআনে মাথা ব্যথা দূর করার বিভিন্ন রকম দোয়া রয়েছে। এই সকল দোয়াগুলো মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। অনেকে আছেন যারা মাথা ব্যাথার দোয়া জানেন না। নিম্নে মাথাব্যথার দোয়া বাংলায় অর্থসহ উচ্চারণ দেয়া হলো

বাংলা উচ্চারণঃ  লা ইউসাদ্দাউনা আনহা ওয়া লা ইউনযাফুন। 

অর্থঃ যা পান করলে তাদের শিরঃপীড়া হবে না এবং বিকারগ্রস্তও হবে না। (সুরা: ওয়াক্বিয়া, আয়াত: ৫৬)

এ ছাড়া ১৯ বার ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতায়ানির রাজিম পড়া। এবং ২০ তম বার ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ পড়বে।

যেভাবে এই দোয়া পড়বেনঃ

যখন কারো প্রচন্ড মাথা ব্যথা শুরু হয়। তখন তার ডান হাত মাথায় চেপে ধরে উপরোক্ত এই দোয়াটি তিনবার পাঠ করতে হবে। ইনশাআল্লাহ মাথা ব্যথা দ্রুত কমে গিয়ে মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। কেননা মহান আল্লাহ তায়ালা তার পবিত্র কিতাব আল কুরআনে আমাদের সকল ধরনের বালা-মুসিবত ও রোগবালাই থেকে মুক্তির জন্য বিভিন্ন রকম দোয়া ও আমল উল্লেখ করেছেন।

আর এ সকল দোয়া ও আমল গুলোর আমাদের বিভিন্ন রকম রোগ বালাই থেকে সেফা দান করে। তাই বিভিন্ন রকম রোগবালয় থেকে মুক্তি পেতে কোরআনে উল্লেখিত বিভিন্ন রকম দোয়াগুলো আমরা বেশি বেশি পাঠ করার অভ্যাস করব এবং রোগ মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে প্রাণ খুলে দোয়া করব।

মাথা যন্ত্রণা কমানোর ব্যায়াম

মাথাব্যথা বা মাথা যন্ত্রণা কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম অনেক বেশি কার্যকর। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে যে সকল ব্যক্তিগণ নিয়মিত হাটাহাটি করে ও দৈনিক শারীরিক ব্যায়াম করেন তাদের মাথাব্যথা বা মাথা যন্ত্রণা হওয়ার প্রবণতা খুব কম থাকে। 

তাই মাথা ব্যথা বা মাথা যন্ত্রণা দূর করার জন্য আমাদের দৈনিক কিছু শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে তাহলেই আমরা মাথা যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে পারি। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক মাথার যন্ত্রণা কমানোর কিছু ব্যায়াম সম্পর্কে।

যোগব্যায়ামঃ বিভিন্ন ধরনের যোগ ব্যায়াম ও মেডিটেশন মাথা যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে। যোগব্যায়াম করলে শরীর হালকা ও ফুরফুরে থাকে এবং মাংশ পেশীতে রক্ত চলাচল বা সরবরাহ বাড়ে। যোগব্যায়ামের মাধ্যমে স্নায়ু থেকে এনডোরফিন নিঃসৃত হয়। 

এর ফলে উদ্বেগ জনিত মাথাব্যথা কমায়। যোগ যোগ ব্যায়ামগুলোর মধ্যে আপনার যে কোন একটি পছন্দের ব্যায়াম করতে পারেন। যেমনঃ সাইকেল চালানো সাঁতার কাটা হাটাহাটি করা বাগান করা নাচ করার ইত্যাদি অভ্যাস করা।

গভীর শ্বাসের ব্যায়ামঃ গভীর শ্বাসের ব্যায়ামের জন্য আপনাকে একটি নিরিবিলি স্থান নির্বাচন করতে হবে। এরপর মেঝেতে কার্পেট বা ম্যাট বিছিয়ে আরাম করে বসতে হবে। কার্পেট বা ম্যাটের উপর বসে থেকে এক থেকে পাঁচ পর্যন্ত গুনতে গুনতে গভীরভাবে শ্বাস নিতে হবে এবং আবার ৫ পর্যন্ত গুনতে গুনতে আস্তে আস্তে স্বাস ছাড়তে হবে। 

এভাবে কয়েকবার শ্বাস-প্রশ্বাসে এই রিদিমিক ব্রিথিং এক্সারসাইজ আপনার মাথার যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করবে। শারীরিক ব্যায়াম আমদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই প্রতিদিন ব্যায়াম করার অভ্যাস করতে হবে।

ঘাড় ও মাথার ব্যায়ামঃ ঘাড় ও মাথার ব্যায়াম মাথার যন্ত্রণা বা মাথাব্যথা কমিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঘাড় বা মাথার একটি কার্যকরী ব্যায়ামের নাম হল চিন টাগ। এই ব্যায়াম করার জন্য আপনার মাথাও ঘাড় সোজা রাখতে হবে এবং এক আঙ্গুল দিয়ে নিজের থুতনি স্পর্শ করতে হবে। 

এরপর ঘার শক্ত করতে হবে একই সাথে থুতনি পেছনের দিকে একটু যেন সরে আসে। এভাবে এই ব্যায়ামটি ৫ থেকে ১০ সেকেন্ড করুন। এভাবে দিনে কয়েকবার করুন দেখবেন মাথার যন্ত্রণা কমে যাবে।

মন্তব্য

সুপ্রিয় পাঠক, আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে ও ধৈর্য ধরে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন। এবং পড়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি উপায়। এই উপায় গুলো অবলম্বন করে আপনিও মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এই আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে আপনি যদি সামান্য পরিমাণ উপকৃত হয়ে থাকেন তবে আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন।

এবং তাদেরও জানার সুযোগ করে দিন মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি উপায় সম্পর্কে। আরোও গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমার ওয়েবসাইট www.sumomworld.com টিতে প্রতিনিয়ত পরিদর্শন করুন। আবারও দেখা হবে নতুন কোন এক আর্টিকেলের মাধ্যমে। আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url