পাইলস এর ফোলা কমানোর উপায়
পাইলস এর ফোলা কমানোর উপায় জানতে চান? পাইলসের ব্যথা ও জ্বালাপোড়া এবং ফোলা ভাব কমানোর জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনুসন্ধান করছেন। তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য উপকারী হতে চলেছে। এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন পাইলস এর ফোলা কমানোর উপায় সম্পর্কে।
তাহলে চলুন পাইলসের ফোলা কমানোর উপায় জানার জন্য এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে ও ধৈর্য ধরে পড়ে নিন। আপনারা যারা পাইলস এর ফোলা কমানোর উপায় জানতে চান তাদের জন্যই মূলত আজকের এই আর্টিকেলটি। তাহলে চলুন সময় নষ্ট না করে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
ভূমিকা
পাইলস হলো মলদ্বারে বা মলত্যাগের স্থানে রক্তনালীর প্রদাহ। পাইলস নানা কারনে হয়ে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো শরীরে পানি শূন্যতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, দীর্ঘ সময় ধরে একটানা বসে থাকা, অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম ও গর্ভাবস্থা। পাইলস হলে মলদ্বারে তীব্র ব্যথা, প্রচন্ড জ্বালাপোড়া, ও চুলকানি এবং রক্তপাত ঘটে।
আরও পড়ুনঃ পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়
শীতকালে পাইলস, কষ্ঠকাঠিন্য ও অর্শসহ মলদ্বারের বিভান্ন রকম জটিল রোগ মাথাচাড়া দিয়ে থাকে। এর প্রধান কারণ হলো শীতকালে আমদের স্বাভাবিকের তুলনায় পানি কম পান করা। প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগের চিকিৎসা না করার ফলে পরবর্তীতে এই রোগ জটিল আকার ধারণ করে।
এবং মলদ্বারে ব্যথা, ফুলে যাওয়াসহ বিভিন্ন রোগের উপসর্গ সৃষ্টি হয়। এই আর্টিকেলটিতে আমি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি পাইলস এর ফোলা কমানোর উপায় সম্পর্কে। আশা করি নিম্নক্তো আলোচনা গুলো পড়ে আপনার ভালো লাগবে। তাই আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে এই আর্টিকেলের সাথেই থাকুন।
পাইলস এর ফোলা কমানোর উপায়
বর্তমানে আমাদের দেশে পাইলস একটি অতি পরিচিত রোগ। নারী পুরুষ এমনকি শিশুও এ পাইলসে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এটি একটি যন্ত্রণাদায়ক ও অস্বস্তিকর রোগ। যারা পাইলসে আক্রান্ত হয় তাদের মলদ্বার ও মলদ্বারের আশেপাশের স্থান ফুলে যায় এবং সেখান থেকে প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হয় এবং জ্বালাপোড়া করতে থাকে।
তাই অনেকেই জানতে চান পাইলস এর ফোলা কমানোর উপায় সম্পর্কে। আজকের এই প্রতিবেদনটিতে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি ফাইলসের ফোলা কমানোর উপায় গুলো কি কি সে বিষয়ে।
তাই এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন পাইলসের ফোলা কমানোর উপায়। পাইলসের ফোলা ভাব কমে গেলে ব্যথাও এমনিতেই কমে যাবে। এখন চলুন তাহলে পাইলসের ফোলা কমানোর উপায় জেনে নিন।
১। গরম পানির ভাপঃ পাইলস এর ফোলা কমানোর সবথেকে কার্যকরী উপায় হল গরম পানির ভাপ বা সে্ক দেওয়া। গরম পানির ভাপ পাইলসের ফোলা ভাব কমাতে এবং আক্রান্ত স্থানে ব্যথা সারাতে খুব দ্রুত সাহায্য করে। গরম পানির ভাপ আমাদের মলদ্বারের রক্তনালী গুলোকে শিথিল করতে সাহায্য করে থাকে।
কিন্তু প্রশ্ন হল পাইলসের ফোলা স্থানে গরম পানির ভাব কিভাবে দিবেন? হ্যাঁ পাঠক বন্ধুগণ, এর জন্য আপনাকে ঔষুধালয় বা স্থানীয় ঔষধের দোকানগুলো থেকে একটি খালি স্যালাইনের ব্যাগ সংগ্রহ করতে হবে। আপনি চাইলে হর্ট ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। এরপর সেই স্যালাইন ব্যাগের মুখ দিয়ে পানি ভরে পূর্ণ করতে হবে।
তারপর একটি পাত্রে পানি গরম করতে হবে এবং সেখানে স্যালাইনের ব্যাগটি পাঁচ থেকে সাত মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর একটা কাপড় দিয়ে সেই স্যালাইনের ব্যাগটি তুলে নিয়ে মলদ্বারে ভাপ বা সেখ দিতে হবে। আপনি চাইলে পানি গরম করার জন্য একটি বাটি ও ব্যবহার করতে পারেন।
বাটিতে পানি গরম করে সেই গরম পানি একটি বড় গামলায় ঢেলে নিন এবং গামলায় আস্তে আস্তে বসুন। এমনভাবে বসবেন যাতে মলদ্বার হালকা গরম পানিতে ভিজে। এইভাবে ১০ থেকে ২০ মিনিট গরম পানির সেক বা ভাপ দিলে পাইলসের ফোলা ভাব দ্রুত কমে যায়। এই গরম পানির সেক বা ভাপ দেওয়ার জন্য আপনি হট ব্যাগও ব্যবহার করতে পারেন।
২। আইস প্যাক ব্যবহার করেঃ আইস প্যাক শুধু পাইলসের ফোলা ভাব কমায় না। যে কোনো ধরনের ফোলা ভাব কমাতে এবং ব্যাথা সারাতে সাহায্য করে। তাই আপনাদের যাদের পাইলসের ফোলা ভাব রয়েছে তারা এই ফোলা ভাব দূর করতে আইস প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। আইস প্যাক রক্তনালীকে সংকোচিত করে এবং দ্রুত ফোলা কমায়।
এর জন্য একটি পরিষ্কার কাপড় বা টাওয়ালে কয়েক টুকরো বরফ রেখে টাওয়েলটি মুড়িয়ে নিতে হবে। এরপর বরফের টুকরো রাখা টাওয়ালটি মলদ্বারের আশেপাশে যে স্থান ফুলে গেছে সেখানে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে বা ধরে রাখতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না বরফগুলো গলে যাবে ততক্ষণ সেখানে আইসপ্যাক এর ভাপ দিতে হবে।
৩। অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করেঃ অ্যালোভেরাতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা পাইলসের ফোলা ভাব কমাতে দ্রুত কাজ করে। তবে বাহ্যিক পাইলসের ফোলা ভাব কমানোর জন্য অ্যালোভেরা জেল বেশি ব্যবহৃত হয়।
এর জন্য অ্যালোভেরার গাছ থেকে একটি অ্যালোভেরার পাতা সংগ্রহ করে নিয়ে আসতে হবে। এরপর সেই পাতাটি পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিতে হবে এবং উপরের শক্ত অংশটি চাকু দিয়ে ছিলে নিতে হবে। ভিতরে যে স্বচ্ছ সাদা জেলের মত অংশটি থাকবে সেটি চামচ দিয়ে তুলে একটি পাত্রে রাখতে হবে।
এরপর পাত্রে রাখা অ্যালোভেরার থল থলে জেল টুকু ভালোভাবে চামচ দিয়ে নেড়ে নিতে হবে। এরপর সে জেল মলদ্বারের যে স্থান ফোলা রয়েছে সেখানে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করতে হবে। এভাবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ম্যাসাজ বা লাগিয়ে রাখলে খুব দ্রুত ফোলা ভাব কমে যাবে।
উপরোক্ত উপায় গুলো ছাড়াও পাইলস এর ফলা কমানোর বিভিন্ন উপায় রয়েছে। তবে উপরোক্ত উপায় গুলি বর্তমানে পাইলসের ফোলা কমানোর সবথেকে জনপ্রিয় উপায় হিসেবে বেশ পরিচিত। উপরোক্ত আলোচনার উপায় গুলোর পাশাপাশি পাইলসের ফোলা ভাব কমানোর জন্য বিভিন্ন রকম ওষুধ সেবন করতে হয়।
প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের স্প্রেও ব্যবহার করা লাগে। তবে ঔষধ ও স্প্রে ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে একজন পাইলস বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আশা করি উপরোক্ত আলোচনাগুলো পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন পাইলসের ফোলা কমানোর উপায় সম্পর্কে।)
পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায়
পাইলস প্রচন্ড পীড়াদায়ক রোগ। এই রোগের ব্যথা ও তীব্র হয়ে থাকে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৭৫% মানুষ এই পাইলস রোগে আক্রান্ত। বিশেষ করে ৪৫ থেকে ৭৫ বছর বয়সী পুরুষ ও মহিলা দের মধ্যে এই রোগ হওয়ার প্রভাব সব থেকে বেশি। তবে বর্তমান সময়ে এই রোগ হওয়ার জন্য কোন নির্দিষ্ট বয়সের সীমাবদ্ধতা নেই।
প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগটি চিকিৎসা করতে না পারলে শান্ত ওষুধ বা অস্ত্র প্রচারের মাধ্যমে এর চিকিৎসা করা প্রয়োজন হয়। তবে পাইলসের ব্যথা কমানোর জন্য ঘরোয়া ভাবে কিছু উপায় অবলম্বন করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। নিম্নে পাইলসের ব্যথা কমানোর উপায় আলোচনা করা হলো-
ইসবগুলের ভুষি পাইস রোগীদের জন্য একটি অতি পরিচিত প্রাকৃতিক উপাদান। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে পাইসে সূচনা হয়। তাই প্রতিদিন রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে অথবা সকালে খালি পেটে ইসবগুলের ভুষি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে আরাম মিলে। ফলে মলত্যাগ করতে বেগ পেতে হয় না।
এর ফলস্বরূপ মলদ্বারে মল থেকে সময় ব্যথা অনুভূত হয় না। সুতরাং পাইলসের ব্যথা কমানোর জন্য নিয়মিত ইসবগুলের ভূষি খাওয়ার অভ্যাস করুন। আপনি চাইলে ইসবগুলের ভুষি দুধ, দই ও বিভিন্ন রকম ফলের জুসের সাথেও মিশে খেতে পারেন।
অলিভ অয়েল পাইলসের ব্যথা কমানোর জন্য বেশি উপকারী। এক চা চামচ অলিভ অয়েল প্রতিদিন খেলে পেজ রোগীদের পাইলসের ব্যথা দ্রুত হ্রাস পায়। এছাড়াও পাইলসের ব্যথা কমানোর জন্য আদা কুচি লেবু এবং মধু মিশ্রণ দিনে দুই বেলা খেলে পাইলসের ব্যথা খুব সহজে খুব তাড়াতাড়ি কমে যায়। এ সকল উপায়গুলোর পাশাপাশি প্রতিদিন অন্তত দুই থেকে তিন লিটার পরিষ্কার বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে
গরম পানির ভাপ বা সেক পাইলসের ফোলা ভাব কমানোর পাশাপাশি পাইলসের ব্যথা কমাতেও খুব কার্যকরী। পাইলসের ফোলা ভাপ দূর করার জন্য যে পদ্ধতিতে মলদ্বারে গরম পানির ভাব বা সেক দেয়া হয় ঠিক একইভাবে পাইলসের ব্যথা কমাতেও এ পদ্ধতিটি প্রয়োগ করতে হয়।
এজন্য একটি পাত্রে পানি গরম করে সেই পানি একটি বড় গামলায় ঢেলে নিতে হবে এবং গরম পানিতে মলদ্বারে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ভাব দিতে হবে। এভাবে দিনে দুই থেকে তিন বার গরম পানির ভাপ বা শেক দিলে পাইলসের ব্যথা কমানো সম্ভব হয়। আশা করি উপরোক্ত আলোচনা গুলো পড়ার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন পাইলস এর ব্যথা কমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে।
পাইলস এর মলম নাম
আমাদের দেশে পাইলস রোগ ভয়াবহ রূপ নিতে চলেছে। অনেকেই পাইলস রোগে ভুগছেন। যারা এই রোগে ভুগছেন তাদের মধ্যে অনেকেই পাইলসের মলমের নাম জানার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনুসন্ধান করে থাকেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো তাদের কাঙ্ক্ষিত তথ্য খুঁজে পান না।
তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে আজকের এই প্রতিবেদনটিতে আমি আপনাদের সাথে উপস্থাপন করতে চলেছি পাইলসের মলমের নাম গুলো সম্পর্কে। এই মলম গুলো ব্যবহার করলে পাইলসের মতো যন্ত্রণাদায়ক ও বেদনাদায়ক রোগ থেকে পরিত্রান পাওয়া যাবে। পাঠক বন্ধুগণ, তাহলে চলুন পাইলসের মলমের নাম গুলো জেনে রাখুন।
- এরিয়ান অয়েন্টমেন্ট ক্রীম (Erian Ointment Cream)
- ডোবেসিল এলডি ক্রীম (Dobesil LD Ointment Cream)
- এ্যানুস্ট্যাট ক্রীম (Anustat Cream)
- ডিকটামনি ক্রীম (Dictamni Cream)
- পাইলোসন অয়েন্টমেন্ট ক্রীম (Pilosol Ointment Cream)
- পাইলেক্স ফোর্ট ক্রীম (Pilex forte Cream) ইত্যাদি)
- পাইলোকিট (PiloKit)
পাইলস এর এলোপ্যাথিক ঔষধের নাম
পাইলসে আক্রান্ত কিন্তু পাইলসের অ্যালোপ্যাথিক ঔষধের নাম অনেকেই জানেন না। আপনাদের জানার জন্য নিম্নে পাইলস রোগের বেশ কয়েকটি এলোপ্যাথিক ওষুধের নাম উল্লেখ করা হলো। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন। এই সকল এলোপ্যাথিক ওষুধগুলো খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কোন ঔষধি সেবন করা উচিত না। তাহলে চলুন জেনে নিন পাইলস রোগের কয়েকটি এলোপ্যাথিক ওষুধের নাম-
- Normanal 500mg
- Daflon 1000 mg
- Osmolax
- Alvenor tablet
- Hemorif tablet
- Pilestop tablet
পাইলস এর বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রাজশাহী
**সহকারী অধ্যাপক ডাঃ ইফতেখার মোহাঃ কুদরত-এ-খুদা (সুমন)
পায়ু রাস্তা ও মলদ্বার বিশেষজ্ঞ সার্জন, জেনারেল ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ, রাজশাহী।এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমএস (সার্জারী), জেনারেল ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জন, সহকারী অধ্যাপক (সার্জারী বিভাগ) -রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী
**সহকারী অধ্যাপক ডাঃ এইচ. এন. এম শফিকুজ্জামান
পায়ু রাস্তা ও মলদ্বার বিশেষজ্ঞ সার্জন, জেনারেল ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ, রাজশাহী
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এফসিপিএস (সার্জারী), এ্যাডভান্সড ট্রেনিং ইন কোলোরেক্টাল এবং লেজার সার্জারী (জেনারেল, ল্যাপারোস্কপিক, পাইলস ও লেজার সার্জন), সহকারী অধ্যাপক (সার্জারী বিভাগ) -রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
**ডাঃ ফারহান ইমতিয়াজ চৌধুরী
ব্রেষ্ট সার্জন, পায়ু রাস্তা ও মলদ্বার বিশেষজ্ঞ সার্জন, জেনারেল ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ, রাজশাহী। এমবিবিএস (ঢাকা মেডিকেল কলেজ), বিসিএস (স্বাস্থ্য), এফসিপিএস (সার্জারি), এফআইএজিইএস (ইন্ডিয়া) - রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, রাজশাহী।
**ডাঃ তামান্না তাসনীম
পায়ু রাস্তা ও মলদ্বার বিশেষজ্ঞ সার্জন, রাজশাহী
এমবিবিএস, এমএস (কলোরেক্টাল সার্জারি), বৃহদান্ত্র ও পায়ুপথ রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন।
পাইলস এর ফোলা কমানোর উপায় নিয়ে - শেষ কথা
সুপ্রিয় পাঠক, আশা করি এতক্ষণ আপনারা পাইলসের ফোলা কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা জানতে পেরেছেন। এর পাশাপাশি আরও জানতে পেরেছেন পাইলস এর ব্যাথা কমানোর উপায়, পাইলস এর মলম নাম ও পাইলস এর এলোপ্যাথিক ঔষধের নাম এবং পাইলস এর বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রাজশাহী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
পাইলস রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রচুর পরিমাণে সতেজ শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে এবং দৈনিক ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করতে হবে। এবং যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সুচিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে তাহলে পাইলস রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি সামান্য পরিমাণ উপকৃত হয়ে থাকেন তবে আপনি আপনার প্রিয়জনদের সাথে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করুন। ধন্যবাদ এতক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য।
(০৮৮)
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url