টেস্টোস্টোরেন হরমোন বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়।

টেস্টোস্টোরেন হরমোন বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় জানার জন্য আপনি কি আগ্রহী। তাহলে আজকের এই পোস্টটি শুধুমাত্র আপনার জন্য উপকারী হতে চলেছে। কেননা আজকের এই পোস্টটির সম্পূর্ণ অংশ জুড়ে আলোচনা করা হয়েছে  টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় নিয়ে।
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়
পাঠক, তাহলে চলুন দেরি না করে আজকের আলোচ্য বিষয় টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন। এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অনুরোধ রইল।

টেস্টোস্টেরন হরমোন কি?

টেস্টোস্টেরন হরমোন হলো একটি প্রধান পুরুষ হরমোন যা পুরুষদের মধ্যে যৌন বৈশিষ্ট্য এবং গতি-প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করে। এটি শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন- পেশী বৃদ্ধি, হাড়ের স্বাস্থ্য, এবং যৌন ইচ্ছা বজায় রাখতে সাহায্য করে। নারীর শরীরেও কিছু পরিমাণে টেস্টোস্টেরন থাকে, কিন্তু পুরুষদের তুলনায় কম।

টেস্টোস্টেরন একটি স্টেরয়েড হরমোন যা মূলত পুরুষদের শরীরে উৎপন্ন হয়, তবে নারীদের শরীরেও এটি কিছুটা উপস্থিত থাকে। এটি প্রধানত অণ্ডকোষে উৎপন্ন হয়, কিন্তু অ্যাড্রেনাল গ্ল্যান্ড থেকেও কিছুটা উৎপন্ন হতে পারে। টেস্টোস্টেরন পুরুষদের যৌন বৈশিষ্ট্য যেমন গোঁফ, দাড়ি, এবং গভীর কণ্ঠস্বরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। 

এটি পেশী বৃদ্ধি, হাড়ের ঘনত্ব এবং যৌন ইচ্ছা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। হরমোনটির মাত্রা প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের মধ্যে সাধারণত ২৬০ থেকে ৯০০ ন্যানোগ্রাম প্রতি ডেসিলিটার (নাগ) পরিমাণে থাকে। নারীদের শরীরে এর মাত্রা অনেক কম থাকে। 

টেস্টোস্টেরনের হরমোনের কমতি বা অতিরিক্ততা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে, যেমন যৌন সমস্যা, হাড়ের দুর্বলতা বা মেজাজের পরিবর্তন। চিকিৎসা সাহায্যের জন্য হরমোন থেরাপি করা হতে পারে যদি প্রয়োজন হয়।

টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়

টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়ানোর জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যা জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন দ্বারা সহায়ক হয়ে থাকে । এখানে টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়ানোর কিছু সাধারণ ঘরোয়া উপায় উল্লেখ করা হলো-

১। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসঃ পুষ্টিকর খাবার খাওয়া টেস্টোস্টেরন উৎপাদনে সহায়ক হতে পারে। উচ্চ প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং সবজি যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করুন।

২। নিয়মিত ব্যায়ামঃ বিশেষ করে ভারি ওজন উত্তোলন ও উচ্চ-তীব্রতার ইনটারভাল ট্রেনিং (HIIT) টেস্টোস্টেরন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

৩। পর্যাপ্ত ঘুমঃ পর্যাপ্ত ও গুণগত মানের ঘুম টেস্টোস্টেরন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

৪। মানসিক চাপ কমানঃ দীর্ঘকালীন স্ট্রেসের কারণে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বাড়তে পারে, যা টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন কমাতে পারে। মেডিটেশন বা অন্যান্য স্ট্রেস-রিলিফ কৌশল অবলম্বন করে মানসিক চাপ কমাতে হবে।

৫। শারীরিক ওজন নিয়ন্ত্রণ বা বজায় রাখাঃ অতিরিক্ত ওজন ও মোটা ফ্যাট টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমাতে পারে। সঠিক ডায়েট ও ব্যায়ামের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে হবে।

৬। ভিটামিন D এবং জিঙ্কঃ ভিটামিন D এবং জিঙ্ক টেস্টোস্টেরন উৎপাদনে সহায়তা করে। 
 গ্রহণ বা ভিটামিন D ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন।

৭। অ্যালকোহল পরিহারঃ অতিরিক্ত অ্যালকোহল টেস্টোস্টেরন মাত্রা কমাতে পারে। সকল প্রকার প অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকতে হবে।

৮। ধূমপান ত্যাগঃ ধূমপান টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমাতে পারে। তাই ধূমপান ত্যাগ করে সুস্থ থাকা  অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৯। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট পরিহারঃ অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় কমল পানীয় খাওয়া্র ফলে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমাতে পারে। তাই কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার পরিহার করে সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।

১০। বিভিন্ন রকম শাকসবজি খাওয়াঃ বিশেষ করে ব্রোকলি, ফুলকপি এবং অন্যান্য সবুজ শাকসবজি টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। তাই নিয়মিত সবুজ শাকসবজি খাওয়া দরকার। 

১১। সন্তোষজনক যৌন জীবনঃ স্বাস্থ্যকর যৌন জীবন টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে। তাই সন্তোষজনক যৌন জনজীবন যাপন করা উচিত। 

১২। ফ্যাট কমানোঃ শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমালে টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন বাড়তে পারে। 

১৩। অতিরিক্ত কফি পান না করাঃ  অতিরিক্ত ক্যাফেইন টেস্টোস্টেরন উৎপাদন কমাতে পারে। তাই অতিরিক্ত কফি পান থেকে বিরত থাকতে হবে।

১৪। আসক্তি থেকে বিরত থাকাঃ মাদকাসক্তি এবং অতিরিক্ত ব্যথানাশক ওষুধের সেবন বা ব্যবহার টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমাতে পারে। তাই মাদকাসক্তি ও অতিরিক্ত ব্যথা নাশক ঔষধ সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে।

১৫। রোগমুক্ত থাকাঃ কোনো স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগলে তা টেস্টোস্টেরনের মাত্রা উপর প্রভাব ফেলতে পারে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

এই সকল ঘরোয়া উপায়গুলো টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে যদি টেস্টোস্টেরন কমে যাওয়ায় সমস্যা গুরুতর হয়, তবে অবশ্যয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

টেস্টোস্টেরন বাড়ানোর ঔষধের নাম কি কি?

টেস্টোস্টেরন বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ এবং হরমোন থেরাপি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।টেস্টোস্টেরন বাড়ানোর কিছু সাধারণ ঔষধের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো। নিম্নোক্ত এই সকল ঔষুধগুলি টেস্টোস্টেরন বাড়ানোর জন্য বেশ সহায়ক।

  • টেস্টোস্টেরন এনেনথেটঃ এটি একটি ইনজেকশনের মাধ্যমে ব্যবহৃত টেস্টোস্টেরন যা সাধারণত প্রতি ২-৩ সপ্তাহ পর পর দেওয়া হয়।
  • টেস্টোস্টেরন সাইপিওনেটঃ এই ইনজেকশনের মাধ্যমে ব্যবহৃত আরেকটি ফর্ম যা প্রতি ৭-১০ দিনে একবার দেওয়া হয়।
  • টেস্টোস্টেরন কনসেন্ট্রেটঃ এটি একটি গেলা বা জেল ফর্ম যা দিনে একবার ত্বকে প্রয়োগ করতে হয়।
  • টেস্টোস্টেরন উস্টারঃ টেস্টোস্টেরনের আরেকটি ইনজেকশন ফর্ম যা শরীরের মাধ্যমে ধীরে ধীরে মুক্ত হয়।
  • টেস্টোস্টেরন পাম্পঃ এই পদ্ধতিতে টেস্টোস্টেরন ধীরে ধীরে সরবরাহ করা হয়, যা কিছু সপ্তাহ ধরে কার্যকর থাকে।
উপরোক্ত টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধির ইনজেকশনগুলো ছাড়াও বেশ কিছু টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধির বেশ কিছু ট্যাবলেট রয়েছে সেগুলো হল- ফ্লুঅক্সিমেস্টেরন(৫-১০মিলিগ্রাম), মেটান্ডিয়েনোন(৫-১৫ মিলিগ্রাম), মেস্টেরোলন(২৫-১৫০ মিলিগ্রাম) ।


এই ঔষধগুলো শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত, কারণ প্রতিটি ব্যক্তির স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে। চিকিৎসকরা সাধারণত ল্যাব টেস্ট ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তিগত প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক ঔষধ নির্ধারণ করেন।

টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়ার লক্ষণ

টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে গেলে কি কি সমস্যা হয় বা কি কি লক্ষণগুলো পরিলক্ষিত হয় আজকের এই প্রতিবেদনের সেটা আলোচ্য বিষয়। টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে গেলে বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার উদ্ভব হতে পারে। এর মধ্যে কিছু সাধারণ সমস্যা হলো-

১। যৌন আগ্রহের অভাব: কম টেস্টোস্টেরন যৌন আগ্রহের হ্রাস ঘটাতে পারে।

২। ইরেকটাইল ডিসফাংশন: পুরুষদের লিঙ্গের সঠিকভাবে দৃঢ় হতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৩। পেশী শক্তি হ্রাস: পেশীর শক্তি ও ভর কমে যেতে পারে।

৪। হাড়ের দুর্বলতা: হাড়ের ঘনত্ব কমে যেতে পারে, যা অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

৫। হতাসা ও উদ্বেগ: মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন- উদ্বেগ ও বিষণ্নতা হতে পারে।

৬। অধ্যবসায়ের অভাব: দুশ্চিন্তা এবং কনসেন্ট্রেশনের অভাব দেখা দিতে পারে।

৭। ওজন বৃদ্ধি: শরীরের ফ্যাট বাড়তে পারে, বিশেষ করে পেটের আশেপাশে।

৮। স্মৃতিশক্তি হ্রাস: সংবেদনশীলতা কমে যেতে পারে এবং মনে রাখতে সমস্যা হতে পারে।

৯। শক্তির অভাব: সামগ্রিক শক্তি ও স্ট্যামিনার অভাব হতে পারে।

১০। দীর্ঘমেয়াদী ক্লান্তি: দিনের পর দিন ক্লান্তি অনুভব হতে পারে।

১১। মনোভাব পরিবর্তন: অতিরিক্ত মনোযোগের অভাব বা চিত্তবিক্ষিপ্ততা হতে পারে।

১২। শারীরিক অসন্তুষ্টি: শারীরিক উন্নতির অভাব বা শরীরের প্রতি অসন্তুষ্টি দেখা দিতে পারে।

১৩। ঘুমের সমস্যা: ঘুমের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।

১৪। অলসতা: দৈনন্দিন কার্যক্রমে আগ্রহের অভাব অনুভব হতে পারে।

১৫। চুলের পরিবর্তন: শরীরের বা মুখের চুলের বৃদ্ধির হ্রাস হতে পারে।

যদি এই ধরনের সমস্যা বা লক্ষণ দেখা দেয়, তবে একজন বিশেষজ্ঞ হরমোন চিকিৎসকের সাথে যত দ্রুত সম্ভব পরামর্শ বা যোগাযোগ করা উচিত। কারণ টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে গেলে এটি বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যার কারণ হতে পারে।

টেস্টোস্টেরন হরমোন বেশি হলে কি হয়?

ইতিমধ্যে টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে কি কি সমস্যা হয় সে সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন এবার আমরা এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে জানবো টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেড়ে গেলে কি কি সমস্যা হয় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে। টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেড়ে গেলে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে-

অগ্রহণযোগ্য আচরণ: অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরন অগ্রহণযোগ্য  আচরণ বা আক্রমণাত্মক মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে।

অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক মনোভাব: মানুষের মধ্যে উত্তেজনা বা বিরোধের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

অ্যানসারপেনিয়া: এটির উচ্চ মাত্রা চুলকানির প্রবণতা বাড়াতে পারে।

হৃদরোগ: উচ্চ টেস্টোস্টেরন হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

যৌন সমস্যা: যৌন অক্ষমতা বা অন্যান্য যৌন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

বডি ফ্যাট বৃদ্ধি: অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরন শরীরের ফ্যাটের বৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

মূত্রথলীর সমস্যা: মূত্রথলীর সমস্যা বা সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

বিশেষত ত্বকের সমস্যা: ব্রণ বা ত্বকে চুলকানি দেখা দিতে পারে।

হেয়ারলস: অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরন শরীরে অতিরিক্ত হেয়ার গ্রোথ ঘটাতে পারে।

ঘুমের সমস্যা: ঘুমের সমস্যা বা ইনসোমনিয়া দেখা দিতে পারে।

মেজাজ পরিবর্তন: অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরন মেজাজের পরিবর্তন ঘটাতে পারে।

অসন্তুষ্টি: শারীরিক পরিবর্তন বা ফলাফল নিয়ে অসন্তুষ্টি অনুভব হতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ: রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।

মৌলিক স্বাস্থ্য সমস্যা: দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

রিপ্রোডাক্টিভ সমস্যা: গর্ভধারণের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

এই ধরনের লক্ষণগুলি দেখা দিলে একজন বিশেষজ্ঞ হরমন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত। কারণ অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরন স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

টেস্টোস্টেরন এর স্বাভাবিক মাত্রা কত?


টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কতো হলে ভালো এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে উক্ত ব্যক্তির উক্ত ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবন ধারণ পদ্ধতি উপর। টেস্টোস্টেরনের মাত্রা ব্যক্তি অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে, তবে সাধারণভাবে পুরুষদের জন্য স্বাভাবিক টেস্টোস্টেরন মাত্রা ২৬০ থেকে ৯০০ ন্যানোগ্রাম প্রতি ডেসিলিটার (নাগ/ডিএল) হতে পারে।
  • প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের জন্যঃ সাধারণভাবে ২৬০-৯০০ নাগ/ডিএল পরিসর উপযুক্ত মনে করা হয়।
  • বয়সের সাথে পরিবর্তনঃ বয়স বাড়ার সাথে সাথে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা সাধারণত ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
  • নারীদের জন্যঃ নারীদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা সাধারণত ১৫-৭০ নাগ/ডিএল পরিসরে থাকে।

যদি টেস্টোস্টেরনের মাত্রা এই পরিসরের বাইরে থাকে এবং সমস্যা সৃষ্টি হয়। তবে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত। চিকিৎসকরা ল্যাব টেস্ট এবং ক্লিনিকাল লক্ষণ অনুযায়ী সঠিক মাত্রা নির্ধারণে সাহায্য করতে পারেন।

টেস্টোস্টেরন হরমোন পরীক্ষার নাম

শেষ কথা

সুপ্রিয় পাঠক, আজকে এই পোস্টের একেবারে শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। আশা করি এ পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মহা শহরে পড়েছেন এবং পড়ার মাধ্যমে ইতিমধ্যে আপনি জানতে পেরেছেন টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। পোস্টটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন।

 তবে আপনি আপনার প্রিয়জনের সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমার ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন পরিদর্শন করুন এবং আপনার মূল্যবান মতামত কমেন্ট বক্সে জানান। এতক্ষন এই পোস্টটির সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url