দাদ চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়।

প্রিয় পাঠকবৃন্দ, সকলকে আমার ওয়েবসাইটে স্বাগতম। আজকের এই আর্টিকেলটিতে দাদ চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। আশা করি, সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। এবং পড়ার মাধ্যমে দাদ চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে আপনি উপকৃত হবেন।
দাদ চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
তাহলে চলুন, কথা না বাড়িয়ে এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে জেনে নিন দাদ চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

দাদ চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়

দাদ (রিংওয়ার্ম) চুলকানি দূর করার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় আছে, যা প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে নিরাময় দূর করা সম্ভব। তবে এই উপায়গুলো মূলত প্রাথমিকভাবে আরাম দেয়, যদি সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নিচে কিছু ঘরোয়া উপায় দেওয়া হলো:

১। নিমপাতা: নিমপাতাতে প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক গুণাগুণ রয়েছে যা দাদ নিরাময়ে সহায়ক। নিমপাতা বেটে আক্রান্ত স্থানে লাগান, তারপর ২০-৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

২। রসুন: রসুনের অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ দাদের জন্য উপকারী। কিছু রসুনের কোয়া থেঁতো করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন, তারপর ধুয়ে ফেলুন।

৩। টিয়াট্রি অয়েল: টিয়াট্রি অয়েলের অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ রয়েছে যা চুলকানি ও দাদ কমাতে সহায়ক। কটন দিয়ে সামান্য তেল আক্রান্ত স্থানে দিনে ২-৩ বার লাগাতে পারেন।

৪। হলুদ: হলুদের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ দাদ কমাতে সাহায্য করে। হলুদ বাটা আক্রান্ত স্থানে লাগান এবং ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

৫। অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরার শীতল প্রভাব ও জীবাণুনাশক গুণ দাদের চুলকানি ও লালচে ভাব কমায়। অ্যালোভেরা জেল আক্রান্ত স্থানে দিনে ২-৩ বার লাগান।

৬। নারকেল তেল: নারকেল তেলে থাকা অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান দাদের সংক্রমণ কমায়। প্রতিদিন কয়েকবার আক্রান্ত স্থানে তেল মাখতে পারেন।

৭। মধু: মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে এবং ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। মধু আক্রান্ত স্থানে সরাসরি লাগিয়ে রাখুন।

৮। পেয়াজের রস: পেঁয়াজের রস দাদের চিকিৎসায় বেশ কার্যকরী। পেঁয়াজ থেঁতো করে রস বের করে আক্রান্ত স্থানে ৩০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে রাখুন।

৯। বেকিং সোডা: বেকিং সোডা চুলকানি ও ফাঙ্গাল সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। সামান্য পানি দিয়ে বেকিং সোডা পেস্ট বানিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান।

১০। লেবুর রস: লেবুর রসের অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ রয়েছে যা দাদ দূর করতে সাহায্য করে। লেবুর রস আক্রান্ত স্থানে সরাসরি লাগান এবং ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

১১। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার: এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিফাঙ্গাল হিসেবে কাজ করে। সরাসরি ভিনেগার কটন দিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান।

১২। আদার রস: আদার রসে থাকা উপাদান চুলকানি কমাতে সহায়ক। আদা থেঁতো করে তার রস আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন।

১৩। পুদিনাপাতা: পুদিনাপাতার পেস্ট আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললে চুলকানি কমে যাবে।

১৪। মুলতানি মাটি: মুলতানি মাটির পেস্ট ত্বকে শীতলতা প্রদান করে এবং সংক্রমণ কমায়।

এইভাবে ঘরোয়া উপায়গুলো ব্যবহার করলে আপনি দাদের সমস্যা থেকে প্রাথমিক আরাম পেতে পারেন এমনকি দাদ চুলকানি দূর করতে পারেন। তবে যদি সমস্যা বাড়তে থাকে বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে অবশ্যই একজন  চর্মবিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম 

দাদ (রিংওয়ার্ম) চুলকানি দূর করতে অনেক ধরনের অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম ব্যবহৃত হয়, যা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং চুলকানি থেকে আরাম দেয়। নিচে কিছু সাধারণ অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিমের তালিকা ও তাদের ব্যবহার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো:

  • ক্লোট্রিমাজল (Clotrimazole): এটি সাধারণত ফাঙ্গাল ইনফেকশন, বিশেষ করে দাদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। দিনে ২-৩ বার আক্রান্ত স্থানে লাগান, অন্তত ২ সপ্তাহ ব্যবহার করুন।
  • মিকোনাজল (Miconazole): এই অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম চুলকানি ও ফাঙ্গাল সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহারে এটি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনে।
  • টেরবিনাফিন (Terbinafine): এটি একটি কার্যকর অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম যা দ্রুত সংক্রমণ সারাতে সাহায্য করে। দিনে ১-২ বার ব্যবহার করতে হয়।
  • কেটোকোনাজল (Ketoconazole): এই ক্রিমটি তীব্র ফাঙ্গাল সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। চুলকানি ও প্রদাহ কমাতে এটি অনেক বেশি কার্যকর।
  • ইকোনাজল (Econazole): ইকোনাজল ত্বকের ফাঙ্গাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে এবং চুলকানি দূর করে। এটি দিনে এক বা দুইবার প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
  • লুলিকোনাজল (Luliconazole): এই ক্রিমটি ফাঙ্গাল সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। সংক্রমিত স্থানে দিনে একবার ব্যবহার করতে হয়।
  • নাফটিফিন (Naftifine): নাফটিফিন একটি অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম, যা দাদের সংক্রমণ দ্রুত নিরাময় করতে সাহায্য করে।
  • সার্টাকোনাজল (Sertaconazole): এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম যা ত্বকের ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর করতে সহায়ক।
  • আন্ডিসিলেনিক অ্যাসিড (Undecylenic Acid): এটি সাধারণত দাদ এবং অন্যান্য ফাঙ্গাল সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
  • সালিসিলিক অ্যাসিড ক্রিম: ফাঙ্গাল ইনফেকশন থেকে তৈরি হওয়া মৃত ত্বক দূর করে, যা সংক্রমণ দ্রুত সারাতে সাহায্য করে।

ব্যবহার ও নির্দেশনা:

  • ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে ক্রিম লাগানোর আগে যে স্থানে দাঁত বা চুলকানি হয়েছে সেই অংশটুকু ভালোভাবে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিতে হবে।
  • প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
  • সংক্রমণ সম্পূর্ণরূপে সেরে না যাওয়া পর্যন্ত ক্রিম ব্যবহার চালিয়ে যযেতে হবে।

এছাড়া, উক্ত ক্রিমগুলো ব্যবহারের আগে অবশ্যই একজন চর্ম বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত, কারণ সঠিক ক্রিম নির্বাচন এবং সংক্রমণের মাত্রা অনুযায়ী চিকিৎসকগণ রোগীদের ডোজ নির্ধারণ ও পরামর্শ প্রদান করে থাকে।

দাদ হলে কি খাওয়া নিষেধ ?

দাদ (রিংওয়ার্ম) মূলত একটি ফাঙ্গাল সংক্রমণ, যা ত্বকে প্রভাব ফেলে। যদিও দাদ সরাসরি খাদ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, তবে কিছু খাবার সংক্রমণ বাড়াতে পারে এবং ফাঙ্গাল সংক্রমণের প্রকোপ বিস্তার করে। তাই দাদ চুলকানি হলে কিছু খাবার এড়িয়ে চলা ভালো। নিচে কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হলো যা দাদ চুলকানি হলে এড়িয়ে চলাই উচিত।

১। মিষ্টি খাবার: অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার ফাঙ্গাল সংক্রমণ বাড়াতে পারে। ফলে মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন কেক, পেস্ট্রি, মিষ্টি পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত।

২। দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য: দুধ বা দই জাতীয় বিভিন্ন রকম খাবার ফাঙ্গাল সংক্রমণকে বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে। তাই অতিরিক্ত দুগ্ধজাত খাদ্যএড়িয়ে চলাই ভালো।

৩। ফাস্ট ফুড: ফাস্ট ফুডে উচ্চমাত্রায় চর্বি ও চিনির উপস্থিতি থাকে, যা সংক্রমণ বাড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।

৪। অ্যালকোহল: অ্যালকোহল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে এবং সংক্রমণকে বাড়াতে পারে। তাই অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা উচিত।

৫।প্রক্রিয়াজাত খাবার: প্যাকেটজাত, প্রক্রিয়াজাত বা সংরক্ষিত খাবারে সাধারণত বেশি মাত্রায় প্রিজারভেটিভ ও চিনি থাকে, যা সংক্রমণ বাড়াতে পারে।

৬।  চিনিযুক্ত পানীয়: সফট ড্রিংক, জুস বা মিষ্টি পানীয় সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।

৭। তৈলাক্ত ও ভাজা খাবার: তৈলাক্ত ও ভাজা খাবার দাদের প্রদাহ বাড়িয়ে দিতে পারে।

৮। সাদা আটার তৈরি খাবার: সাদা আটার তৈরি রুটি, পাস্তা বা পিজা ফাঙ্গাল সংক্রমণ বাড়াতে পারে।

পরামর্শ: 
  • উপরোক্ত খাবারগুলো দাদ চুলকানি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাই তার চুলকানি হলে এ সকল খাবারগুলো যতটা পারা যায় খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এবং
  • প্রচুর পানি পান করুন এবং শাকসবজি, সবুজ শাক ও শস্যজাতীয় খাবার খেতে চেষ্টা করুন।
  • প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি ও প্রোবায়োটিকসমৃদ্ধ খাবার খান।
  • যদি দাদের সংক্রমণ দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন করুন। 

দাদ কি ছোঁয়াচে?

হ্যাঁ, দাদ (রিংওয়ার্ম) একটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে রোগ। এটি ত্বকের ফাঙ্গাল সংক্রমণ, যা মানুষ থেকে মানুষ, পশু থেকে মানুষ, এমনকি সংক্রমিত বস্ত্র বা জিনিসপত্রের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। সংক্রমিত ব্যক্তির সরাসরি স্পর্শে আসলে দাদ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া, আক্রান্ত ব্যক্তি যে তোয়ালে, বিছানাপত্র বা জামাকাপড় ব্যবহার করে, সেগুলোর মাধ্যমেও রোগ খুব দ্রুত ছড়াতে পারে।

দাদের কারণে ত্বকে গোলাকার দাগ তৈরি হয় এবং সেই স্থানগুলোতে তীব্র চুলকানি হতে পারে। তাই সংক্রমণ প্রতিরোধে আক্রান্ত ব্যক্তির জিনিসপত্র আলাদা রাখা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

দাদ হলে কি সাবান ব্যবহার করা যায়?

দাদ (রিংওয়ার্ম) হলে বিশেষ কিছু সাবান হয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলে দাদ চুলকানি কয়েকটা কমে যায়। এ প্রতিবেদনটির মাধ্যমে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে দাদ হলে কোন কোন সম্মান গুলো ব্যবহার করা যায় সে সম্পর্কে। নিম্নে বেশ কিছু সাবানের নাম উল্লেখ করা হলো যা দাদ হলে ব্যবহার করা যেতে পারে। 

  • অ্যান্টিফাঙ্গাল সাবান: বিশেষভাবে তৈরি অ্যান্টিফাঙ্গাল সাবান যেমন কেটোকোনাজল বা ক্লোট্রিমাজল সমৃদ্ধ সাবান দাদের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে।
  • নিম সাবান: নিমের অ্যান্টিমাইকোবিয়াল গুণ রয়েছে, যা দাদ থেকে আরাম দেয়। নিম সাবান ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার থাকবে এবং প্রদাহ কমবে।
  • গ্লিসারিন সাবান: এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং চুলকানি কমাতে সহায়ক হতে পারে।
  • হলুদ সাবান: হলুদে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণ রয়েছে, তাই হলুদ সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে।

ব্যবহারের সময়
  • দাদ আক্রান্ত স্থানে সাবান লাগিয়ে ভালোভাবে ধোয়া উচিত
  • সাবান ব্যবহারের পর আক্রান্ত স্থানে ভালো করে শুকিয়ে নেও্যা উচিত।
  • এছাড়া, যদি দাদ সমস্যা বাড়তে থাকে বা সারতে না চায়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

মন্তব্য

পাঠক, দাদ চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আশা করি ইতিমধ্যে আপনারা বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। আপনার যদি দাদ চুলকানি হয়ে থাকে তবে আপনি এই সকল ঘরোয়া উপায় গুলো অবলম্বন করে দাদ নামক সংক্রমণ চর্মরোগটি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। 

এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি সামান্য পরিমাণ উপকৃত হয়ে থাকেন তবে, আপনি আপনার প্রিয়জনদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন এবং তাদেরও দাদ চুলকানি সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দেন। আপনি চাইলে আপনার মূল্যবান মতামত কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। 

আরোও নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে আমার ওয়েবসাইটটি প্রতিনিয়ত পরিদর্শন করুন। এতক্ষন আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে এই আর্টিকেলটির সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url