যৌবন ধরে রাখার উপায় জেনে নিন।

সুপ্রিয় পাঠক, আপনি কি আপনার যৌবন ধরে রাখতে চান এবং যৌবন ধরে রাখার উপায়গুলো সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি সঠিক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন। আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি যৌবন ধরে রাখার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে।
যৌবন ধরে রাখার উপায় জেনে নিন
তাহলে চলুন, কথা না বাড়িয়ে আজকের মূল আলোচ্য বিষয় যৌবন ধরে রাখার উপায় জানার জন্য আজকের এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে এবং ধৈর্য ধরে পড়ুন। তাহলে আপনি আপনার কাঙ্খিত প্রশ্ন উত্তরটি পেয়ে যাবেন।

উপস্থাপনা

আজীবন সকলেই তার যৌবন ধরে রাখতে চায়। কিন্তু বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বকেও এর প্রভাব পড়ে। চেহারায় বয়সে চাপ পড়ে এবং দিন দিন বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতা কমতে থাকে। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বক কুচকে যায় ও ত্বকে বলি রেখা দেখতে পাওয়া যায়। 

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নানামুখী ট্রেস, পরিবেশ দূষণ, সূর্যের অতিবেগুনী রশ্নি, ধুমপান ও মদ্যপান এবং বিভিন্ন রকম কেমিক্যাল সহ ইত্যাদির কারণে অল্প বয়সে আমাদের শরীরের বয়সের ছাপ পড়ে।

সাধারণত ২৫ বছর বয়সের পর থেকে আমাদের ত্বকে বিভিন্ন রকম প্রভাব পড়তে শুরু করে। নিয়মিত এবং সঠিক অভ্যাস ও নিয়মমাফিক জীবন যাপনের ফলে তারণ্য বা যৌবন ধরে রাখা সম্ভব। আসুন সময় নষ্ট না করে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

যৌবন ধরে রাখার উপায়

পুরুষের যৌবন ধরে রাখার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায় আছে যা দীর্ঘমেয়াদে শরীর ও মনের তারুণ্য বজায় রাখতে সহায়ক। নিচে যৌবন ধরে রাখার ১৫টি উপায় উল্লেখ করা হলো-

১। সঠিক খাদ্যগ্রহণঃ সুষম খাদ্য যেমন শাকসবজি, ফল, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার শরীরের পুষ্টি বজায় রাখে। এ সুষুম খাদ্যগুলো নিয়মিত গ্রহণের ফলে যৌবন অটুট থাকে।

২। নিয়মিত ব্যায়ামঃ নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম, বিশেষ করে কার্ডিও এবং শক্তি বৃদ্ধি ব্যায়াম, শরীরকে ফিট ও শক্তিশালী রাখে।

৩। পানি পানঃ পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে ত্বক ও শরীরের কার্যকারিতা ভালো থাকে। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ গ্লাস পানি পান করলে তারুণ্য বজায় থাকে।

৪। পর্যাপ্ত ঘুমঃ প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে, কারণ ঘুম শরীরের পুনরুদ্ধারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

৫। স্ট্রেস কমানোঃ মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান, যোগব্যায়াম বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম কার্যকরী।

৬। ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকাঃ এই বদ অভ্যাসগুলি শরীরের ক্ষতি করে এবং তারুণ্য কমিয়ে দেয়। তাই যৌবন ধরে রাখতে মদ্যপান ও ধূমপান পরিহার করতে হবে।

৭। ত্বকের যত্নঃ নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার এবং সানস্ক্রিন লাগিয়ে ত্বককে বয়সের ছাপ থেকে রক্ষা করা যায়।

৮। মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখাঃ নতুন কিছু শেখা, বই পড়া বা সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত বা কার্যকর রাখা।

৯। ওজন নিয়ন্ত্রণঃ বাড়তি ওজন কমিয়ে ওজন বজায় রাখলে শরীরের শক্তি ও যৌবন অক্ষুণ্ণ থাকে।

১০৷ মানসিক ইতিবাচকতাঃ ইতিবাচক চিন্তা ও জীবনে সুখী থাকা মানসিক তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।

১১। ভিটামিন গ্রহণঃ ভিটামিন ডি, সি এবং ই, জিঙ্ক ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ শরীরকে চাঙ্গা রাখে।

১২। পরিষ্কার জীবনধারাঃ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মেনে চলা স্বাস্থ্য ও তারুণ্যের জন্য জরুরি।

১৩। সামাজিক সংযোগ রাখাঃ পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

১৪। শখ ও আগ্রহে জড়িত থাকাঃ নিজের আগ্রহ বা শখের সাথে নিয়মিতভাবে জড়িত থাকা মানসিক উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এবং শরীর ও মনকে প্রফুল্ল রাখে।

১৫। রেগুলার মেডিকেল চেকআপঃ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করালে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা আগে থেকেই চিহ্নিত করে প্রতিরোধ করা যায়। এটাও জবান ধরে রাখা একটা বিশেষ উপায়।

এই সকল উপায়গুলো অনুসরণ করলে পুরুষের তারুণ্য দীর্ঘমেয়াদে ধরে রাখা সম্ভব। মোটকথা আপনি যদি আপনার যখন ধরে রাখতে চান তাহলে আপনাকে নিয়মমাফিক জীবন যাপন করতে হবে। আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনতে হবে এবং নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে।

যৌবন ধরে রাখার ব্যায়াম

যৌবন ধরে রাখার জন্য ব্যায়াম অত্যন্ত কার্যকরী। কারণ এটি শুধু শরীরকেই শক্তিশালী করে না, মনের উচ্ছ্বাসও ধরে রাখে। নিম্নে কিছু বিশেষ ব্যায়ামের নাম উল্লেখ করা হলো যা যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে। তো বন্ধ হয়ে রাখতে শারীর ব্যায়ামগুলো হল-

১। কার্ডিও ব্যায়ামঃ নিয়মিত জগিং, সাইক্লিং, অথবা দ্রুত হাঁটার মতো কার্ডিও ব্যায়াম হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে যৌবন ধরে রাখতে সহায়ক।

২। পুশ-আপসঃ পুশ-আপস উপরের শরীরের পেশী শক্তিশালী করে, বিশেষ করে বুক, কাঁধ, এবং হাতের পেশীগুলোকে সুগঠিত করে।

৩। স্কোয়াটসঃ স্কোয়াটস পায়ের পেশী, নিতম্ব, এবং কোমরের অংশকে শক্তিশালী করে এবং শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে।

৪। প্ল্যাঙ্কঃ এই ব্যায়ামটি মূলত পেটের পেশী এবং শরীরের কেন্দ্রীয় পেশীগুলোকে শক্তিশালী করে, যা ভালো শারীরিক কাঠামো ধরে রাখতে সাহায্য করে।

৫। বার্পিঃ বার্পি হলো পুরো শরীরের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং ব্যায়াম, যা একাধিক পেশীকে একসাথে সক্রিয় করে। এটি শক্তি ও সহনশীলতা বাড়ায়।

৬। দড়ি লাফানোঃ এটি একটি উচ্চ কার্যকরী কার্ডিও ব্যায়াম যা শরীরের চর্বি পোড়াতে এবং দ্রুত ক্যালোরি খরচ করতে সাহায্য করে।

৭। লেগ রেইজঃ এই ব্যায়ামটি পেটের নিম্নাংশের পেশী শক্তিশালী করে এবং কোমরের শক্তি বৃদ্ধি করে।

৮। ডেডলিফটঃ এটি পিঠ, কোমর এবং পায়ের পেশী গঠনে সহায়ক, যা যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে।

৯। চেস্ট প্রেসঃ এটি উপরের শরীরের পেশী শক্তিশালী করার পাশাপাশি শরীরের সামগ্রিক শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

১০। যোগব্যায়ামঃ যোগব্যায়াম মন ও শরীরের সংযোগ ঘটায়, মস্তিষ্ককে শান্ত রাখতে ও শারীরিক ফ্লেক্সিবিলিটি বজায় রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিন কিছু সময় ধরে যোগব্যায়াম করা যৌবন ধরে রাখতে বিশেষভাবে কার্যকর।

১১। মেডিটেশন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামঃ গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস এবং ধ্যানের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমিয়ে মস্তিষ্ককে চাঙ্গা রাখা যায়, যা তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়ক।

১২। স্ট্রেচিংঃ প্রতিদিন নিয়মিত স্ট্রেচিং করলে শরীর নমনীয় থাকে এবং পেশী ও জয়েন্টের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

১৩। বাইসেপ কার্লঃ এই ব্যায়ামটি হাতে পেশী গঠনে সাহায্য করে, যা শরীরের শক্তি ধরে রাখতে সহায়ক।

১৪। কিকবক্সিংঃ এটি একটি উচ্চ কার্যকরী কার্ডিও ব্যায়াম যা শরীরের বেশিরভাগ অংশের পেশীকে সক্রিয় করে এবং শরীরের ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়ায়।

১৫। ওয়েট লিফটিংঃ নিয়মিত ওজন তোলা শরীরের পেশী মজবুত করে এবং হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, যা যৌবন ধরে রাখার জন্য অপরিহার্য।

উপযুক্ত এই সকল ব্যায়ামগুলো নিয়মিত করার মাধ্যমে শরীরের শক্তি, নমনীয়তা, এবং সহনশীলতা বৃদ্ধি পায় যা যৌবন দীর্ঘমেয়াদি ধরে রাখতে সাহায্য করে। এবং যে ব্যক্তি উক্ত ব্যায়ামগুলো নিয়মিত করেন সে সকল ব্যক্তির দেহ কাঠামো সুঠাম ও খুব আকর্ষণীয় হয়।

যৌবন ধরে রাখার খাবার

যৌবন ধরে রাখতে কিছু খাবার খুবই উপকারী, যা শরীরের পুষ্টি যোগায় এবং ত্বক ও শরীরকে তারুণ্যপূর্ণ রাখে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাবারের নাম উল্লেখ করা হলো যা যৌবন ধরে রাখতে বেশ কার্যকরী। খাবারগুলো হলো-

১। বেরি জাতীয় ফলঃ ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, রাসবেরির মতো ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং বার্ধক্য প্রতিরোধে সহায়ক।

২। বাদামঃ যেমন আমন্ড, আখরোট ও কাজু এবং পেস্তা বাদামে ভিটামিন ই থাকে যা ত্বকের কোষ পুনর্গঠন করে এবং ত্বককে মসৃণ রাখে।

৩। অ্যাভোকাডোঃ এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর চর্বি রয়েছে যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজড রাখে এবং তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়ক।

৪। সবুজ শাকসবজিঃ পালং শাক, ব্রকলি ইত্যাদির মধ্যে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের বলিরেখা কমায় এবং যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে।

৫। মাছঃ সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমানে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। যা ত্বককে স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল রাখে এবং দীর্ঘদিন যৌবন ধরে রাখে।

৬। ডার্ক চকলেটঃ এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েডস ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং ত্বককে সুরক্ষিত রাখে।

৭। টমেটোঃ টমেটোতে লাইকোপিন থাকে, যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে এবং যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে।

৮। গ্রিন টিঃ গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা বার্ধক্যের লক্ষণগুলি কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।

৯। বিটঃ বিট রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সহায়ক, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বকের বার্ধক্য ভাব কমায়।

১০। দইঃ প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ দই হজম শক্তি বাড়ায় এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, যা যৌবন ধরে রাখতে সহায়ক।

১১। মধু ও কালোজিরাঃ সকালে খালি পেটে মধু ও কালোজিরা সেবন করলে আজীবন যৌবন ধরে রাখা যায়।

এগুলো নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখলে শরীর ও ত্বক উজ্জ্বল ও তরুণ থাকে। এই সকল খাবারগুলো তার অন্য ও যৌবন ধরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই নিজেকে সুস্থ সবল রাখতে এবং নিজের যৌবন ধরে রাখতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই সকল খাবার গুলো রাখা প্রয়োজন।

ভিটামিন ই যৌবন ধরে রাখার কৌশল

ভিটামিন ই তারুণ্য ধরে রাখার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান, যা শরীরের বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা বার্ধক্যের লক্ষণগুলি ধীর করে এবং ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। ফলে যৌবন অটুট থাকে। নিচে ভিটামিন ই-এর মাধ্যমে যৌবন ধরে রাখার কিছু কৌশল তুলে ধরা হলো:

১। ত্বকের পুষ্টি যোগানোঃ ভিটামিন ই ত্বকের কোষ পুনর্গঠনে সহায়তা করে, যা ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখে এবং বলিরেখা কমায়।

২। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলিঃ ভিটামিন "ই" একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ফ্রি র‍্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে এবং বার্ধক্যের লক্ষণ কমায়।

৩। আর্দ্রতা বজায় রাখাঃ ভিটামিন "ই" ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে, যা ত্বককে শুষ্কতা ও রুক্ষতা থেকে রক্ষা করে। যা যৌবন ধরে রাখতে সহায়ক।

৪। সূর্যের ক্ষতি থেকে সুরক্ষাঃ ভিটামিন "ই" ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর UV রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে, যা ত্বকের বার্ধক্যজনিত দাগ কমায়।

৫৷ রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিঃ ভিটামিন "ই "রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সহায়ক, যা ত্বকের কোষে পুষ্টি পৌঁছে দেয় এবং তারুণ্য বজায় রাখে।

৬। দাগ হ্রাসঃ ভিটামিন "ই"এর তেল ত্বকের ক্ষত ও দাগ কমাতে সাহায্য করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

৭। চুলের স্বাস্থ্যঃ ভিটামিন "ই" চুলের বৃদ্ধির জন্য উপকারী, চুলের শিকড় মজবুত করে এবং চুলের তারুণ্য ধরে রাখে। চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকাটা যৌবন ধরে রাখার উপর অনেকটা প্রভাব ফেলে।

৮। অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণঃ ভিটামিন 'ই" ত্বকের তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, যা ত্বককে সুস্থ রাখে।

৯। চোখের চারপাশের বলিরেখা কমানোঃ নিয়মিত ভিটামিন "ই" তেল ব্যবহার চোখের চারপাশের বলিরেখা কমায় এবং ত্বককে কোমল রাখে।

১০৷ হৃদপিণ্ডের সুরক্ষাঃ ভিটামিন "ই" ধমনীতে ফ্যাট জমা কমিয়ে হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, যা দীর্ঘমেয়াদে শক্তি ও যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে।

যৌবন ধরে রাখার দোয়া

ইসলামে স্বাস্থ্য ও তারুণ্য ধরে রাখার জন্য নিয়মিত আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা এবং দোয়া পড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোরআন এবং হাদিসে কিছু দোয়ার উল্লেখ আছে, যেগুলো পড়লে আল্লাহ তাআলা শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা দান করতে পারেন। যৌবন এবং সুস্থতা ধরে রাখার জন্য নিচের কিছু দোয়া এবং আমল করা যেতে পারে-

১। সুস্থতার দোয়াঃ আল্লাহর কাছে সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) এই দোয়া পড়তেন: “اللّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ، فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ” উচ্চারণ: "আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফওয়াল ওয়াল আফিয়াহ, ফিদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ।" অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি ক্ষমা এবং সুস্থতা, এই দুনিয়া ও আখিরাতে।

২। শারীরিক শক্তির জন্য দোয়াঃ আল্লাহ তাআলার নিকট শারীরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য দোয়া করতে পারেন।“اللَّهُمَّ قَوِّنِي فِي طَاعَتِكَ وَاجْعَلْنِي صَحِيحَ الْبَدَنِ وَالْعَقْلِ” উচ্চারণ: "আল্লাহুম্মা কাওয়্বিনি ফি তা’আতিক, ওয়াজ’আলনি সাহীহাল বাদানি ওয়াল আকল।" অর্থ: হে আল্লাহ, আমাকে আপনার আনুগত্যে শক্তিশালী করুন এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখুন।

৩। তরুণ্য থাকার জন্য প্রার্থনাঃ রাসূল (সা.) একটি বিশেষ দোয়া শিখিয়েছেন যা তারুণ্য এবং সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। "اللّهُمَّ اجْعَلْنِي نَشِيطًا فِي طَاعَتِكَ وَزِدْنِي قُوَّةً فِي الْعَمَلِ" উচ্চারণ: "আল্লাহুম্মা ইজআলনি নাশীতা ফি তা'আতিক ওয়াজিদনি কুওয়াতান ফিল আমাল।"অর্থ: হে আল্লাহ, আমাকে আপনার আনুগত্যে সক্রিয় রাখুন এবং আমলের জন্য আমাকে আরো শক্তি দিন।

৪। তাওবা ও ইস্তিগফারঃ যৌবন ও সুস্থতা ধরে রাখতে নিয়মিত তাওবা ও ইস্তিগফার করা গুরুত্বপূর্ণ। “আস্তাগফিরুল্লাহ” পড়লে আল্লাহ আমাদের সকল দোষ ও পাপ ক্ষমা করেন এবং শারীরিক ও মানসিক শান্তি দান করেন।

এই দোয়াগুলো নিয়মিত পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর রহমত লাভ করে শারীরিক, মানসিক এবং আত্মিকভাবে সুস্থ ও তরুণ থাকা যায় এবং যৌবন ধরে রাখা যায়।

শেষ কথা

পাঠক, আজকের এই পোস্টটির পড়ার মাধ্যমে ইতিমধ্যে আপনি জানতে পেরেছেন যৌবন  ধরে রাখার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে। আরোও জানতে পেরেছেন যৌবন  ধরে  রাখার ব্যায়াম ও যৌবন ধরে রাখার বিভিন্ন রকম খাবার সম্পর্কে। 

আশা করি আজকের এই পোস্টটি আপনার পড়ে ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তবে আপনি আপনার প্রিয়জনদের সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করুন। এতক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 

আপনি আপনার মূল্যবান মতামত কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আরো নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমার ওয়েবসাইট প্রতিদিন পরিদর্শন করুন। যৌবন ধরে রাখতে উপরোক্ত উপায় গুলো অবলম্বন করুন এবং আপনি আপনার যখন আজীবন ধরে রাখুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url