জন্ডিস রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার জানুন।

জন্ডিস রোগের লক্ষণ ও এর প্রতিকার জানার জন্য আপনি কি? বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনুসন্ধান করছেন? তাহলে আপনাকে আমার ওয়েবসাইটে স্বাগতম। আজকের আলোচ্য বিষয় জন্ডিসের লক্ষণ ও এর প্রতিকার। 
জন্ডিস রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার জানুন।
পাঠক চলুন, এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার মাধ্যমে জেনে নিন জন্ডিস রোগের লক্ষণ ও এর প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। আশা করি এই আর্টিকেলটি৷  পড়তে  আপনার ভালো লাগবে।

জন্ডিস রোগের লক্ষণ

জন্ডিস (Jaundice) হল এক ধরনের রোগ যেখানে রক্তে বিলিরুবিনের (bilirubin) মাত্রা বেড়ে গিয়ে ত্বক, চোখের সাদা অংশ এবং মিউকাস ঝিল্লী হলুদ হয়ে যায়। জন্ডিস সাধারণত যকৃতের সমস্যার কারণে হয়। নিচে জন্ডিস রোগের কিছু লক্ষণ উল্লেখ করা হলো:

  • ত্বক ও চোখের হলুদাভ ভাব: রোগীর ত্বক ও চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যায়।
  • মূত্রের রঙ গাঢ় হয়ে যাওয়া: সাধারণত মূত্রের রঙ হয় হালকা, কিন্তু জন্ডিসে তা গাঢ় হয়ে যায়।
  • মল হালকা রঙের হওয়া: মলের স্বাভাবিক রঙ পরিবর্তিত হয়ে অনেকটা হালকা বা সাদা রঙ ধারণ করে।
  • চুলকানি: ত্বকে প্রচণ্ড চুলকানি হতে পারে।
  • ক্লান্তি: রোগীর মধ্যে অতিরিক্ত ক্লান্তি বা অবসন্নতা দেখা দেয়।
  • বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া: কিছুক্ষেত্রে রোগীর বমি হতে পারে।
  • ক্ষুধামান্দ্য: খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যায়।
  • ওজন কমে যাওয়া: জন্ডিসে আক্রান্ত রোগীর ওজন হ্রাস পেতে পারে।
  • পেটের ব্যথা: বিশেষ করে ডান পাঁজরের নিচে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
  • জ্বর: রোগীর শরীরে জ্বর আসতে পারে।
  • মাথাব্যথা: রোগী প্রায়ই মাথাব্যথা অনুভব করতে পারে।
  • চোখের মিউকাস ঝিল্লী হলুদ হয়ে যাওয়া: চোখের মিউকাস ঝিল্লী হলুদাভ হয়ে যায়।
  • মুখে তিক্ত স্বাদ: মুখে কষা বা তিক্ত স্বাদ হতে পারে।
  • গ্লানি: মনের মধ্যে একধরনের ভারী ভাব আসে, মনমরা ভাব দেখা দেয়।
  • হাত ও পায়ে ঠান্ডা অনুভূতি: হাত ও পায়ে ঠান্ডা অনুভূতি হতে পারে।
  • শ্বাসকষ্ট: কিছুক্ষেত্রে রোগীর শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।
  • পায়ের ফোলা: পায়ে পানি আসার কারণে ফোলাভাব দেখা যেতে পারে।
  • তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে শরীর উত্তপ্ত হওয়া: শরীরে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
  • রক্তস্বল্পতা: অনেক সময় রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়।
  • ঘুমের সমস্যা: রাতে ঘুমাতে সমস্যা হতে পারে।
  • পেট ফাঁপা: পেট ফেঁপে যেতে পারে।
  • ক্ষুধা কমে যাওয়া: খিদে কমে যেতে পারে।
  • পিত্তথলির প্রদাহ: পিত্তথলির প্রদাহ দেখা দিতে পারে।
  • পেশী দুর্বলতা: পেশী দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
  • অস্বস্তি অনুভব করা: সার্বিকভাবে শরীরে অস্বস্তি হতে পারে।
  • ডায়রিয়া: কিছুক্ষেত্রে ডায়রিয়া হতে পারে।
  • কাঁপুনি: শরীরে কাঁপুনি দেখা দিতে পারে।
  • বুক ধড়ফড় করা: হৃদস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে।
  • আঁচিল বা দাগ বৃদ্ধি পাওয়া: ত্বকে আঁচিল বা দাগের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
  • চোখে অস্বস্তি: চোখে জ্বালা বা অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে।

জন্ডিসের উপরোক্ত লক্ষণগুলি পরিলক্ষিত হলে যত দ্রুত সম্ভব একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।সঠিক সময়ে জন্ডিসের চিকিৎসা নিলে জন্ডিস রোগ ভালো হয়ে যায়। 

জন্ডিস রোগের প্রতিকার

উপরের প্রতিবেদনটির মাধ্যমে ইতিমধ্যে জানলেন জন্ডিস রোগের লক্ষণগুলো এখন এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে জানতে পারবেন জন্ডিস রোগের প্রতিকার।

জন্ডিসের প্রতিকার নির্ভর করে এর মূল কারণ ও লক্ষণের ওপর। যকৃতের সমস্যা, পিত্তনালীর বাধা, অথবা রক্তের অসংগতি থেকে জন্ডিস হতে পারে।

প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করা জরুরি। নিচে জন্ডিস রোগের প্রতিকারের উপায় উল্লেখ করা হলো:

  • সঠিক রোগ নির্ণয়: প্রথমে জন্ডিসের মূল কারণ নির্ণয় করা প্রয়োজন।
  •  যকৃতের যত্ন নেওয়া: যকৃতের কার্যক্ষমতা বাড়াতে যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  •  পানি বেশি খাওয়া: বিলিরুবিন দূর করতে প্রচুর পানি পান করা উচিত।
  • পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ: সবুজ শাকসবজি ও ফল খাওয়া যকৃতের জন্য উপকারী।
  •  লেবুর রস পান: লেবুর রস যকৃত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
  • মদ্যপান থেকে বিরত থাকা: যকৃতের ক্ষতি থেকে বাঁচাতে মদ্যপান সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলা উচিত
  • ধূমপান পরিহার: ধূমপান যকৃতের ওপর চাপ সৃষ্টি করে, তাই এটি পরিহার করা উচিত।
  •  পর্যাপ্ত বিশ্রাম: শরীরকে পুনরুদ্ধার করার জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম প্রয়োজন।
  •  স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গঠন: তেল-মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
  • ফলমূল খাওয়া: বিশেষ করে পেঁপে, কমলা এবং লেবুর মতো ফল উপকারী।
  •  হেপাটাইটিস টিকা গ্রহণ: হেপাটাইটিস A এবং B থেকে সুরক্ষা পেতে টিকা নেওয়া দরকার।
  • বিশুদ্ধ পানি পান: পানি বিশুদ্ধ করে পান করলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
  •  চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ সেবন: ওষুধ নিয়মিত ও সঠিক মাত্রায় গ্রহণ করতে হবে।
  •  অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার: যদি ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ হয়, তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন।
  •  অ্যান্টিভাইরাল ঔষধ: ভাইরাল হেপাটাইটিসের ক্ষেত্রে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ সেবন করা হয়।
  •  পিত্তথলির যত্ন: পিত্তনালীর কোনো সমস্যা থাকলে সার্জারি প্রয়োজন হতে পারে।
  • মল ও মূত্রের রঙ পর্যবেক্ষণ: মল ও মূত্রের রঙ পরিবর্তনের মাধ্যমে সমস্যা নির্ণয় করা যায়।
  • হালকা খাবার গ্রহণ: হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়া দরকার।
  • চুলকানি কমাতে ওষুধ: ত্বকের চুলকানি কমাতে বিশেষ ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন যকৃতের ওপর চাপ সৃষ্টি করে, তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
  • রক্তপরীক্ষা: বিলিরুবিনের মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত।
  • পেটের ব্যথা হলে দ্রুত চিকিৎসা: যদি ডান পাঁজরের নিচে ব্যথা হয়, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • পর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুম যকৃতের পুনরুদ্ধারে সহায়ক।
  • ক্লান্তি থেকে মুক্তি: ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে হালকা শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে।
  • ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট: যকৃতের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট সেবন করা যেতে পারে।
  • চিকিৎসার ফলোআপ: নিয়মিত চিকিৎসার ফলোআপ নিতে হবে।
  • ফলমূলে ফাইবার গ্রহণ: ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।
  • আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা: কিছু আয়ুর্বেদিক উপাদান যকৃতের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে।
  • পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা: সংক্রমণ এড়াতে পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।
  • মেডিকেল চেকআপ: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা জন্ডিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

জন্ডিসের প্রতিকারে চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। শরীরে জন্ডিসের লক্ষ্মণ বুঝতে পারার সাথে সাথে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে সুচিকিৎসার গ্রহণ কুরলে জন্ডিস খুব দ্রুত ভালো হয়ে যায়।

জন্ডিস টেস্ট নাম

একজন  ব্যক্তির জন্ডিস রোগ নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন ধরণের টেস্ট বা পরীক্ষা করা হয়। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জন্ডিস রোগের টেস্টের নাম উল্লেখ করা হলো:

 ১। বিলিরুবিন টেস্ট: রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা পরীক্ষা করা হয়।

২। লিভার ফাংশন টেস্ট (LFT): যকৃতের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়, যেখানে এনজাইমের মাত্রা পরিমাপ করা হয় (ALT, AST, ALP)।

 ৩। সম্পূর্ণ রক্ত পরীক্ষা (Complete Blood Count - CBC): রক্তের কোষের সংখ্যা নির্ণয় করা হয়।

 ৪। হেপাটাইটিস A, B, C টেস্ট: হেপাটাইটিস ভাইরাসের সংক্রমণ পরীক্ষা করা হয়।

৫। আলট্রাসাউন্ড: যকৃত, পিত্তথলি এবং পিত্তনালীতে কোনো সমস্যা আছে কিনা তা দেখার জন্য আলট্রাসাউন্ড করা হয়।

৬। MRI বা CT স্ক্যান: যকৃত বা পিত্তনালীর বিশদ বিবরণ পাওয়ার জন্য এই স্ক্যানগুলো করা হয়।

৭। প্রোথ্রম্বিন টাইম (PT-INR): রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা নির্ণয়ের জন্য করা হয়, যা যকৃতের অবস্থা বুঝতে সাহায্য করে।

৮। রক্তে অ্যামোনিয়া টেস্ট: যকৃত ঠিকমতো কাজ করছে কিনা তা পরীক্ষা করতে এই টেস্ট করা হয়।

৯। পেরিফেরাল স্মিয়ার টেস্ট: রক্তের ধরণের কোনো অস্বাভাবিকতা আছে কিনা তা নির্ণয় করতে এই টেস্ট করা হয়।

১০। আল্কালাইন ফসফেটেস (ALP) টেস্ট: যকৃত ও পিত্তনালীর কার্যকারিতা নির্ণয়ের জন্য করা হয়।

এই পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে চিকিৎসকরা জন্ডিসের কারণ এবং অবস্থা নির্ণয় করতে পারেন এবং রোগীকে দ্রুত চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে পারে।

জন্ডিসের ঔষধের নাম


জন্ডিসের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট কোনো ঔষধ নেই, তবে এর মূল কারণ নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয়। যকৃতের কার্যক্ষমতা বাড়ানো, পিত্তনালীর বাধা দূর করা এবং সংক্রমণ কমাতে বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। নিচে জন্ডিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু ওষুধের নাম উল্লেখ করা হলো:

1. লিভার টনিক (Liver Tonic): যকৃতের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন Liv-52।

2. উরসোডিওক্সিকোলিক অ্যাসিড (Ursodeoxycholic Acid): পিত্তনালীর পাথর ও পিত্তের প্রবাহ বাড়াতে সহায়তা করে।

3. হেপাটাইটিস B অ্যান্টিভাইরাল: যেমন টেনোফোভির (Tenofovir) ও এন্টেকাভির (Entecavir)।

4. হেপাটাইটিস C অ্যান্টিভাইরাল: সোফোসবুভির (Sofosbuvir), লেডিপাসভির (Ledipasvir)।

5. অ্যান্টিবায়োটিক: যদি ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ হয়, তবে অ্যান্টিবায়োটিক যেমন অ্যামপিসিলিন (Ampicillin) ব্যবহার করা হয়।

6. স্টেরয়েড: অটোইমিউন হেপাটাইটিসের চিকিৎসায় প্রেডনিসোলোন (Prednisolone) ব্যবহার করা হয়।

7. পেনিসিলামিন (Penicillamine): কপার জমা হওয়ার কারণে যে সমস্যা হয় তা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।

8. ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট: বিশেষ করে ভিটামিন K, D, এবং E সেবন করা হয়।

9. অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ওষুধ: প্রদাহ কমাতে ব্যবহৃত হয়।

10. প্যানক্রিয়াটিক এনজাইম: হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।

11. অ্যান্টি-হিস্টামিন: ত্বকের চুলকানি কমাতে ব্যবহৃত হয়।

12. ডাইইউরেটিক: শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করতে ব্যবহৃত হয়।

13. আলবুমিন (Albumin): লিভার সিরোসিসে ব্যবহার করা হয়।

14. প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর (PPI): যেমন ওমিপ্রাজল (Omeprazole), অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

15. হেপাটোপ্রোটেকটিভ ড্রাগস: যকৃত রক্ষা করতে ব্যবহৃত হয়।

যেকোনো ঔষধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

জন্ডিস হলে কি খেতে হয়?

জন্ডিস হলে যকৃতের উপর চাপ কমাতে হালকা এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। নিচে কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হলো, যা জন্ডিসে সহায়ক:

পানি: প্রচুর পানি পান করতে হবে শরীর থেকে টক্সিন বের করার জন্য।

শাকসবজি: বিশেষ করে পাতা শাক, ব্রকলি, পালং শাক যকৃতের জন্য ভালো।

ফল: পেঁপে, কমলা, আপেল, এবং তরমুজ যকৃত পরিষ্কার রাখতে সহায়ক।

লেবুর রস: যকৃতের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

আখের রস: আখের রস জন্ডিস রোগীর জন্য সবচেয়ে উপকারী পানীয়।

চাল ও ডাল: হালকা ও সহজপাচ্য খাবার হিসেবে ভাত এবং ডাল খাওয়া উপকারী।

ফাইবারযুক্ত খাবার: যেমন ওটস, যা হজমে সহায়ক।

তাজা রস: যেমন গাজর বা বিটের রস, যা যকৃতের জন্য উপকারী।

নারকেলের পানি: ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ ও শরীরকে আর্দ্র রাখে।

প্রোবায়োটিক দই: হজম শক্তি বাড়ায়।

হালকা প্রোটিন: ডিমের সাদা অংশ বা মুরগির ঝোল খেতে পারেন।

এছাড়া, ভাজাপোড়া ও বেশি মসলাদারজাতীয়  খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

মন্তব্য 

পাঠক, ইতিমধ্যে এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে জেনেছেন জন্ডিস রোগের লক্ষণ ও এর প্রতিকার। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে। যদি ভালোলেগে থাকে তবে আপনি আপনার প্রিয়জনদের সাথে এই আর্টিকেলটি সেয়ার করুন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url