প্রতিদিন সহবাস করার উপকারিতা জানুন

বিবাহিত দম্পতিদের প্রতিদিন সহবাস করার উপকারিতা অনেক। তাই আজকের আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হয়েছে প্রতিদিন সহবাস করার উপকারিতা। আপনি যদি এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি জানতে আগ্রহী থাকেন তবে এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য।
প্রতিদিন সহবাস করার উপকারিতা
তাহলে চলুন, এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন প্রতিদিন সহবাস করার উপকারিতা। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়তে আপনার ভালো লাগবে। চলুন, আরটিকাটি মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

প্রতিদিন সহবাস করার উপকারিতা

প্রতিদিন সহবাস করার কিছু শারীরিক ও মানসিক উপকারিতা রয়েছে। তবে, এটি মনে রাখতে হবে যে, সবার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা আলাদা এবং স্বাস্থ্যের উপর কোন প্রভাব পড়বে কিনা তা ব্যক্তির উপর নির্ভর করে। এখানে কিছু প্রতিদিন সহবাস করার উপকারিতা তুলে ধরা হলো-

মানসিক চাপ কমানো: সহবাস শারীরিক ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। কারণ এটি সুখের অনুভূতি সৃষ্টি করে এবং দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ হ্রাস করে।

দেহের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি: সহবাসের মাধ্যমে দেহের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। যা শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

হরমোনের ভারসাম্য: এটি হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। বিশেষত, সুখের অনুভূতি তৈরিতে সহায়তাকারী অক্সিটোসিন এবং এনডোরফিন বৃদ্ধি পায়।

দীর্ঘ জীবন: কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে যে, নিয়মিত সহবাস কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘজীবন লাভে সহায়ক হতে পারে।

মানসিক সম্পর্ক দৃঢ় করা: সহবাসের মাধ্যমে দম্পতির মধ্যে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। যা তাদের মানসিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করে।

শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রম: সহবাসের মাধ্যমে শরীরের মাংসপেশি সচল থাকে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি শরীরের ব্যথা বা অস্বস্তি কমাতেও সাহায্য করে।

ঘুম ভালো হওয়া: সহবাসের পর শরীরে যেসব হরমোন নিঃসৃত হয়। তা ঘুমের জন্য সহায়ক হয়ে থাকে,  যার ফলে ভালো ঘুম হয়।

সুখী ও শান্ত অনুভূতি: সহবাসের পর শরীরের মধ্যে সুখী অনুভূতি তৈরি হয়। যা মনোযোগ এবং কাজের ক্ষেত্রে আরও ফোকাস থাকতে সাহায্য করে।

তবে, শারীরিক বা মানসিক অসুবিধা থাকলে বা কোনো ধরনের অস্বস্তি অনুভূত হলে। স্বামী ও স্ত্রী একে অপরের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। কেননা স্বামী স্ত্রীরর মধ্যে যে কোন বিষয়ে সহমত থাকাটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সহবাসের আগে কি খাবার খেতে হয়?


প্রতিদিন সহবাস করার উপকারিতা পেতে হলে সহবাসের আগে কোন কোন খাবার গুলো খেতে হয় তা  তা জানা দরকার। সহবাসের আগে খাওয়ার বিষয়ে কিছু সাধারণ নির্দেশনা রয়েছে যা শরীরকে শক্তি ও উৎসাহ দিতে পারে। 

এই সকল খাবারগুলো নির্বাচন করে সহবাসের আগে খেলে আপনার সহবাসের সময় শক্তি এবং মানসিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণ থাকবে। এখানে কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হলো যা সহবাসের আগে খাওয়া ভালো

কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট: কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট যেমন ব্রাউন রাইস, ওটস, বা মিষ্টি আলু দীর্ঘস্থায়ী শক্তি প্রদান করে এবং শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি বজায় রাখে। এগুলো শর্করা মেটাবলিজমে ধীরে ধীরে মুক্তি দেয় এবং দ্রুত শক্তির ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে।

প্রোটিন রিচ খাবার: প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, গ্রিলড মুরগি বা মাছ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরকে শক্তিশালী রাখে। প্রোটিনের সাহায্যে শরীর ক্লান্ত বা অসুস্থ বোধ করে না।

ফলমূল: ফলমূল শরীরকে তাজা এবং উদ্যমী রাখে। বিশেষ করে কলা, আপেল, বা বেরি জাতীয় ফলগুলো শরীরে দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে এবং পুষ্টির অভাব পূরণ করে। এগুলো উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম ও শর্করা ধারণ করে, যা সহবাসের জন্য উপকারী।

মধু বা বাদাম: মধু বা বাদাম (যেমন: আখরোট, কিসমিস, মাকানাস) সহজে পরিপূরক শক্তির উৎস হতে পারে এবং শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এগুলো স্বাস্থ্যকর চর্বি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর।

হালকা খাবার: ভারী বা তেলযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকুন কারণ এগুলি শরীরকে ভারী বা আস্থির করে দিতে পারে। হালকা খাবার যেমন স্যুপ বা সালাদ খাওয়া ভাল। হালকা খাবার শরীরকে একটানা শক্তি সরবরাহ করতে সহায়তা করে।

পানি বা জলীয় খাবার: শরীরের ডিহাইড্রেশন না হওয়ার জন্য সহবাসের আগে পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত। এটি শরীরকে শিথিল এবং তাজা রাখে। নারকেল জল বা ফলের রসও ভালো অপশন হতে পারে।

আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম রিচ খাবার: তামার মতো খনিজ সমৃদ্ধ খাবার, যা রক্ত সঞ্চালন ও শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে সাহায্য করতে পারে, যেমন পালং শাক, মিষ্টি আলু বা কালে।

বিশেষ সতর্কতা: সহবাসের আগে খুব ভারী বা অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ এগুলি পেট ভারী করতে পারে এবং হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যা আপনাকে আরামদায়ক অভিজ্ঞতা থেকে বিরত রাখে।

সহবাসের পর কি খাবার খেতে হয়?

প্রতিদিন সহবাস করার উপকারিতা ভালোভাবে পেতে হলে সহবাসের আগে যেমন বিশেষ কিছু খাবার খাওয়া প্রয়োজন। ঠিক তেমনি সহবাসের পরেও কিছু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাওয়া উচিত। সহবাসের পর খাওয়ার বিষয়ে কিছু সাধারণ নির্দেশনা রয়েছে। তবে এটি ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা এবং প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে। সহবাসের পর শরীরের কিছু শক্তি ব্যয় হয়। তাই সঠিক খাবার গ্রহণ শারীরিক শক্তি পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে। এখানে কিছু উপযুক্ত খাবারের তালিকা দেওয়া হলো:

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: প্রোটিন শরীরের পেশী পুনর্গঠন এবং শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়ক। ডিম, মুরগির মাংস, মাছ, দই বা দুধ এসব খাবার ভালো অপশন হতে পারে।

ফলমূল: ফলমূল শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে এবং প্রাকৃতিক চিনি ও ভিটামিন দিয়ে শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করে। যেমন: কলা, আপেল, আঙুর, পেয়ার, ইত্যাদি।

কার্বোহাইড্রেট: সহবাসের পর শরীরের শক্তির ঘাটতি পূরণ করতে মিষ্টি আলু, ব্রাউন রাইস, ওটস, পাস্তা বা রুটির মতো স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট খাবার উপকারী।

শাকসবজি: মভিটামিন এবং খনিজের জন্য শাকসবজি খাওয়া উচিত। পালং শাক, গাজর, টমেটো, শসা ইত্যাদি শরীরকে শিথিল করতে সাহায্য করে।

পানি ও তরল পানীয়: সহবাসের পর শরীরের জলশূন্যতা পূরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত। এছাড়াও নারকেল জল বা ফ্রেশ ফলের রস উপকারী হতে পারে।

ভিটামিন ও মিনারেল রিচ খাবার: ভিটামিন C এবং D সমৃদ্ধ খাবার যেমন অরেঞ্জ, স্ট্রবেরি, আমলকি এবং প্রাকৃতিক ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ, দই, পনির শরীরের সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয়।

হালকা খাবার: অতিরিক্ত ভারী খাবার বা তেলযুক্ত খাবার পরিহার করা উচিত। কারণ এগুলি হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং শরীরকে বিশ্রামে রাখতে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। হালকা স্যুপ বা সালাদ খাওয়া ভালো।

শরীরের প্রয়োজনীয়তা এবং খাবারের প্রতি প্রতিক্রিয়া ভিন্ন হতে পারে। তাই সহবাসের পর খাবার নির্বাচনে আপনার নিজের শরীরের চাহিদা এবং পছন্দ অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

সহবাসের পর ফরজ গোসলের নিয়ম


প্রতিদিন সহবাস করার উপকারিতা আর্টিকেলটির এই প্রতিবেদনটিতে আলোচনা করা হয়েছে। সহবাসের পর ফরজ গোসলের নিয়ম নিয়ে। সহবাসের পর ফরজ গোসল করার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে যা মুসলমানদের জন্য অনুসরণ করা অবশ্যই পালনীয় ও জরুরি।

এই গোসলকে "জানাবা গোসল" (যানাবা) বা "মুখ্য গোসল" বলা হয়। এবং এটি তখন ফরজ হয়ে ওঠে যখন সহবাস হয় বা অন্য কোনো কারণে জানাবা (যোনি, বা পুরুষাঙ্গের বীর্যপাত) ঘটে। এখানে ফরজ গোসলের নিয়মগুলো দেওয়া হলো-

১. নিয়মিত পবিত্রতা নিশ্চিত করা: ফরজ গোসলের আগে, নিশ্চিত হতে হবে যে শরীরের কোনো অংশে অপরিষ্কারতা (যেমন, বীর্য বা অশুচি কিছু) নেই। যদি প্রয়োজন হয়, প্রথমে ওই অংশগুলো পরিষ্কার করতে হবে।

২. নিয়মিতভাবে পানি ব্যবহার: ফরজ গোসলের সময় সমস্ত শরীর ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুতে হবে।
গোসলের শুরুতে পুরা শরীরে পানি ছিটাতে হবে এবং অবশ্যই মাথার চুল সহ সমস্ত শরীর ভিজিয়ে নিতে হবে।

৩. গোসলের ৩টি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ: গোসলের ফরজ কাজ-
উল্লেখিত অপবিত্রতা থেকে পবিত্র হতে ৩টি কাজ করা ফরজ। যথাযথভাবে এ ৩ কাজ আদায় না করলে গোসলের ফরজ আদায় হবে না। কাজ তিনটি হলো-

১. কুলি করা । (বুখারি, ইবনে মাজাহ)

২. নাকে পানি দেওয়া। (বুখারি, ইবনে মাজাহ)

৩. সারা শরীর পানি দিয়ে এমনভাবে ধোয়া যাতে দেহের চুল পরিমাণ জায়গাও শুকনো না থাকে। (আবু দাউদ)

তবে ফরজ গোসল সম্পন্ন করার সর্বোত্তম নিয়ম হলো-

১. বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম (بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيْم) বলে গোসল শুরু করা। তবে গোসলখানা ও টয়লেট একসঙ্গে থাকলে বিসমিল্লাহ মুখে উচ্চারণ করে বলা যাবে না।

২. হাত ধোয়া। অর্থাৎ উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত ধোয়া।

৩. লজ্জাস্থান ধোয়া। বাম হাতে পানি দ্বারা লজ্জাস্থান পরিস্কার করা। সম্ভব হলে ইস্তিঞ্জা তথা পেশাব করে নেওয়া। এতে নাকাপি সম্পূর্ণরূপে বের হয়ে যাবে।

৪. নাপাকি ধোয়া। কাপড়ে বা শরীরের কোনো অংশে নাপাকি লেগে থাকলে তা ধুয়ে নেওয়া।

৫. ওজু করা। পা ধোয়া ছাড়া নামাজের অজুর ন্যয় অজু করে নেওয়া।

৬. অতঃপর ফরজ গোসলের তিন কাজ- কুলি করা, নাকে পানি দেওয়া এবং পুরো শরীর ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া। যাতে শরীরের একটি লোমকুপও শুকনো না থাকে।

৭. পা ধোয়া। সবশেষে গোসলের স্থান থেকে একটু সরে এসে উভয় পা ভালোভাবে ধোয়া।

ফরজ গোসল সম্পন্ন হলে, শরীর পবিত্র হয়ে যায় এবং পরবর্তী সময়ে আপনি নামাজ বা অন্য কোনো ইবাদত করতে প্রস্তুত হতে পারেন।

সহবাসের পর চারটি কাজ হারাম

সহবাসের পর চারটি কাজ ইসলামী শরিয়তে হারাম বা নিষিদ্ধ হিসেবে বিবেচিত হয়। এগুলো শারীরিক ও মানসিক পবিত্রতা রক্ষা এবং আল্লাহর ইবাদত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এগুলোর বর্ণনা দেয়া হলো:

১. নামাজ পড়া: সহবাসের পর ফরজ গোসল না করলে নামাজ পড়া হারাম। কারণ, গোসল ছাড়া মুসলমানের নামাজ ঠিকভাবে করা যায় না, এবং ইসলামে শারীরিক পবিত্রতা ছাড়া নামাজ আদায় করা সম্ভব নয়।

২. রোজা রাখা: সহবাসের পর যদি ফরজ গোসল না করা হয়, তাহলে রোজা (ইসলামিক মাহে রমজানে দিনের রোজা) পালন করা সম্ভব নয়। কারণ, গোসল ছাড়া রোজা ভঙ্গ হয়ে যায় এবং শরিয়ত অনুযায়ী রোজার পবিত্রতা রক্ষা করতে হয়।

৩. কুরআন তিলাওয়াত করা: গোসল না করে কুরআন তিলাওয়াত করা নিষেধ। শরীয়তে বলা হয়েছে, জানাবা অবস্থায় কুরআন স্পর্শ বা তিলাওয়াত করা মুসলমানের জন্য শারীরিক পবিত্রতার পরিপন্থী। গোসলের পর পবিত্রতা ফিরে আসার পর কুরআন তিলাওয়াত করা উচিত।

৪. ইবাদত বা দোয়া করা: ফরজ গোসল না করলে অন্যান্য ইবাদত যেমন দোয়া, যিকির বা অন্যান্য নফল ইবাদত করা উচিত নয়। এগুলোও শারীরিক পবিত্রতার সাথে সম্পর্কিত।

গুরুত্বপূর্ণ:এই কাজগুলো করতে হলে শরীরের পবিত্রতা এবং গোসল নিশ্চিত করতে হবে, যা ইসলামের অন্যতম মূলনীতি। ফরজ গোসল সম্পন্ন হওয়ার পর, আপনি শরীরের পবিত্রতা ফিরে পাবেন এবং সকল ইবাদত করতে পারবেন।

সহবাসের পর করণীয়

সহবাসের পর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে, যা শারীরিক ও মানসিক পবিত্রতা বজায় রাখতে এবং শরীরের সুস্থতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। নিচে সহবাসের পর করণীয় বিষয়গুলো বর্ণনা করা হলো:

১. ফরজ গোসল করা: সহবাসের পর শরীরের পবিত্রতা রক্ষা করতে ফরজ গোসল করা জরুরি। গোসলের মাধ্যমে জানাবা (যোনি বা পুরুষাঙ্গের বীর্যপাত) থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং শরীরের পবিত্রতা ফিরে আসে। গোসল করার নিয়ম যথাযথভাবে পালন করা উচিত, যাতে পুরো শরীর পরিষ্কার হয়।

২. দোয়া পড়া: সহবাসের পর গোসলের আগে ও পরে দোয়া পড়া উত্তম। একটি সাধারণ দোয়া হল:


بِسْمِ اللَّهِ، اللَّهُمَّ طَهِّرْنِي


অর্থ: "আল্লাহর নামে, হে আল্লাহ! আমাকে পবিত্র করুন।"

৩. পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা: সহবাসের পর শরীর ও যন্ত্রের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এটি শারীরিক স্বাস্থ্য রক্ষা এবং অনাকাঙ্ক্ষিত সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকার জন্য প্রয়োজনীয়।

৪. বিশ্রাম নেওয়া: সহবাসের পর শরীর কিছুটা ক্লান্ত বা অবসন্ন হয়ে যেতে পারে। তাই বিশ্রাম নেওয়া এবং পর্যাপ্ত ঘুমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরের শক্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করে।

৫. পরিষ্কার কাপড় পরিধান করা: গোসল শেষে পরিষ্কার ও শুকনো কাপড় পরিধান করা উচিত। এটি আপনার শরীরের পবিত্রতা রক্ষা করবে এবং আরামদায়ক অনুভূতি প্রদান করবে।

৬. অন্যের প্রতি সতর্কতা: সহবাসের পর নিজের ও সঙ্গীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখা উচিত। যদি কোনো অসুবিধা বা অস্বস্তি হয়, তবে তা খোলামেলা আলোচনা করা উচিত।

৭. আল্লাহর স্মরণ করা: সহবাসের পর আল্লাহর স্মরণ করা, যেমন- দোয়া, যিকির বা শলীনতার সাথে জীবনযাপন করা, এটি শান্তি ও শান্তির অনুভূতি প্রদান করে এবং সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে।

৮. স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ: সহবাসের পর শক্তি ফিরে পাওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা উচিত, যেমন প্রোটিন, ফলমূল, শাকসবজি এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা।

এগুলো হলো সহবাসের পর করণীয় কিছু সাধারণ বিষয়, যা শরীর এবং মনকে পবিত্র ও সুস্থ রাখার জন্য সহায়ক।

লেখকের শেষ কথা

সুপ্রিয় পাঠকমন্ডলী, এই আর্টিকেলে একেবারে শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। আশাকরি আর্টিকেল সম্পন্ন পড়েছেন এবং পড়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন সহবাসের পর শরীর দুর্বল হলে করণীয়প্রতিদিন সহবাস করার উপকারিতা। 

প্রতিদিন সহবাস করার উপকারিতা  আর্টিকেলটি পরে যদি আপনি সামান্য পরিমাণ উপকৃত হয়ে থাকেন তবে আপনি আপনার প্রিয়জনদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন এবং তাদেরও জানার সুযোগ করে দিন। এতক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে এই আর্টিকেলটির সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url