বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়

বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় পূর্বে থেকে জানা থাকলে এই রোগটি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।বাতের ব্যথা একটি অতি পরিচিত রোগ। আজকের এই আর্টিকেলটতে বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়

তাহলে পাঠক বন্ধুগন, চলুন কথা না বাড়িয়ে আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে জেনে নিন বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়। আসুন, মূল আলোচনা যাওয়া যাক।

বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় 

বাতের ব্যথা একটি অতি পরিচিত রোগ। আমরা কম বেশি সকলেই এই রোগটির সাথে খুব বেশি পরিচিত। বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগটির পাদুভাব সবচেয়ে বেশি দেখা দেয়। সুতরাং এই রোগটি থেকে পরিত্রাণ পেতে বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় আমাদের জানা উচিত।


বাতের ব্যথা দূর করার জন্য বিভিন্ন ঘরোয়া উপায় রয়েছে, যা প্রাকৃতিকভাবে আরাম দিতে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। নিচে বাতের ব্যথা উপশমের জন্য কিছু কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো:

১. আদা এবং হলুদের মিশ্রণ: আদা এবং হলুদ উভয়েই প্রাকৃতিক প্রদাহনাশক উপাদান হিসেবে কাজ করে। আদার রস এবং হলুদের গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে পান করলে এটি শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন একবার এই মিশ্রণ খাওয়া যেতে পারে।

২. অ্যাপল সাইডার ভিনেগার: অ্যাপল সাইডার ভিনেগার শরীরের পিএইচ স্তর নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং প্রদাহ কমায়। এটি পানির সাথে মিশিয়ে দিনে একবার পান করা যেতে পারে।

৩. মেথি বীজ: মেথি বীজে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহনাশক গুণ রয়েছে যা বাতের ব্যথা কমাতে সহায়ক। এক চা চামচ মেথি ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

৪. গরম সেঁক: গরম পানির সেঁক বাতের ব্যথা দূর করতে বিশেষ উপকারী। একটি কাপড় গরম পানিতে ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে সেঁক দিলে ব্যথা কমে।

৫. রসুন: রসুনের মধ্যে থাকা অ্যালিসিন প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ২-৩টি কাঁচা রসুন খেলে বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য হয়।

৬. নিয়মিত যোগব্যায়াম ও স্ট্রেচিং: নিয়মিত যোগব্যায়াম ও হালকা স্ট্রেচিং ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। এটি শরীরের নমনীয়তা বাড়িয়ে প্রদাহের ঝুঁকি কমায়।

৭. নিম পাতা: নিম পাতার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিসেপটিক গুণ বাতের ব্যথা কমাতে কার্যকর। নিমের পাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে গাঁটগুলো ধোয়া যেতে পারে।

৮. মসৃণ তেল মালিশ: সরিষার তেল, নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল দিয়ে হালকা মালিশ করলে পেশি এবং গাঁটে রক্তসঞ্চালন বাড়ে এবং ব্যথা উপশম হয়।

৯. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে সহায়ক। মাছ, আখরোট, এবং অন্যান্য খাবার থেকে এটি সহজেই পাওয়া যায়।

১০. লেবুর রস ও বেকিং সোডা: লেবুর রস এবং বেকিং সোডার মিশ্রণ শরীরে অম্লতা কমায় এবং ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, যা বাতের ব্যথা কমাতে পারে।

১১. পর্যাপ্ত বিশ্রাম: শরীরের পর্যাপ্ত বিশ্রাম ব্যথা কমাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গাঁটের উপর চাপ কমাতে নিয়মিত বিশ্রাম নেওয়া উচিত।

১২. পেঁয়াজ: পেঁয়াজে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে যা বাতের প্রদাহ কমাতে সহায়ক। কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া বা রস করে খাওয়া যেতে পারে।

১৩. দারুচিনি: দারুচিনির মধ্যে প্রদাহনাশক উপাদান আছে যা বাতের ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

১৪. প্রাকৃতিক ভেষজ চা: গ্রিন টি, আদা চা বা মেথি চা পান করলে প্রদাহ কমতে পারে। এসব ভেষজ চা শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয় এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

১৫. উপযুক্ত পানি পান: শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কম রাখতে এবং প্রদাহ দূর করতে প্রচুর পানি পান করা প্রয়োজন।

এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো বাতের ব্যথা কমাতে সহায়ক হলেও, দীর্ঘস্থায়ী বা তীব্র ব্যথার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়? 

বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় জানার পাশাপাশি আমাদের জানতে হবে বাতের ব্যথা কেন হয়। বাতের ব্যথা মূলত হাঁটু থেকে তার উপরের অংশে হয়ে থাকে। এ ব্যথা প্রচন্ড তীব্র হয় এবং দাঁতের ব্যথা আক্রান্ত রোগী প্রচন্ড অস্থির বোধ করে। এছাড়াও বাতের ব্যথা শরীরের বিভিন্ন গাঁটে দেখা দিতে পারে। সাধারণত যে গাঁটগুলো বেশি ব্যথা বা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা হলো:
  •  হাঁটু: হাঁটু গাঁট বাতের ব্যথার অন্যতম প্রধান স্থান, বিশেষ করে ওজন বহনকারী গাঁট হওয়ায়।
  • হাত ও আঙুল: আঙুলের গাঁটে ব্যথা এবং ফোলাভাব হতে পারে।
  • কাঁধ: কাঁধের গাঁটে বাতের ব্যথা চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা আনতে পারে।
  • কনুই: কনুই গাঁটেও ব্যথা এবং শক্ত ভাব দেখা দিতে পারে।
  • কোমর ও পিঠ: মেরুদণ্ডের গাঁটে বাতের ব্যথা দেখা দিতে পারে, যা পিঠ এবং কোমর ব্যথার কারণ হতে পারে।
  • পায়ের পাতা ও গোড়ালি: পায়ের গাঁটে ব্যথা হাঁটা এবং দাঁড়ানোর সময় সমস্যা সৃষ্টি করে।
এগুলো ছাড়াও শরীরের অন্যান্য গাঁটেও বাতের ব্যথা হতে পারে। যা ব্যথার তীব্রতা এবং প্রদাহের ওপর নির্ভর করে।

বাতের ব্যথার লক্ষণ

বাতের ব্যথা (Arthritis) মূলত গাঁটের প্রদাহজনিত একটি রোগ। যা সাধারণত বিভিন্ন গাঁটে ব্যথা, ফোলা, এবং চলাফেরার সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করে। এর বিভিন্ন লক্ষণ রয়েছে, যেগুলো রোগের ধরন ও তীব্রতার উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় এর এই প্রতিবেদনটিতে নিচে বাতের ব্যথার সাধারণ লক্ষণগুলো উল্লেখ করা হলো:

১. গাঁটে ব্যথা: বাতের প্রধান লক্ষণ হল গাঁটে তীব্র বা মাঝারি ব্যথা। এটি হাঁটু, কনুই, পায়ের পাতা, আঙুল, বা কবজির গাঁটে বেশি হয়। ব্যথা সাধারণত সকালের দিকে বেশি অনুভূত হয় এবং ধীরে ধীরে কমে আসে।

২. গাঁটে ফোলা: প্রদাহের কারণে আক্রান্ত গাঁটগুলো ফোলাফুলা হয়ে ওঠে। গাঁটগুলো স্পর্শ করলে নরম এবং ফোলা মনে হতে পারে, যা ব্যথার প্রধান কারণ হতে পারে।

৩. আঁটসাঁট অনুভূতি: বিশেষ করে সকালে বা বিশ্রামের পর গাঁটগুলোতে শক্তভাব অনুভূত হতে পারে। এই সময়ে গাঁটগুলো মোচড়ানো বা নাড়ানো কষ্টকর হয়।

৪. লালচে ভাব: গাঁটে প্রদাহের কারণে ত্বক লালচে রঙ ধারণ করতে পারে। এটি প্রদাহের একটি চিহ্ন যা বাতের রোগে সাধারণভাবে দেখা যায়।

৫. তাপমাত্রা বৃদ্ধি: আক্রান্ত গাঁটগুলোতে স্থানীয় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে, অর্থাৎ সেই স্থানে উষ্ণ অনুভূত হয়।

৬. গাঁটে চলাচলের সীমাবদ্ধতা: গাঁটে ব্যথা এবং ফোলার কারণে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ে। হাঁটা, বসা, বা আঙুল নাড়ানোতে সমস্যা দেখা দেয়।

৭. দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি: বাতের রোগীরা প্রায়ই ক্লান্তি অনুভব করেন, যা রোগের সাথে লড়াই করার কারণে শরীরের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার ফল হতে পারে।

৮. গাঁট থেকে অস্বস্তিকর শব্দ: গাঁট নাড়ানোর সময় প্রায়ই অস্বাভাবিক শব্দ (ক্লিকিং বা ক্র্যাকিং) শোনা যেতে পারে, যা গাঁটের হাড় বা কার্টিলেজের ক্ষয়ের কারণে হয়।

৯. গাঁটের বিকৃতি: যেসব ব্যক্তির বাতের ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী, তাদের ক্ষেত্রে গাঁটের আকার পরিবর্তন বা বিকৃতি ঘটতে পারে। এটি বিশেষ করে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে দেখা যায়।

১০. আচমকা ব্যথার বৃদ্ধি: অনেক সময় বাতের ব্যথা আচমকা বাড়তে পারে, বিশেষ করে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমের পরে বা কিছু বিশেষ খাবার খাওয়ার পর।

১১. গাঁটে দুর্বলতা: গাঁটের ব্যথা এবং প্রদাহের কারণে মাংসপেশির শক্তি কমে যায় এবং গাঁটগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে।

১২. দেহের অন্যান্য অংশে ব্যথা: বাতের রোগ শুধুমাত্র গাঁটেই সীমাবদ্ধ থাকে না, কখনও কখনও পিঠ, কোমর, বা অন্যান্য অঙ্গেও ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

১৩. অস্থিরতা ও বিরক্তি: গাঁটের ব্যথার কারণে রোগীরা প্রায়ই অস্থিরতা, ঘুমের সমস্যা এবং মানসিক চাপ অনুভব করতে পারেন।

এই লক্ষণগুলো বাতের বিভিন্ন ধরনের রোগের ক্ষেত্রে ভিন্নভাবে দেখা যেতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী বা তীব্র ব্যথা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

বাতের ব্যথার কারণ 

বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় তো জানলেন এখন এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে জানুন বাতের ব্যথার কারণ। বাতের ব্যথা (Arthritis) মূলত গাঁটের প্রদাহজনিত একটি সমস্যা, যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এটি একাধিক প্রকারের রোগের কারণে দেখা দেয়। 

যেমন- অস্টিওআর্থ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, গাউট ইত্যাদি। বাতের ব্যথার কারণগুলো সাধারণত জৈবিক, শারীরিক, এবং পরিবেশগত বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে। নিচে বাতের ব্যথার মূল কারণগুলো তুলে ধরা হলো:

১. বয়সের প্রভাব: বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে অস্থিসন্ধির (গাঁটের) কার্টিলেজ ক্ষয় হতে শুরু করে, যা অস্টিওআর্থ্রাইটিসের কারণ হতে পারে। এটি সাধারণত ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

২. অতিরিক্ত ওজন: অতিরিক্ত ওজন গাঁটের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে, বিশেষ করে হাঁটু, পায়ের পাতা, এবং মেরুদণ্ডের গাঁটগুলোতে। ওজন বেশি হলে গাঁটের ক্ষয় দ্রুত ঘটে এবং বাতের ব্যথার ঝুঁকি বাড়ে।

৩. জিনগত প্রভাব: বাতের কিছু প্রকার, যেমন রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং গাউট, জিনগত কারণেও হতে পারে। পরিবারে বাতের রোগ থাকলে এর ঝুঁকি বাড়ে।

৪. ইনফেকশন বা সংক্রমণ: কিছু ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ গাঁটে প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা বাতের ব্যথার কারণ হতে পারে। বিশেষ করে সেপটিক আর্থ্রাইটিস সংক্রমণের কারণে হয়।

৫. ইমিউন সিস্টেমের সমস্যা: রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ক্ষেত্রে শরীরের ইমিউন সিস্টেম নিজের গাঁটের টিস্যুকে আক্রমণ করে। এতে গাঁটে প্রদাহ সৃষ্টি হয় এবং ক্রমশ ব্যথা বাড়ে।

৬. অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম: অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম বা একই ধরনের কাজ বারবার করতে হলে গাঁটে চাপ বাড়ে, যা গাঁটের ক্ষয়ের কারণ হতে পারে। এটি কারখানার কর্মী, খেলোয়াড় বা ভারী কাজকর্মের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়।

৭. গাঁটে আঘাত: পুরনো আঘাত বা চোটের কারণে গাঁটে প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। অনেক সময় গাঁটের আঘাত সঠিকভাবে সুস্থ না হলে দীর্ঘমেয়াদে বাতের ব্যথার কারণ হয়।

৮. হরমোনাল পরিবর্তন: নারীদের ক্ষেত্রে মেনোপজের সময় হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে গাঁটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে গেলে গাঁটের হাড় দুর্বল হয়ে বাতের ব্যথার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

৯. পুষ্টির অভাব: ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির অভাব হলে হাড় এবং গাঁটের স্বাস্থ্য দুর্বল হয়। পুষ্টির অভাব বাতের রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

১০. ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি: গাউট নামক বাতের একটি ধরন শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে হয়। এতে গাঁটে ইউরিক অ্যাসিডের স্ফটিক জমা হয় এবং তীব্র ব্যথা সৃষ্টি হয়।

১১. দীর্ঘমেয়াদী স্ট্রেস ও মানসিক চাপ: চাপ এবং মানসিক দুশ্চিন্তা শরীরের প্রদাহজনিত প্রতিক্রিয়া বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা বাতের ব্যথা বাড়াতে পারে।

১২. পরিবেশগত কারণ: ঠান্ডা আবহাওয়া, আর্দ্রতা এবং দূষণ বাতের রোগকে প্রকট করতে পারে। আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে অনেকের বাতের ব্যথা বেড়ে যায়।

১৩. অসুস্থ জীবনযাপন পদ্ধতি: অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, অ্যালকোহল সেবন এবং পর্যাপ্ত ব্যায়ামের অভাব বাতের ব্যথার কারণ হতে পারে। এসব অভ্যাস শরীরের প্রদাহ বাড়ায় এবং গাঁটের ক্ষয় দ্রুত ঘটায়।

বাতের ব্যথা মূলত বয়স, জিনগত কারণ, পুষ্টির অভাব, এবং পরিবেশগত প্রভাবের কারণে হতে পারে। সঠিক চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে এর ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

শেষ কথা

সুপ্রিয় পাঠক, আজকে এই পোস্টের একেবারে শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। আশা করি এ আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং পড়ার মাধ্যমে ইতিমধ্যে আপনি জানতে পেরেছেন বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন।

তবে আপনি আপনার প্রিয়জনের সাথে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। আরও নতুন নতুন প্রতিবেদন পেতে আমার ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন পরিদর্শন করুন এবং আপনার মূল্যবান মতামত কমেন্ট বক্সে জানান। এতক্ষন এই প্রতিবেদনটির সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url