চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়

চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় জানার জন্য আপনি কি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে খোজাখুজি করছেন। কিন্তু সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না। তাহলে আপনি সঠিক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন। আপনাকে এই ওয়েবসাইটে স্বাগতম।
চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
আজকের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এবং মনোযোগ সহকারে ও ধৈর্য ধরে পড়ার মাধ্যমে জেনে নেন চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়। তাহলে চলুন, চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় এর মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়

চোখের এলার্জি দূর করতে কিছু কার্যকরী ঘরোয়া উপায় আছে যা সহজে অনুসরণ করা যেতে পারে। নিচে কিছু চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় বা পদ্ধতি দেওয়া হলো-


১. ঠান্ডা পানির সেঁক: ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ ধোয়া এবং সেঁক দেওয়া এলার্জি কমাতে সহায়ক। একটি পরিষ্কার কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে চোখের উপর কিছু সময় রাখুন। এটি চুলকানি, লালচে ভাব এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।

২. টি ব্যাগের সেঁক: গরম পানি দিয়ে ব্ল্যাক টি বা গ্রিন টি ব্যাগ ভিজিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এরপর টি ব্যাগটি চোখের উপর প্রায় ১০-১৫ মিনিট রাখুন। এতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকে যা চোখের জ্বালাপোড়া কমাতে সহায়ক।

৩. গোলাপজলের ব্যবহার: গোলাপজল চোখের জ্বালাপোড়া ও চুলকানি কমাতে অনেক উপকারী। একটি তুলার বল গোলাপজলে ভিজিয়ে চোখের উপর রাখুন বা কয়েক ফোঁটা গোলাপজল চোখে দিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন।

৪. শসার সেঁক: শসা চোখকে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। শসা পাতলা করে কেটে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। এরপর শসার টুকরো চোখের উপর রাখুন। এটি চোখের আরাম দেয় এবং এলার্জি কমায়।

৫. ঠান্ডা দুধ: ঠান্ডা দুধও চোখের জন্য ভালো সেঁক হিসাবে কাজ করে। তুলা দিয়ে ঠান্ডা দুধ চোখে লাগাতে পারেন। এটি চোখকে আরাম দেয় এবং এলার্জির কারণে সৃষ্ট চুলকানি কমায়।

৬. অ্যালো ভেরা জেল: অ্যালো ভেরা জেল চোখের চারপাশে লাগিয়ে রাখুন বা ঠান্ডা করে চোখের উপর কিছুক্ষণ রাখুন। এতে চোখের জ্বালাপোড়া কমে এবং আরাম পাওয়া যায়।

৭. হোমিওপ্যাথি এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক তেল: কিছু প্রাকৃতিক তেল যেমন- নারকেল তেল বা ক্যাস্টর অয়েল চোখের আশেপাশে লাগানো যেতে পারে, তবে এটি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করুন।

এই পদ্ধতিগুলি ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন এবং যদি সমস্যা বেড়ে যায়। তবে দ্রুত চক্ষু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

চোখের এলার্জি দূর করার দোয়া

চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় এই আর্টিকেলের এই প্রতিবেদনটিতে থাকছে চোখের এলার্জি দূর করার দোয়া। চোখের যেকোনো সমস্যায় ইসলামে দোয়া ও রুকইয়াহ (কুরআনের আয়াত) পড়ে আল্লাহর সাহায্য চাওয়া একটি সুন্নতি পদ্ধতি। চোখের এলার্জি বা অন্য কোনো সমস্যায় নিম্নোক্ত দোয়াগুলো পড়া যেতে পারে:

১. আয়াতুল কুরসি (সূরা আল-বাকারা, আয়াত ২৫৫): আয়াতুল কুরসি পড়ে চোখের ওপর ফুঁ দিয়ে হাত বুলাতে পারেন। এটি রুকইয়াহ এবং শেফার জন্য ব্যবহৃত হয়।

২. সূরা আল-ইখলাস, সূরা আল-ফালাক, ও সূরা আন-নাস: এ তিনটি সূরা তিনবার করে পড়ে চোখের ওপর ফুঁ দিয়ে হাত বুলানো যেতে পারে। এটি সকল প্রকার কষ্ট ও রোগ থেকে রক্ষার জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসূ।

৩. সূরা আল-ফাতিহা: সূরা আল-ফাতিহা পড়া এবং চোখের ওপর ফুঁ দিয়ে লাগানো রোগ নিরাময়ের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

৪. “আ'উযু বিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম”: এই দোয়া পড়ে চোখের উপরে হাত বুলাতে পারেন। এটি এলার্জি ও অস্বস্তি দূর করতে সহায়ক হতে পারে।

৫. রুকইয়াহ দোয়া (ধারাবাহিক): "বিসমিল্লাহিল্লাযী লা ইয়াদুররু মা'আসমিহি শাইউন ফিল আরদ়ি ওয়ালা ফিস সামা’ই ও হুওয়াস সামীউল আলীম" - এই দোয়াটি তিনবার করে পড়ে চোখের ওপর ফুঁ দিতে পারেন। এটি রোগবালাই দূর করতে সহায়ক।

বিশেষত, দোয়া পড়ার সময় আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা রাখুন এবং চোখের এলার্জি সহ যেকোনো রোগ থেকে মুক্তি পেতে বেশি বেশি করে দোয়া পাঠ করুন এবং মহান আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখুন। চোখে বেশি সমস্যা হলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

চোখের এলার্জি দূর করার ঔষধ

চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো অনুসরণ করার পরেও যদি চোখের এলাওর্জি ভালো না হয়। তবে চোখের এলার্জি দূর করার জন্য ঔষধ সেবন করতে হবে। চোখের এলার্জির জন্য বাজারে কিছু ওষুধ পাওয়া যায়।

তবে এসব ওষুধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নিচে চোখের এলার্জির জন্য কিছু প্রচলিত ওষুধের নাম এবং তাদের কাজ উল্লেখ করা হলো:

১. এন্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট: এন্টিহিস্টামিন ওষুধ শরীরে হিস্টামিনের প্রভাব কমিয়ে এলার্জির উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। কিছু সাধারণ এন্টিহিস্টামিন ওষুধের নাম হলো:
  • লোরাটাডিন (Loratadine) - ব্র্যান্ড নাম: ক্ল্যারিটিন (Claritin)
  • সিটিরিজিন (Cetirizine) - ব্র্যান্ড নাম: জিরটেক (Zyrtec)
  • ফেক্সোফেনাডিন (Fexofenadine) - ব্র্যান্ড নাম: অ্যালেগ্রা (Allegra)
  • ডিফেনহাইড্রামিন (Diphenhydramine) - ব্র্যান্ড নাম: বেনাড্রিল (Benadryl)


২. এন্টিহিস্টামিন ড্রপস: এন্টিহিস্টামিন চোখের এলার্জি কমাতে সহায়ক, কারণ এটি হিস্টামিন নামক রাসায়নিককে অবরুদ্ধ করে, যা চুলকানি ও লালচে ভাবের জন্য দায়ী। কিছু সাধারণ এন্টিহিস্টামিন ড্রপস হল:

  • অ্যালোইন (Alaway)
  • পাটানল (Patanol)
  • জাডিটর (Zaditor)

৩. স্টেরয়েড ড্রপস: চোখের গুরুতর এলার্জি বা প্রদাহের জন্য অনেক সময় স্টেরয়েড ড্রপস ব্যবহার করা হয়। তবে, এটি শুধু চিকিৎসকের পরামর্শেই ব্যবহার করা উচিত কারণ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। কিছু স্টেরয়েড ড্রপস হল:

  • প্রেডনিসোলোন (Prednisolone)
  • ফ্লুরোমিথোলোন (Fluorometholone)

৪. নন-স্টেরয়েডাল এন্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রপস (NSAIDs): চোখের ফোলাভাব ও ব্যথা কমাতে NSAIDs ব্যবহার করা যায়:

  • অ্যাকুলার (Acular)
  • নেপাফেনাক (Nepafenac)

৫. মাস্ত সেল স্ট্যাবিলাইজার ড্রপস: এই ধরনের ড্রপস এলার্জির উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যেমন:

  • ক্রোমোলিন সোডিয়াম (Cromolyn sodium)
  • লোডোক্সামাইড (Lodoxamide)

৬. কৃত্রিম অশ্রু ড্রপস (Artificial Tears): কৃত্রিম অশ্রু ড্রপ চোখকে সিক্ত রাখে এবং এলার্জির কারণে সৃষ্ট চুলকানি ও জ্বালাপোড়া কমায়। এগুলো সাধারণত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন-

  • রিফ্রেশ টিয়ার্স (Refresh Tears)
  • সিস্টেন আল্ট্রা (Systane Ultra)

এ ছাড়াও, চোখের এলার্জির জন্য ওভার-দ্য-কাউন্টার বা প্রেসক্রিপশন ভিত্তিক কিছু মুখে খাওয়ার এন্টিহিস্টামিনও পাওয়া যায়। তবে দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

চোখের এলার্জি কেন হয়

চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানলেন এখন জেনে রাখুন চোখের এলার্জি কেন হয় সে সম্পর্কে।  চোখের এলার্জি ঘটে মূলত চোখে এমন কোনো পদার্থ বা উপাদান প্রবেশ করার কারণে। যা শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বিরক্ত করে এবং এলার্জি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। চোখের এলার্জির সাধারণ কারণগুলো হলো-

১. ধুলাবালি এবং দূষণ: ধুলাবালি, ধোঁয়া এবং পরিবেশ দূষণ চোখের এলার্জির অন্যতম প্রধান কারণ। এসব উপাদান চোখে প্রবেশ করলে এলার্জির লক্ষণ যেমন চুলকানি, লালচে ভাব এবং জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে।

২. ফুলের পরাগ (পলিন): ফুলের পরাগ (পলিন) এক ধরনের অ্যালার্জেন যা চোখে প্রবেশ করলে এলার্জির সৃষ্টি করে। বিশেষত বসন্তকাল বা গ্রীষ্মকালে ফুলের পরাগের পরিমাণ বাড়ে, যা চোখে এলার্জি তৈরি করতে পারে।

৩. পশুর লোম এবং চুল: কুকুর, বিড়াল বা অন্যান্য পোষা প্রাণীর লোম এবং চুলও চোখের এলার্জির কারণ হতে পারে। এসব পদার্থ চোখে প্রবেশ করলে এলার্জি হতে পারে।

৪. মোল্ড (Fungi) এবং ফাঙ্গাস: বৃষ্টির পর মোল্ড (ছত্রাক) বা ফাঙ্গাসও চোখের এলার্জির কারণ হতে পারে, বিশেষত ঘরোয়া পরিবেশে আর্দ্রতা বেশি হলে এটি প্রভাব ফেলে।

৫. রক্তাণু বা কেমিক্যালস: ধোঁয়া, গন্ধ, কেমিক্যাল (যেমন, ক্লিনিং প্রোডাক্ট, পারফিউম) বা তীব্র রাসায়নিক পদার্থও চোখের এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে।

৬. অ্যানিম্যাল ড্যান্ডার (পশুর মৃত চামড়ার কণিকা): পশুর মৃত চামড়া বা চুলের ক্ষুদ্র কণিকাগুলি বাতাসে ভেসে থাকলে তা চোখে প্রবেশ করে এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে।

৭. খাদ্য এলার্জি: মানুষের কিছু খাবারের কারণে চোখে এলার্জি অনুভত হতে পারে। যেমন- কাঁচা শাকসবজি, সামুদ্রিক মাছ বা অন্যান্য খাদ্য উপাদান।

৮. কসমেটিক্স ও মেকআপ: মেকআপ, আইশ্যাডো বা অন্যান্য কসমেটিক্সের মধ্যে থাকা কিছু উপাদান চোখে এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে।

৯. জীবাণু ও ভাইরাস: কিছু ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া যেমন কনজাঙ্কটিভাইটিস (pink eye) বা অন্যান্য সংক্রমণও চোখে এলার্জির মত উপসর্গ তৈরি করতে পারে।

এলার্জি সাধারণত শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (ইমিউন সিস্টেম) কোনো নির্দিষ্ট উপাদানকে হুমকি হিসেবে চিনে তার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। যার ফলে চোখে এলার্জি সৃষ্টি হয়।

চোখের এলার্জি লক্ষণ

চোখের এলার্জির লক্ষণগুলি সাধারণত বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন ধূলা, ফুলের পরাগ, পশুর লোম, বা অন্যান্য আলার্জেন।  চোখের এলার্জির সাধারণ লক্ষণগুলি হলো:

১. চোখে চুলকানি: চোখের এলার্জির সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো চোখে প্রচণ্ড চুলকানি বা গায়ে আঁচড়ানো অনুভূতি।

২. লালচে বা ফোলাভাব: চোখের সাদা অংশ (স্ক্লেরা) লাল বা রক্তাক্ত হতে পারে। এছাড়া চোখে ফোলাভাব বা "পাফি" চোখ দেখা যেতে পারে।

৩. জল পড়া (পানি পড়া): চোখ থেকে অতিরিক্ত পানি পড়া বা অশ্রু নিঃসরণ হওয়া চোখের এলার্জির আরেকটি সাধারণ লক্ষণ।

৪. চোখে জ্বালাপোড়া বা জ্বালা: চোখে অস্বস্তি, জ্বালাপোড়া বা তিক্ততার অনুভূতি হতে পারে। এটি বিশেষত আর্দ্র পরিবেশে বা বাতাসে এলার্জেন থাকলে বৃদ্ধি পায়।

৫. অস্পষ্ট দৃষ্টি: চোখের অশ্রু বা চোখের চারপাশে ফোলাভাব থাকার কারণে দৃষ্টি অস্পষ্ট বা ঝাপসা হতে পারে।

৬. আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা: চোখে অস্বস্তি অনুভূত হওয়ার কারণে আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা বাড়তে পারে, যা "ফটোফোবিয়া" নামে পরিচিত।

৭. কনজাঙ্কটিভাইটিস (Conjunctivitis): চোখের লালচে হওয়া, চোখে গন্ধ বা পাতলা সাদা বা হলুদ রঙের স্রাব বের হওয়া।

৮. চোখের চারপাশে অস্বস্তি বা ব্যথা: চোখের চারপাশে হালকা ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভূতি হতে পারে, যা বেশিরভাগ সময়ে এলার্জির কারণে হয়।

৯. চোখের উপর পলক পড়া বা মুখের অভ্যন্তরে চাপ অনুভব: কখনও কখনও চোখের এলার্জি অল্প পরিমাণে পলক পড়া বা চোখের চারপাশে চাপ তৈরি করতে পারে।

যদি এই লক্ষণগুলো বেশিদিন ধরে চলতে থাকে বা আরও বেড়ে যায়, তবে চক্ষু বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

মন্তব্য। 

পাঠক বন্ধুগন, আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি ধৈর্য ধরে পড়েছেন এবং পড়ার মাধ্যমে ইতিমধ্যে আপনি জানতে পেরেছেন চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে আপনি আপনার প্রিয়জনদের সাথে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করুন। 

কেননা আপনার শেয়ারের মাধ্যমে তারাও জানতে পারবে চোখের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়  সম্পর্কে। আরও নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে আমার ওয়েবসাইট www.sumonworld.com প্রতিদিন পরিদর্শন করুন। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি। ভালো থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url