সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

সুপ্রিয় পাঠক, ভাই ও বোনেরা আপনার কি সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম জানতে চান? তাহলে আপনাকে এই পোস্টে স্বাগতম। কেন আজকের এই পোষ্টের মূল আলোচ্য বিষয় সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে।
সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম
তাহলে আর দেরি না করে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পুরোটা পড়ার মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম। আশা করি এই পোস্টটি করতে আপনার ভালো লাগবে। চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যায়।

সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সোনালী ব্যাংকে জনপ্রিয়তা অন্যান্য ব্যাংক থেকে একটু বেশি। যার কারণে সোনালী ব্যাংকে গ্রাহকগণ এখন খুলতে বেশ আগ্রহী। ব্যক্তিগতভাবে আমিও সোনালী ব্যাংকের একজন গ্রাহক। 

তাদের সেবা সমূহ এবং কার্যক্রম গুলো অনেক সূক্ষ্ম এবং খুব দ্রুত। সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম বেশ সহজ এবং সাধারণ। নিচে ধাপে ধাপে প্রক্রিয়াটি দেওয়া হলো:

১. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস: ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে:
  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID): মূল এবং ফটোকপি
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি: সাধারণত ২-৩ কপি
  • সাধারণ সঞ্চয়ী হিসাবের জন্য আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে
  • টিআইএন সার্টিফিকেট (যদি থাকে), বিশেষ করে বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টের জন্য
  • বৈধ ঠিকানার প্রমাণপত্র: যেমন ইউটিলিটি বিল, হোল্ডিং ট্যাক্স রিসিপ্ট ইত্যাদি

২. ব্যাংক শাখায় যাওয়া: নিকটস্থ সোনালী ব্যাংকের শাখায় যান। গ্রাহক সেবা ডেস্ক থেকে অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদনপত্র সংগ্রহ করুন।

৩. আবেদনপত্র পূরণ: ফর্মে ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ করুন। যেমন: নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইত্যাদি। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করুন।

৪. প্রাথমিক জমা: সোনালী ব্যাংকে সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য প্রাথমিক জমা হিসেবে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিতে হবে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক জমার পরিমাণ সম্পর্কে আপনাকে জানাবে (সাধারণত এটি ৫০০ টাকা বা তার কম হতে পারে)।

৫. যাচাইকরণ: আপনার দেওয়া তথ্য এবং ডকুমেন্টস যাচাই করে ব্যাংক। যাচাই শেষে তারা আপনাকে অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং চেকবই বা ডেবিট কার্ড প্রদান করবে।

৬. একাউন্ট সক্রিয় করা: একাউন্ট সক্রিয় হতে কিছুদিন সময় লাগতে পারে। সক্রিয় হলে আপনি মোবাইল বা ইমেইলের মাধ্যমে একটি নিশ্চিতকরণ বার্তা পাবেন।

অনলাইন ব্যাংকিং: সোনালী ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা ব্যবহারের জন্যও আবেদন করতে পারেন। এটি আপনার লেনদেন সহজ করবে। এই নিয়মাবলী অনুসরণ করে আপনি সোনালী ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।

সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে

সোনালী ব্যাংকে একটি সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্ট খুলতে সাধারণত ৫০০টাকা  থেকে ১,০০০ টাকা প্রাথমিক জমা হিসেবে জমা দিতে হয়। তবে বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্টের জন্য এই পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে। কিছু বিশেষ অ্যাকাউন্টের জন্য আরও বেশি টাকা জমা দিতে হতে পারে। উক্ত জমাকৃত টাকা আপনার একাউন্টে থেকে যায় যা পরবর্তীতে আপনি উত্তোলন করতে পারেন।

সঠিক তথ্যের জন্য নিকটস্থ সোনালী ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করতে পারেন, কারণ বিভিন্ন সময় ব্যাংকের নীতিমালায় পরিবর্তন আসতে পারে।

সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার ফরম পূরণ নমুনা

সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম গুলোর মধ্যে সবথেকে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ যে নিয়ম সেটা হল একাউন্ট খোলার জন্য ফর্ম পূরণ করা। সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার ফর্ম পূরণের জন্য সাধারণত নিচের তথ্য পূরণ করতে হয়।

প্রতিটি তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংযুক্ত করতে হবে। নিচে একটি সাধারণ নমুনা তুলে ধরা হলো:

সোনালী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ফর্ম পূরণের ধাপ:

১. ব্যক্তিগত তথ্য:

পূর্ণ নাম: (জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী নাম)

পিতার নাম:

মাতার নাম:

জন্ম তারিখ:

জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (NID):

পাসপোর্ট নম্বর (যদি থাকে):

টিআইএন (যদি থাকে):

লিঙ্গ:

বৈবাহিক অবস্থা:

ধর্ম:

২. ঠিকানা:

স্থায়ী ঠিকানা:

বর্তমান ঠিকানা:

ইমেইল ঠিকানা: (যদি থাকে)

মোবাইল নম্বর:

৩. আয়ের উৎস:

পেশা:

কর্মস্থলের নাম ও ঠিকানা (যদি চাকরিজীবী হন):

বার্ষিক আয়:

ব্যবসা বা চাকরির ধরন:

৪. নমিনির তথ্য

নমিনির নাম:

সম্পর্ক:

জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (NID):

নমিনির জন্ম তারিখ:

ঠিকানা:

৫. ব্যাংকিং তথ্য:

অ্যাকাউন্টের ধরন: (সঞ্চয়ী/চলতি/ফিক্সড ডিপোজিট)

ডেবিট কার্ড প্রয়োজন কিনা: (হ্যাঁ/না)

ইন্টারনেট ব্যাংকিং প্রয়োজন কিনা: (হ্যাঁ/না)

৬. ডকুমেন্ট সংযুক্তি:

জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি

পাসপোর্ট সাইজের ছবি (২-৩ কপি)

ঠিকানার প্রমাণ (ইউটিলিটি বিল ইত্যাদি)

প্রাথমিক জমার রশিদ

স্বাক্ষর:

আবেদনকারীর স্বাক্ষর: (নির্ধারিত স্থানে স্বাক্ষর করতে হবে)।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষের জন্য স্থান: (ব্যাংক ভেরিফিকেশনের জন্য)।

সঠিক তথ্য পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করলে ব্যাংক আপনার অ্যাকাউন্ট খুলবে।

সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট সুবিধা

উপরে প্রতিবেদনগুলোর মাধ্যমে আমরা ইতিমধ্যে জানলাম সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম। এখন এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে জানবো সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট সুবিধা সম্পর্কে। সোনালী ব্যাংকের সেভিংস (সঞ্চয়ী) অ্যাকাউন্ট অনেক সুবিধা প্রদান করে।

যা গ্রাহকদের জন্য ব্যাংকিং কার্যক্রম সহজ এবং সুবিধাজনক করে তোলে। নিচে সোনালী ব্যাংকের সেভিংস অ্যাকাউন্টের কিছু প্রধান সুবিধা উল্লেখ করা হলো:

সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্টের সুবিধা:

১. সঞ্চয়ের সুবিধা: নিয়মিত সঞ্চয় করার মাধ্যমে অর্থ জমা রাখতে পারেন এবং এর উপর সুদ উপার্জন করতে পারবেন।

২. সুদ প্রদান: জমার উপর ব্যাংক সুদ প্রদান করে, যা সঞ্চয় বাড়াতে সহায়তা করে। সেভিংস একাউন্টের সুদের হার সাধারণত ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত হয়।

৩. অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধা: ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ঘরে বসেই আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন করতে পারেন, যা সময় এবং পরিশ্রম বাঁচায়।

৪. ডেবিট/এটিএম কার্ড সুবিধা: অ্যাকাউন্ট খোলার সাথে সাথে ডেবিট কার্ড (এটিএম কার্ড) ইস্যু করা হয়। যার মাধ্যমে আপনি ২৪/৭ এটিএম থেকে টাকা তুলতে এবং কেনাকাটা করতে পারবেন।

৫. মোবাইল ব্যাংকিং: মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধার মাধ্যমে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে ব্যালেন্স চেক, লেনদেন এবং অন্যান্য সেবা উপভোগ করতে পারবেন।

৬. চেকবই সুবিধা: অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি লেনদেনের জন্য চেকবই সরবরাহ করা হয়, যা নিরাপদ ও সুবিধাজনক।

৭. স্বল্প ব্যালেন্সের বাধ্যবাধকতা: সেভিংস একাউন্টে স্বল্প প্রাথমিক জমা দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা যায় এবং ন্যূনতম ব্যালেন্সের পরিমাণও খুব কম।

৮. নিয়মিত স্টেটমেন্ট: আপনার অ্যাকাউন্টের লেনদেনের স্টেটমেন্ট পেতে পারবেন। যা আপনাকে সঞ্চয় ও ব্যয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়ক।

৯. সরকারি লেনদেনের সুবিধা: সরকারি ভাতা, পেনশন, স্কলারশিপ ইত্যাদি সহজেই এই একাউন্টে গ্রহণ করা যায়।

১০. নিরাপদ সঞ্চয়: সোনালী ব্যাংক একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায়, আপনার সঞ্চয় নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকে।

অতিরিক্ত সুবিধা: দেশের যেকোনো স্থানে সোনালী ব্যাংকের শাখা থেকে সহজে লেনদেন করা যায়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে সহজেই সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। এইসব সুবিধার মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের সেভিংস একাউন্ট গ্রাহকদের জন্য একটি সুবিধাজনক ও লাভজনক সেবা প্রদান করে।

সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট চার্জ

সোনালী ব্যাংকের সেভিংস (সঞ্চয়ী) অ্যাকাউন্টে কিছু নির্দিষ্ট চার্জ রয়েছে, যা বিভিন্ন ব্যাংকিং সেবার জন্য প্রযোজ্য। চার্জগুলো ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী সময়ে সময়ে পরিবর্তন হতে পারে। এখানে সোনালী ব্যাংকের সেভিংস অ্যাকাউন্টে সাধারণত যেসব চার্জ নেওয়া হয়, তা উল্লেখ করা হলো:

১. অ্যাকাউন্ট খোলার চার্জ: সাধারণত সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কোনো ফি নেওয়া হয় না। তবে প্রাথমিক জমা হিসাবে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা রাখতে হয় (সাধারণত ৫০০ থেকে ১,০০০ টাকা)।

২. অ্যাকাউন্ট মেইনটেনেন্স ফি: সোনালী ব্যাংকে সেভিংস অ্যাকাউন্টের মাসিক বা বার্ষিক মেইনটেনেন্স চার্জ নেওয়া হয়। এটি সাধারণত ২০০-৩০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। তবে ন্যূনতম ব্যালেন্স রাখলে অনেক ক্ষেত্রে এই চার্জ মওকুফ করা হয়।

৩. নিম্ন ব্যালেন্স চার্জ: যদি সেভিংস অ্যাকাউন্টে ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম ব্যালেন্স (সাধারণত ৫০০-১,০০০ টাকা) বজায় না থাকে, তাহলে নিম্ন ব্যালেন্স চার্জ নেওয়া হতে পারে। এই চার্জ সাধারণত মাসিকভাবে ধার্য করা হয়।

৪. চেকবই ইস্যু চার্জ: প্রথম চেকবই বিনামূল্যে দেওয়া হয়। অতিরিক্ত চেকবইয়ের জন্য প্রতি চেক পাতা অনুযায়ী চার্জ নেওয়া হতে পারে (সাধারণত প্রতি পাতার জন্য ৫-১০ টাকা)।

৫. ডেবিট কার্ড/এটিএম কার্ড ফি: প্রথমবার ডেবিট কার্ড ইস্যু ফি সাধারণত বিনামূল্যে হয়ে থাকে। বছরের বার্ষিক কার্ড রিনিউয়াল ফি হিসেবে সাধারণত ৩০০-৫০০ টাকা চার্জ করা হয়।

৬. অনলাইন লেনদেন ফি: অনলাইন ব্যাংকিং বা ইন্টারনেট ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে লেনদেন করলে কিছু ক্ষেত্রে লেনদেন চার্জ নেওয়া হয়, বিশেষ করে ব্যাংকের বাইরের অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করার ক্ষেত্রে।

৭. এসএমএস চার্জ: অ্যাকাউন্টে লেনদেনের আপডেট জানার জন্য এসএমএস সার্ভিস ব্যবহার করলে, প্রতি মাসে ১০-২০ টাকা এসএমএস চার্জ নেওয়া হতে পারে।

৮. এটিএম লেনদেন চার্জ: সোনালী ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা তুলতে কোনো চার্জ নেই। অন্য ব্যাংকের এটিএম ব্যবহার করলে ২০-৩০ টাকা চার্জ নেওয়া হতে পারে প্রতি লেনদেনে।

৯. স্টেটমেন্ট ফি: বছরে একবার বিনামূল্যে অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট পাওয়া যায়। অতিরিক্ত স্টেটমেন্টের জন্য প্রতি পৃষ্ঠা ৫০-১০০ টাকা চার্জ হতে পারে।

এই চার্জগুলো সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে, তাই সঠিক এবং হালনাগাদ তথ্যের জন্য নিকটস্থ সোনালী ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করা বা ব্যাংকের ওয়েবসাইট দেখার পরামর্শ দেওয়া হয়।

সোনালী ব্যাংকের সেবা সমূহ

যারা সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে চাইছেন তাদের অবশ্যই সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম জানার পাশাপাশি প্রণালী ব্যাংকে সেবা সহ সম্পর্কে জানা দরকার। সোনালী ব্যাংক বাংলাদেশের একটি অন্যতম বৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক এবং এটি বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে। 

গ্রাহকদের বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে ব্যাংকটি সঞ্চয়, ঋণ, বিদেশি লেনদেনসহ আরও অনেক সেবা দিয়ে থাকে। নিচে সোনালী ব্যাংকের প্রধান সেবাসমূহ উল্লেখ করা হলো:

১. সঞ্চয়ী হিসাব (Savings Account): ব্যক্তিগত সঞ্চয়ের জন্য সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা। সঞ্চয়ের উপর সুদ প্রদান। মোবাইল ও অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধা।

২. চলতি হিসাব (Current Account): ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য চলতি হিসাব খোলার সুবিধা। সীমাহীন লেনদেনের সুযোগ। চেকবই সুবিধা এবং ডেবিট কার্ড সুবিধা।

৩. ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposit Receipt - FDR): নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য টাকা জমা রাখলে উচ্চ সুদ প্রদান। ৩, ৬, ১২, ২৪, ৩৬ মাসের মেয়াদে ফিক্সড ডিপোজিট করার সুবিধা।

৪. ডেবিট ও এটিএম কার্ড সেবা: ডেবিট কার্ড ও এটিএম কার্ড ইস্যু করে, যার মাধ্যমে ২৪/৭ এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন, অনলাইন কেনাকাটা ও পেমেন্ট করা যায়।

৫. ঋণ সুবিধা (Loans):
  • ব্যক্তিগত ঋণ: ব্যক্তিগত প্রয়োজন পূরণের জন্য ঋণ।
  • শিক্ষা ঋণ: শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য ঋণ।
  • গৃহ ঋণ: বাড়ি কেনার বা নির্মাণের জন্য ঋণ।
  • কৃষি ঋণ: কৃষকদের জন্য ঋণ সুবিধা।
  • এসএমই ঋণ: ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ঋণ সুবিধা।
৬. বিদেশি রেমিট্যান্স সেবা: প্রবাসী বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্স দ্রুত ও নিরাপদে গ্রহণের সুবিধা। বিভিন্ন দেশে টাকা পাঠানোর সহজ ও সাশ্রয়ী মাধ্যম।

৭. অনলাইন ব্যাংকিং: ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ঘরে বসেই অ্যাকাউন্ট পরিচালনা, টাকা ট্রান্সফার, বিল পেমেন্ট, এবং অন্যান্য সেবা।

৮. মোবাইল ব্যাংকিং সেবা: মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ব্যাংকিং সুবিধা ব্যবহার করা যায়। টাকা ট্রান্সফার, ব্যালেন্স চেক, এবং বিল পেমেন্ট।

৯. ট্রেড ফাইন্যান্সিং (Trade Financing): আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য ঋণ সুবিধা। এলসি (Letter of Credit) ইস্যু এবং অন্যান্য ট্রেড ফাইন্যান্সিং সুবিধা।

১০. স্কলারশিপ এবং সরকারি সুবিধা: শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপের টাকা গ্রহণ। সরকারি ভাতা, পেনশন, এবং অন্যান্য সুবিধা গ্রহণের ব্যবস্থা।

১১. চেক পরিষেবা: চেক ইস্যু এবং সংগ্রহের সুবিধা। ক্লিয়ারিং সার্ভিসের মাধ্যমে চেকের টাকা উত্তোলন।

১২. পেনশন সেবা: সরকারি কর্মচারীদের অবসরভাতার ব্যবস্থা। নির্ধারিত সময়ে পেনশন বিতরণ।

১৩. ডিপোজিট স্কিম: বিভিন্ন ডিপোজিট স্কিমের মাধ্যমে নিয়মিত সঞ্চয়ের সুযোগ। 
  • ডাবল বেনিফিট স্কিম (Double Benefit Scheme): নির্দিষ্ট সময়ে জমা করা টাকা দ্বিগুণ হওয়ার সুবিধা।
  • পেনশন স্কিম: মাসিক কিস্তির মাধ্যমে পেনশনের সুবিধা।
১৪. কর্পোরেট ব্যাংকিং: বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিশেষ ব্যাংকিং সুবিধা। ট্রেজারি সলিউশন, কর্পোরেট ঋণ এবং অন্যান্য আর্থিক পরিষেবা।

১৫. পরিবহন ঋণ: ব্যক্তিগত বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে গাড়ি কেনার জন্য ঋণ সুবিধা।

১৬. ডিমান্ড ড্রাফট (DD) এবং পে অর্ডার (PO): ব্যাংকের মাধ্যমে ডিমান্ড ড্রাফট এবং পে অর্ডার ইস্যু করে পেমেন্টের সুবিধা।

এইসব সেবাসমূহের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক ও প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহকদের জন্য একটি পরিপূর্ণ ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা প্রদান করে। 

সোনালী ব্যাংকের শাখা কয়টি

সোনালী ব্যাংকের শাখা সংখ্যা ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ১,২০০+ এর বেশি। এই শাখাগুলো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে, যার মধ্যে মহানগরী, জেলা শহর, উপজেলা এবং গ্রামীণ এলাকাও অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া সোনালী ব্যাংকের কিছু শাখা বিদেশেও রয়েছে, যেখানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাংকিং সেবা নিতে পারেন।

মতামত

পাঠক, আজকের পোস্টের একেবারে শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। আপনিও যদি সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে চান তাহলে উপরোক্ত নিয়ম গুলো অনুসরণ করুন। এছাড়াও সঠিক এবং হালনাগাদ তথ্যের জন্য সোনালী ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা নিকটস্থ শাখায় যোগাযোগ করতে পারেন। 

এতক্ষন আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে  সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম এই পোস্টটির সাথে থাকার জন্য আপনি অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url