গর্ভাবস্থায় বমি হলে কি করনীয় ও গর্ভাবস্থায় বমি হওয়ার কারণ
গর্ভাবস্থায় বমি হলে কি করনীয় ও গর্ভাবস্থায় বমি হওয়ার কারণ জানার জন্য অনেক গর্ভবতী মায়েরা বিভিন্ন সাইডে অনুসন্ধান করেন। কিন্তু কাঙ্খিত তথ্য পান না। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি।আজকের আর্টিকেল মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন গর্ভাবস্থায় বমি হলে কি করনীয় ও গর্ভাবস্থায় বমি হওয়ার কারণ ।
তাহলে চলুন আজকে আর্টিকেলটি ধৈর্য ধরে পড়ার মাধ্যমে জেনে নিন গর্ভাবস্থায় বমি হলে কি করনীয় ও গর্ভাবস্থায় বমি হওয়ার কারণ। চলুন আর্টিকেলটা যাওয়া যায়।
গর্ভাবস্থায় বমি হলে কি করনীয়
গর্ভাবস্থায় বমি হলে কি করনীয় ও গর্ভাবস্থায় বমি হওয়ার কারণ আর্টিকেল এই প্রতিবেদনটিতে থাকছে গর্ভাবস্থায় বমি হলে কি করনীয় সে সম্পর্কে। গর্ভাবস্থায় বমি বা মর্নিং সিকনেস একটি সাধারণ সমস্যা।
যা বিশেষত প্রথম তিন মাসে (প্রথম ত্রৈমাসিক) বেশি দেখা যায়। এটি হরমোনের পরিবর্তনের কারণে হয় এবং কিছু সহজ পদ্ধতিতে এর উপশম করা যায়। নিচে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো:
১. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন করুন: সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কিছু শুকনো খাবার (যেমন বিস্কুট বা টোস্ট) খান। একবারে অনেক খাবার না খেয়ে অল্প করে বারবার খান। তৈলাক্ত, মসলাদার ও ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন। আদা বা আদা-যুক্ত চা বমি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
২. পানি পান করুন: প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল (যেমন ডাবের পানি, লেবুর শরবত) পান করুন। বমি হলে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়, যা পূরণ করা জরুরি।
৩. আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করুন: ঠান্ডা ও আরামদায়ক পরিবেশে থাকুন। বমির গন্ধ বাড়ায় এমন জিনিস (যেমন তীব্র গন্ধযুক্ত খাবার) এড়িয়ে চলুন।
৪. ভিটামিন ও সাপ্লিমেন্ট: ডাক্তার পরামর্শ দিলে ভিটামিন বি৬ বা অন্যান্য সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যেতে পারে, যা বমি কমাতে সাহায্য করে।
৫. আরাম করুন: বিশ্রাম নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। খুব বেশি কাজ করলে বা ক্লান্ত হলে বমি বাড়তে পারে শোয়ার সময় মাথা একটু উঁচুতে রাখুন।
৬. ডাক্তারের পরামর্শ নিন: যদি বমি খুব বেশি হয় এবং পানি বা খাবার কিছুই রাখতে না পারেন, তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। হাইপারেমেসিস গ্র্যাভিডারাম (অত্যন্ত গুরুতর বমি) হতে পারে, যা চিকিৎসা প্রয়োজন।
সতর্কতা: নিজের ইচ্ছায় কোনো ওষুধ খাবেন না। যদি বমির সঙ্গে জ্বর, ডায়রিয়া বা অন্য কোনো উপসর্গ দেখা দেয়, তবে অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে যান। এই সহজ উপায়গুলো মেনে চললে গর্ভাবস্থার বমি অনেকটাই কমানো সম্ভব।
গর্ভাবস্থায় বমি হওয়া কি স্বাভাবিক
হ্যাঁ, গর্ভাবস্থায় বমি হওয়া সাধারণত স্বাভাবিক এবং এটি মর্নিং সিকনেস নামে পরিচিত। এটি গর্ভধারণের প্রথম ত্রৈমাসিকে (প্রথম ১২ সপ্তাহ) সবচেয়ে বেশি দেখা যায় এবং বেশিরভাগ গর্ভবতী নারীর জন্য এটি এক ধরনের প্রাকৃতিক প্রতিক্রিয়া। তবে, কিছু নারীর ক্ষেত্রে এটি পুরো গর্ভাবস্থায় বা দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও থাকতে পারে।
গর্ভাবস্থায় বমি হওয়ার কারণ
গর্ভাবস্থায় বমি হলে কি করনীয় ও গর্ভাবস্থায় বমি হওয়ার কারণ আর্টিকেলটি প্রতিবেদনটিতে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করতে চলেছি গর্ভাবস্থার বমি হওয়ার কারণ। নিম্নে গর্ভাবস্থায় বমি হওয়ার কারণগুলো উল্লেখ করা হলো-
1. হরমোনাল পরিবর্তন: গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন, বিশেষত hCG (হিউম্যান কোরিওনিক গনাডোট্রোপিন) এবং ইস্ট্রোজেন, বমি সৃষ্টি করতে পারে। এই হরমোনগুলোর মাত্রা বাড়লে গর্ভবতী নারীর পেটে অস্বস্তি এবং বমি বমি ভাব হতে পারে।
2. পাচনতন্ত্রের পরিবর্তন: গর্ভাবস্থায় প্রোজেস্টেরন হরমোনের প্রভাব পেটের পেশি শিথিল করে, ফলে খাবার হজমে দেরি হয় এবং এর ফলস্বরূপ বমি বা বমি বমি ভাব হতে পারে।
3. গন্ধের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা: গর্ভবতী নারীর ঘ্রাণশক্তি বাড়ে, যা বিভিন্ন গন্ধের প্রতি অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা তৈরি করতে পারে এবং এটি বমির কারণ হতে পারে।
4. মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন: গর্ভধারণের শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তনও বমির কারণ হতে পারে। কিছু নারীর জন্য গর্ভাবস্থা উদ্বেগ বা মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা শারীরিক উপসর্গ হিসেবে বমির আকারে প্রকাশ পায়।
কখন এটি সমস্যা হতে পারে: যদিও মর্নিং সিকনেস সাধারণত স্বাভাবিক, কিছু ক্ষেত্রে এটি একটি জটিল সমস্যায় পরিণত হতে পারে, যেমন হাইপারেমেসিস গ্র্যাভিডারাম (Hyperemesis Gravidarum), যা একটি গুরুতর অবস্থায় পরিণত হয়।
এটি বমি খুব বেশি হওয়ার কারণে গর্ভবতী নারীর শরীরে পানির অভাব, পুষ্টির ঘাটতি, এবং ওজন কমে যাওয়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
এতে সতর্ক হওয়া উচিত: যদি বমি খুব বেশি হয় এবং পানি বা খাবার খেতে না পারেন, বা ওজন দ্রুত কমে যায়, তবে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। যদি বমি ১২ সপ্তাহের পরও বন্ধ না হয় বা অতিরিক্ত সমস্যা সৃষ্টি করে, তবে এটি অন্যান্য শারীরিক সমস্যা বা গর্ভাবস্থার জটিলতার লক্ষণ হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় বমি হওয়া সাধারণত একটি স্বাভাবিক ঘটনা, তবে এটি যদি অতিরিক্ত এবং অস্বস্তিকর হয়ে যায়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
গর্ভাবস্থায় বমি না হওয়ার কারণ
উপরে প্রতিবেদনটি পড়ার মাধ্যমে ইতিমধ্যে আপনারা জানলেন গর্ব অবস্থায় বমি হওয়ার কারণ এখন জানবেন গর্ভাবস্থায় বমি না হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে। গর্ভাবস্থায় বমি না হওয়ার কিছু সাধারণ কারণ হতে পারে, যা একেক নারীর ক্ষেত্রে আলাদা হতে পারে।
সাধারণত, কিছু নারীর গর্ভাবস্থায় কোনো ধরনের বমি বা মর্নিং সিকনেস হয় না। এটি প্রাকৃতিক এবং শারীরবৃত্তীয় কারণে হতে পারে। নিচে গর্ভাবস্থায় বমি না হওয়ার কিছু কারণ বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হলো:
১. হরমোনাল পার্থক্য
- hCG (হিউম্যান কোরিওনিক গনাডোট্রোপিন): গর্ভাবস্থার প্রথম পর্যায়ে hCG হরমোনের বৃদ্ধি সাধারণত বমি সৃষ্টি করতে পারে। তবে কিছু নারীর শরীরে hCG-এর মাত্রা কম থাকলে তারা বমি অনুভব না করতে পারেন।
- ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন: এই হরমোনগুলোর মাত্রা বমি অনুভূতির জন্য দায়ী, তবে যাদের হরমোনের ভারসাম্য স্বাভাবিক থাকে, তাদের ক্ষেত্রে বমি নাও হতে পারে।
২. জেনেটিক ফ্যাক্টর: কিছু নারীর পরিবারে গর্ভাবস্থায় বমির সমস্যা কম বা না থাকলে, তাদের গর্ভাবস্থায়ও বমি হতে নাও পারে। এটি সম্ভবত জেনেটিক কারণে হতে পারে, যেখানে শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া ভিন্ন ধরনের হতে পারে।
৩. গর্ভধারণের প্রকৃতি
- একটি ভ্রূণ: একাধিক ভ্রূণ ধারণ না করলে (যেমন টুইন প্রেগনেন্সি), শরীরে হরমোনের বৃদ্ধি কম হয়, ফলে বমি হওয়ার প্রবণতা কম থাকে।
- গর্ভস্থ শিশুর অবস্থান ও বিকাশ: কখনও কখনও গর্ভস্থ শিশুর অবস্থান এবং বিকাশের কারণে বমি না হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৪. শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য: যদি গর্ভবতী নারীর শরীরের সাধারণ স্বাস্থ্য ভালো থাকে, যেমন খাবার হজম ক্ষমতা শক্তিশালী এবং কোনো স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা (যেমন পেটের সমস্যা বা হজমের অক্ষমতা) না থাকে, তাহলে বমি না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৫. মনস্তাত্ত্বিক অবস্থান: কিছু নারীর গর্ভাবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের কারণে বমি না হতে পারে। যদি তারা মানসিকভাবে শান্ত থাকেন এবং গর্ভধারণের প্রতি পজিটিভ মনোভাব থাকে, তাহলে গর্ভাবস্থায় বমি অনুভূতি কম হতে পারে।
৬. ডায়েট এবং জীবনযাপন: স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় বমি কম বা একেবারে না হতে পারে। যদি নারীরা নিয়মিত, সুষম খাদ্য খান, পর্যাপ্ত পানি পান করেন এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেন, তবে বমি হওয়ার সম্ভাবনা কম হতে পারে।
৭. গর্ভাবস্থার তৃতীয় ত্রৈমাসিক: কিছু নারী গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিকে বমি অনুভব করেন, তবে দ্বিতীয় বা তৃতীয় ত্রৈমাসিকে তাদের বমি কমে যায় বা বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি গর্ভাবস্থার পুরো সময়কালে কোনো বমি না হওয়াও স্বাভাবিক হতে পারে।
৮. সাধারণ দেহগত ধরন: কিছু কিছু নারীর দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বা শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া অন্যদের তুলনায় আলাদা হতে পারে। যারা সাধারণত বেশি শক্তিশালী বা স্বাস্থ্যবান, তাদের গর্ভাবস্থায় বমি হওয়ার ঝুঁকি কম থাকতে পারে।
৯. চিকিৎসা এবং ওষুধের প্রভাব: কিছু গর্ভবতী নারী গর্ভাবস্থায় নির্দিষ্ট ওষুধ বা সাপ্লিমেন্টের মাধ্যমে বমি প্রতিরোধ করতে সক্ষম হন। যেমন ভিটামিন বি৬ বা অন্যান্য নিরাপদ ওষুধের ব্যবহারে তারা বমি অনুভব করেন না।
১০. হাইপারটেনশন বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা না থাকা: গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ বা অন্য কোনো জটিলতা না থাকলে, বমির সমস্যা কম হয়। যে নারীরা সাধারণভাবে সুস্থ থাকেন, তাদের বমি না হওয়া একটি সাধারণ ঘটনা।
গর্ভাবস্থায় বমি না হওয়ার কিছু উপকারিতা
বমি না হলে গর্ভবতী নারী সুস্থ এবং সজীব অনুভব করতে পারেন। শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও তরল সহজেই শোষিত হতে পারে, ফলে মা ও শিশুর জন্য এটি উপকারী।
যদিও গর্ভাবস্থায় বমি না হওয়া সাধারণত একটি স্বাভাবিক পরিস্থিতি, তবে কখনও কখনও যদি গর্ভবতী নারী খুব কম বা অতি বেশি স্বাস্থ্যগত সমস্যা অনুভব করেন, তাহলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
গর্ভাবস্থায় বমি কতদিন থাকে
গর্ভাবস্থায় বমি সাধারণত প্রথম ত্রৈমাসিকে (প্রথম ১২ সপ্তাহ) বেশি হয় এবং ১৬ থেকে ২০ সপ্তাহের মধ্যে ধীরে ধীরে কমে যায়। তবে, এটি ভিন্ন নারীর ক্ষেত্রে ভিন্ন হতে পারে। নিচে এর বিস্তারিত সময়কাল সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
১. সাধারণ সময়কাল: বেশিরভাগ নারী ৬ষ্ঠ সপ্তাহে বমি বমি ভাব অনুভব করা শুরু করেন। এটি সাধারণত ১২ সপ্তাহ বা প্রথম ত্রৈমাসিক শেষ হওয়ার দিকে কমে আসে। ১৬-২০ সপ্তাহে অনেক নারীর বমি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
২. দীর্ঘস্থায়ী বমি (গুরুতর ক্ষেত্রে): কিছু নারীর ক্ষেত্রে পুরো গর্ভাবস্থাজুড়ে (বিশেষত যদি এটি হাইপারেমেসিস গ্র্যাভিডারাম) বমি হতে পারে। এটি খুব বিরল এবং প্রায় ১-২% গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে ঘটে।
৩. ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি: প্রথম গর্ভাবস্থার চেয়ে পরবর্তী গর্ভাবস্থায় বমি কম বা বেশি হতে পারে। টুইন বা মাল্টিপল প্রেগন্যান্সিতে বমি বেশি দিন থাকতে পারে।
৪. শেষ ত্রৈমাসিকে বমি: শেষ ত্রৈমাসিকে বমি হলে এটি সাধারণত অন্য কারণ, যেমন অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা গর্ভাবস্থার জটিলতার (প্রি-একলামপসিয়া) কারণে হতে পারে।
সাধারণ উপশম সময়: অধিকাংশ গর্ভবতী নারী প্রথম ত্রৈমাসিকের পর স্বাভাবিক অনুভব করেন। তবে যদি বমি খুব বেশি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অতিরিক্ত কষ্ট দেয়, তবে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।
গর্ভাবস্থায় বমির ট্যাবলেট এর নাম
গর্ভাবস্থায় বমি হলে কি করনীয় ও গর্ভাবস্থায় বমি হওয়ার কারণ এ সমস্যাগুলো থেকে স্বস্তি পাওয়ার জন্য গর্ভাবস্থায় বমির ট্যাবলেট এর প্রয়োজন পড়ে। গর্ভাবস্থায় বমি বা বমি বমি ভাব (মর্নিং সিকনেস) কমানোর জন্য কিছু ওষুধ ব্যবহৃত হয়, তবে সেগুলো সেবনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নিচে কিছু সাধারণ ওষুধের নাম ও তাদের বিবরণ দেওয়া হলো:
মেক্লিজিন + পাইরিডক্সিন (Meclizine + Pyridoxine): এটি একটি পিপেরাজিনজাত অ্যান্টিহিস্টামিন যা বমি রোধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর বমি রোধক, অ্যান্টিকোলিনার্জিক এবং অ্যান্টিহিস্টামিনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি ল্যাবিরিনথাইনের সংবেদনশীলতা কমায় এবং বমি কেন্দ্রের স্নায়ুপথগুলোতে কাজ করে।
অনডানসেট্রন (Ondansetron): এটি সাধারণত গুরুতর বমি বা হাইপারেমেসিস গ্র্যাভিডারাম-এর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। তবে গর্ভাবস্থায় এর সুরক্ষা সম্পর্কে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
ডক্সিলামিন + পাইরিডক্সিন (Doxylamine + Pyridoxine): এই সংমিশ্রণটি গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব কমাতে ব্যবহৃত হয়। ডক্সিলামিন একটি অ্যান্টিহিস্টামিন এবং পাইরিডক্সিন ভিটামিন বি৬। এটি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা উচিত।
মেটোক্লোপ্রামাইড (Metoclopramide): এটি বমি নিয়ন্ত্রণে এবং পেটের হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে ব্যবহৃত হয়। গর্ভাবস্থায় সেবনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ডোমপেরিডন (Domperidone): এটি পাচনতন্ত্রের কাজ উন্নত করে বমি কমাতে সহায়ক। তবে গর্ভাবস্থায় সেবনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।
নির্দেশনা: গর্ভাবস্থায় কোনো ওষুধ সেবনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিজের ইচ্ছায় ওষুধ সেবন করবেন না, কারণ কিছু ওষুধ গর্ভাবস্থায় নিরাপদ নাও হতে পারে। ওষুধের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম বমি কমাতে সহায়ক হতে পারে।
সতর্কতা: যদি বমি খুব বেশি হয়, খাওয়া-দাওয়া একেবারেই করতে না পারেন, বা ওজন কমে যায়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। আপনার এবং আপনার গর্ভস্থ শিশুর সুস্থতার জন্য সঠিক চিকিৎসা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মন্তব্য। গর্ভাবস্থায় বমি হলে কি করনীয় ও গর্ভাবস্থায় বমি হওয়ার কারণ
পাঠক, আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে এবং আপনি সামান্য পরিমাণ হলে উপকৃত হয়েছেন।আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তবে আপনার প্রিয়জনের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন। আপনি চাইলে আপনার মূল্যবান মতামত কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।
এতক্ষণ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে গর্ভাবস্থায় বমি হলে কি করনীয় ও গর্ভাবস্থায় বমি হওয়ার কারণ আর্টিকেলটির সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url