সূরা লাহাব আরবি ও বাংলা উচ্চারণ, সূরা লাহাবের ব্যাখ্যা, শিক্ষা, ফজিলত

সূরা লাহাব আরবি ও বাংলা উচ্চারণ, সূরা লাহাবের ব্যাখ্যা, শিক্ষা, ফজিলত এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই পোস্টটিতে। আমারা নামাজে সূরা লাহাব পাঠ করে থাকি। কিন্তু সূরা লাহাব আরবি ও বাংলা উচ্চারণ, সূরা লাহাবের ব্যাখ্যা, শিক্ষা, ফজিলত আমরা অনেকেই জানি না।
সূরা লাহাব আরবি ও বাংলা উচ্চারণ,  সূরা লাহাবের ব্যাখ্যা, শিক্ষা, ফজিলত
তাহলে চলুন, সুপ্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে এবং প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার মাধ্যমে জেনে নিন সূরা লাহাব আরবি ও বাংলা উচ্চারণ,  সূরা লাহাবের ব্যাখ্যা, শিক্ষা, ফজিলত। বিস্তারিত জানতে এই পোস্টটির সাথেই থাকুন।

সূরা লাহাব আরবি ও সূরা লাহাব বাংলা উচ্চারণ

সূরা লাহাব (আরবি):

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ

تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبَّ

مَا أَغْنَىٰ عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ

سَيَصْلَىٰ نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ

وَٱمْرَأَتُهُۥ حَمَّالَةَ ٱلْحَطَبِ

فِى جِيدِهَا حَبْلٌۭ مِّن مَّسَدٍۭ

সূরা লাহাব (বাংলা উচ্চারণ):

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

১. তাব্বাত্ ইয়াদা আবি লাহাবিওঁ ওয়া তাব্ব।

২. মা আগনা আনহু মালুহু ওয়া মা কাসাব।

৩. সাইয়াসলা নারান্ জাতালা হাব।

৪. ওয়া-ম্রা-আতুহু হাম্মালাতাল হাতাব।

৫. ফি জিদিহা হাবলুম্ মিম্ মাসাদ।

সূরা লাহাব এর ব্যাখ্যা

সূরা লাহাব আরবি ও বাংলা উচ্চারণ,  সূরা লাহাবের ব্যাখ্যা, শিক্ষা, ফজিলত পোস্টির এই প্রতিবেদনটিতে থাকছে সূরা লাহাব এর ব্যাখ্যা। সূরা লাহাব (সূরা আল-মাসাদ) মক্কায় অবতীর্ণ একটি সূরা। এতে ইসলামের শত্রু আবু লাহাব এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আল্লাহর শাস্তির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। 

এই সূরার মাধ্যমে ইসলামের প্রতি বিরুদ্ধাচরণকারী এবং অহংকারী ব্যক্তিদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছে। নিচে এর ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:

আয়াত ও ব্যাখ্যা:

১. تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبَّ

(তাব্বাত্ ইয়াদা আবি লাহাবিওঁ ওয়া তাব্ব)। “আবু লাহাবের দুই হাত ধ্বংস হোক, এবং সে নিজেও ধ্বংস হোক।” আবু লাহাব ছিল নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর চাচা, কিন্তু সে ইসলামের অন্যতম প্রধান শত্রু ছিল। এখানে তার ধ্বংস ও ব্যর্থতার কথা বলা হয়েছে। "দুই হাত ধ্বংস হওয়া" অর্থ তার সব প্রচেষ্টা ও সম্পদ বৃথা যাবে।

২. مَا أَغْنَىٰ عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ

(মা আগনা আনহু মালুহু ওয়া মা কাসাব)। “তার ধন-সম্পদ এবং যা সে অর্জন করেছে, তা তার কোনো উপকারে আসবে না।” আবু লাহাব তার ধনসম্পদের ওপর গর্ব করত, কিন্তু কিয়ামতের দিনে তার সম্পদ তাকে রক্ষা করতে পারবে না।

৩. سَيَصْلَىٰ نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ

(সাইয়াসলা নারান্ জাতালা হাব)। “সে শীঘ্রই প্রবেশ করবে এক জ্বলন্ত আগুনে।” আবু লাহাবের জন্য জাহান্নামের আগুন প্রস্তুত রয়েছে, যা অত্যন্ত দহনকারী হবে।

৪. وَٱمْرَأَتُهُۥ حَمَّالَةَ ٱلْحَطَبِ

(ওয়া-ম্রা-আতুহু হাম্মালাতাল হাতাব)। “এবং তার স্ত্রী, যে ছিল কাঠ সংগ্রহকারী।” তার স্ত্রী উম্মে জামীল ইসলামের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ করত এবং মুসলমানদের কষ্ট দেওয়ার জন্য চক্রান্ত করত। "কাঠ সংগ্রহকারী" বলতে বোঝানো হয়েছে যে, সে অপবাদ ও শত্রুতা ছড়িয়ে দিত।

৫. فِى جِيدِهَا حَبْلٌۭ مِّن مَّسَدٍۭ

(ফি জিদিহা হাবলুম্ মিম্ মাসাদ)। “তার গলায় খেজুরের আঁশ দিয়ে তৈরি এক দড়ি থাকবে।” এই আয়াতে তার অপমানজনক শাস্তির কথা বলা হয়েছে। দড়ি দিয়ে তার গলা বাঁধা থাকবে, যা তার দুঃখ ও কষ্টকে বোঝায়।

সূরা লাহাব এর শিক্ষা

১. ইসলামের বিরুদ্ধাচরণ ব্যর্থ: যারা অহংকার ও বিদ্বেষ নিয়ে ইসলামের বিরোধিতা করে, তারা এই পৃথিবী এবং পরকালে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।

২. দুনিয়ার সম্পদের কোনো মূল্য নেই: ধনসম্পদ ও সামাজিক অবস্থান কোনো কাজেই আসে না, যদি তা সঠিক কাজে ব্যবহার না করা হয়।

৩. শত্রুতার শাস্তি: যারা অন্যদের কষ্ট দেয়, অপবাদ ছড়ায় এবং শত্রুতা করে, তাদের জন্য কঠোর শাস্তির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এই সূরা থেকে আমরা শিক্ষা পাই যে আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করা বা ঈমানদারদের কষ্ট দেওয়া অত্যন্ত ভয়ানক পরিণতির দিকে নিয়ে যায়।

সূরা লাহাব এর ফজিলত

সূরা সূরা লাহাব আরবি ও বাংলা উচ্চারণ, সূরা লাহাবের ব্যাখ্যা, শিক্ষা, ফজিলত পোস্টটির এই প্রতিবেদনটিতে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে চলেছি সূরা লাহাবের ফজিলত। সূরা লাহাব (সূরা আল-মাসাদ) কুরআনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা।

 এটি ইসলামের শত্রুদের জন্য শাস্তির ঘোষণা এবং আল্লাহর ন্যায়ের উদাহরণ তুলে ধরে। এর ফজিলত ও উপকারিতা সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিচে উল্লেখ করা হলো:

১. শত্রুদের বিরুদ্ধে আল্লাহর বিচার প্রদর্শন: এই সূরায় স্পষ্টভাবে ইসলামের শত্রু আবু লাহাব ও তার স্ত্রীর ধ্বংসের কথা বলা হয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের (সা.) বিরুদ্ধে কাজ করে, তারা এই দুনিয়া ও আখিরাতে ব্যর্থ হবে। এটি মুসলমানদের সাহস ও মনোবল বাড়ায়।

২. তাওহিদের গুরুত্ব: সূরা লাহাবের মাধ্যমে বোঝা যায় যে ধন-সম্পদ, ক্ষমতা বা সামাজিক মর্যাদা কাউকে রক্ষা করতে পারে না। শুধুমাত্র আল্লাহর প্রতি ঈমানই মানুষের মুক্তির পথ। এটি আমাদের আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল হতে শেখায়।

৩. মুসলমানদের ধৈর্যের শিক্ষা: মক্কার কঠিন সময়ে যখন মুসলমানরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছিল, তখন এই সূরা তাদের জানিয়ে দেয় যে আল্লাহ তাদের শত্রুদের বিচার করবেন। এটি নবী মুহাম্মদ (সা.) এবং সাহাবীদের ধৈর্য ধারণ করতে অনুপ্রাণিত করেছিল।

৪. কোরআনের একটি ভবিষদ্বাণীর বাস্তবায়ন: এই সূরায় আবু লাহাবের ধ্বংসের ভবিষদ্বাণী করা হয়েছিল। আবু লাহাব ও তার স্ত্রী ইসলামবিরোধী কার্যক্রম চালিয়ে গিয়েছিল এবং তারা আল্লাহর এই ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এটি কুরআনের সত্যতা ও অলৌকিকত্বের প্রমাণ।

৫. ইসলামবিরোধীদের জন্য সতর্কবার্তা: এই সূরা ইসলামের শত্রুদের জন্য একটি সতর্কতা। এটি তাদের জানিয়ে দেয় যে, যারা ইসলামবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হবে, তারা আবু লাহাবের মতো ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।

৬. অশুভ শক্তির প্রভাব থেকে সুরক্ষা: কিছু ইসলামি স্কলারের মতে, সূরা লাহাব পড়া শত্রুদের ষড়যন্ত্র ও অশুভ শক্তির প্রভাব থেকে সুরক্ষা দিতে পারে। এটি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসকে শক্তিশালী করে এবং শত্রুদের ক্ষতি করার চক্রান্ত ব্যর্থ করে।

৭. ছোট সূরা, সহজ মুখস্থ: সূরা লাহাব ছোট এবং সহজে মুখস্থ করা যায়। এটি নিয়মিত পড়ার মাধ্যমে কুরআনের অন্য আয়াতের সাথে সম্পর্ক তৈরি করা সহজ হয়।

সূরা লাহাব আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বা শত্রুতা করার পরিণাম ভয়াবহ। এটি আমাদের আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখতে এবং তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে উৎসাহিত করে।

সূরা লাহাব এর শানে নুযুল

সূরা লাহাবের শানে নুযুল (অবতীর্ণ হওয়ার প্রেক্ষাপট): সূরা লাহাব আরবি ও বাংলা উচ্চারণ,  সূরা লাহাবের ব্যাখ্যা, শিক্ষা, ফজিলত সম্পর্কে জানা যেমন জরুরী ঠিক তেমনি সূরা লাহাবের শানে নজর জানাও অত্যন্ত জরুরী।

 সূরা লাহাব (সূরা আল-মাসাদ) মক্কায় অবতীর্ণ একটি সূরা, যা ইসলামের প্রতি শত্রুতা ও অহংকারের প্রতিফলন এবং এর শাস্তি নিয়ে আল্লাহর ঘোষণা। এর অবতীর্ণ হওয়ার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো:

১. আবু লাহাবের শত্রুতা: আবু লাহাব ছিল নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর চাচা। কিন্তু তিনি ছিলেন নবীর অন্যতম চরম শত্রু। নবী মুহাম্মদ (সা.) যখন আল্লাহর নির্দেশে মক্কার লোকদের ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জানাতে প্রকাশ্যে দাওয়াত শুরু করেন।

তখন আবু লাহাব প্রথম থেকেই নবীকে অবজ্ঞা ও অপমান করত। একবার নবী (সা.) যখন সাফা পাহাড়ে উঠে কুরাইশদের সম্বোধন করে ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত দিলেন। তখন আবু লাহাব ক্রুদ্ধ হয়ে বলল: 

"তোমার ধ্বংস হোক! তুমি কি এ জন্যই আমাদের ডেকেছো? (সহীহ বুখারি, হাদিস: ৪৭৭০). এরপর আল্লাহ এই সূরা অবতীর্ণ করেন, যেখানে আবু লাহাব ও তার স্ত্রীর ধ্বংসের ঘোষণা দেওয়া হয়।

২. আবু লাহাবের স্ত্রীর ভূমিকা: আবু লাহাবের স্ত্রী উম্মে জামীলও নবী (সা.)-এর প্রতি শত্রুতা প্রদর্শনে পিছপা ছিল না। সে নবী (সা.)-এর পথের কাঁটা বিছিয়ে তাকে কষ্ট দিত। সে নবী ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাত এবং ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করত। সূরার চতুর্থ ও পঞ্চম আয়াতে তার এই কাজের জন্য শাস্তির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

৩. ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ: আবু লাহাবের বিদ্বেষ ছিল চরম পর্যায়ের। সে নবী (সা.)-কে সর্বদা কষ্ট দেওয়ার চেষ্টা করত। আবু লাহাবের ছেলেদের সঙ্গে নবী (সা.)-এর মেয়েদের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু ইসলাম প্রচার শুরু হলে আবু লাহাব তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ করিয়ে দেয়। সে ঘোষণা করেছিল যে, ইসলাম প্রচার বন্ধ না করলে সে নবীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে।

৪. কুরআনের ভবিষ্যদ্বাণী ও সত্যতা: আবু লাহাব ও তার স্ত্রী ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু তারা কোনো দিন ইসলাম গ্রহণ করেনি। কুরআনে আবু লাহাবের ধ্বংসের ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল।

পরে এটি সত্য প্রমাণিত হয়, যখন আবু লাহাব বদর যুদ্ধের পর এক ধরনের চর্মরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়, যা আরবদের কাছে অত্যন্ত অপমানজনক মৃত্যু হিসেবে বিবেচিত ছিল।

সূরা লাহাবের শানে নুযুল আমাদের দেখায় যে যারা আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর বিরোধিতা করে এবং অহংকার নিয়ে আল্লাহর আদেশ অমান্য করে, তাদের পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ। এটি ইসলামের শত্রুদের জন্য একটি সতর্কবার্তা এবং মুসলমানদের জন্য সাহস ও ধৈর্যের উৎস।

সূরা লাহাব কেন নাজিল হয়েছে

সূরা লাহাব (সূরা আল-মাসাদ) নাজিল হওয়ার কারণ স্পষ্টভাবে ইসলামের শত্রু আবু লাহাব এবং তার স্ত্রী উম্মে জামীলের শত্রুতাপূর্ণ আচরণ। তারা নবী মুহাম্মদ (সা.) এবং ইসলামের বিরুদ্ধে লাগাতার বিদ্বেষপূর্ণ কার্যকলাপ চালাত। এর বিস্তারিত কারণগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:

১. নবী (সা.)-এর প্রকাশ্য দাওয়াতকে উপহাস করা: নবী মুহাম্মদ (সা.) যখন আল্লাহর নির্দেশে সাফা পাহাড়ে উঠে মক্কার জনগণকে ইসলামের দাওয়াত দেন, তখন আবু লাহাব প্রকাশ্যে তাকে অবজ্ঞা করে এবং বলেন: "তোমার ধ্বংস হোক!

২. আবু লাহাবের ক্রমাগত শত্রুতা: আবু লাহাব নবী (সা.)-এর নিজের চাচা হওয়া সত্ত্বেও ইসলাম প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকে তার অন্যতম শত্রু হয়ে ওঠে। সে মক্কার লোকদের নবী (সা.)-এর বিরুদ্ধে উত্তেজিত করত এবং বলত যে মুহাম্মদ (সা.) বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন।

 তার শত্রুতা এতটাই চরম ছিল যে, সে তার দুই ছেলেকে নবীর দুই মেয়ে (রুকাইয়া ও উম্মে কুলসুম)-এর কাছ থেকে বিবাহ বিচ্ছেদ করিয়ে নেয়।

৩. উম্মে জামীলের বিদ্বেষ: আবু লাহাবের স্ত্রী উম্মে জামীল নবী (সা.) এবং মুসলমানদের প্রতি প্রচণ্ড বিদ্বেষ পোষণ করত। সে নবীর পথের কাঁটা ছড়িয়ে দিত এবং অপবাদ ছড়িয়ে ইসলামকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করত। সূরার চতুর্থ ও পঞ্চম আয়াতে তার জন্য কঠোর শাস্তির ঘোষণা দেওয়া হয়।

৪. আল্লাহর দ্বীনের প্রতি বিদ্বেষের প্রতীক: আবু লাহাব এবং তার স্ত্রী শুধু নবী (সা.)-এর ব্যক্তিগত শত্রু ছিল না, বরং তারা ইসলামের দাওয়াতকে বাধাগ্রস্ত করার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই সূরা ইসলামের বিরোধীদের জন্য একটি চিরস্থায়ী সতর্কবার্তা যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরোধিতা করলে ধ্বংস অবশ্যম্ভাবী।

মন্তব্য

সূরা লাহাব আরবি ও বাংলা উচ্চারণ,  সূরা লাহাবের ব্যাখ্যা, শিক্ষা, ফজিলত এই পোস্টটি একেবারে শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। আশা করি এই পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে। সূরা লাহাবের শিক্ষা ও ফজিলত অনেক।  সূরা লাহাব নাজিল হয়েছিল ইসলামের প্রতি আবু লাহাব ও তার স্ত্রীর প্রকাশ্য বিদ্বেষ এবং তাদের শাস্তি ঘোষণার জন্য। 

এটি কেবল তাদের জন্য নয়, বরং যেকোনো ইসলামবিরোধী শক্তির জন্য একটি শিক্ষা এবং সতর্কবার্তা। এটি প্রমাণ করে যে আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলে পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ হবে। সূরা লাহাব আরবি ও বাংলা উচ্চারণ,  সূরা লাহাবের ব্যাখ্যা, শিক্ষা, ফজিলত সম্পর্কিত আর্টিকেলটি সাথে এতক্ষণ থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url