মেয়েদের বন্ধ্যাত্বের কারণ, লক্ষ্মণ ও মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব দূর করার উপায়
বন্ধ্যাত্ব কী?
মেয়েদের বন্ধ্যাত্বের কারণ
- পেলভিক ইনফ্লেমেটরি ডিজিজ (PID): যৌনবাহিত রোগ (যেমন: ক্ল্যামিডিয়া, গনোরিয়া) বা অন্যান্য ইনফেকশনের কারণে টিউব ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
- অস্ত্রোপচারজনিত ক্ষতি: পেটে বা পেলভিকে অস্ত্রোপচার হলে টিস্যুতে চোট লাগতে পারে, যা বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে।
- এন্ডোমেট্রিওসিস: যদি এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যু ফ্যালোপিয়ান টিউবে বৃদ্ধি পায়, তবে তা ব্লক সৃষ্টি করতে পারে।
- হাইপোথাইরয়েডিজম (Hypothyroidism): থাইরয়েড হরমোন কম থাকলে মাসিক চক্র অনিয়মিত হয় এবং গর্ভধারণের সমস্যা হয়।
- হাইপারথাইরয়েডিজম (Hyperthyroidism): অতিরিক্ত থাইরয়েড হরমোন ওভুলেশন বিঘ্নিত করতে পারে।
মেয়েদের বন্ধ্যাত্বের লক্ষণ
মেয়েদের বন্ধ্যাত্বের (Female Infertility) লক্ষণ মূলত গর্ভধারণে ব্যর্থতার মাধ্যমে প্রকাশ পায়। তবে নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক ও হরমোনজনিত সমস্যা এর ইঙ্গিত দিতে পারে। নিচে বন্ধ্যাত্বের সম্ভাব্য লক্ষণগুলো বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো:
- মাসিক প্রতি ২১ দিনের কম বা ৩৫ দিনের বেশি ব্যবধানে হলে এটি ডিম্বস্ফোটনের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
- মাসিক কখনো আসছে, কখনো আসছে না—এটি PCOS বা হরমোনজনিত সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
খ. মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া (Absent Periods)
- দীর্ঘদিন মাসিক না হলে এটি প্রিম্যাচিওর ওভারিয়ান ইনসাফিসিয়েন্সি (POF), অতিরিক্ত ওজন কমে যাওয়া, মানসিক চাপ বা হরমোন ভারসাম্যহীনতার কারণে হতে পারে।
গ. অত্যধিক বা কম রক্তক্ষরণ (Heavy or Light Periods)
- খুব বেশি রক্তপাত বা খুব কম রক্তপাত হলে এটি জরায়ু বা হরমোনজনিত সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
- মাসিকের সময় তীব্র ব্যথা বা অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ এন্ডোমেট্রিওসিসের লক্ষণ হতে পারে।
৩. তলপেটে বা পেলভিক অঞ্চলে ব্যথা
- এন্ডোমেট্রিওসিস: মাসিকের সময় বা যৌন মিলনের সময় তীব্র ব্যথা হতে পারে।
- পেলভিক ইনফ্লেমেটরি ডিজিজ (PID): দীর্ঘস্থায়ী ইনফেকশনের কারণে পেলভিকে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
- ফাইব্রয়েড বা ওভারিয়ান সিস্ট: জরায়ু বা ডিম্বাশয়ে টিউমার বা সিস্ট থাকলে ব্যথা হতে পারে।
৪. হরমোনজনিত পরিবর্তন
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ। নিচের লক্ষণগুলো হরমোন সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে:
- অপ্রত্যাশিত ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস: PCOS বা থাইরয়েড সমস্যার কারণে হতে পারে।
- বেশি ব্রণ বা তৈলাক্ত ত্বক: অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে হতে পারে।
- অতিরিক্ত চুল পড়া বা মাথার চুল পাতলা হয়ে যাওয়া: PCOS বা থাইরয়েড সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
- অস্বাভাবিক লোম বৃদ্ধি: মুখ, বুকে বা পিঠে অতিরিক্ত লোম গজানো (হিরসুটিজম) PCOS-এর ইঙ্গিত হতে পারে।
- ঠান্ডা বা গরম সহ্য করতে সমস্যা: থাইরয়েড সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
- বুক থেকে দুধ বের হওয়া (গর্ভবতী না হলে): প্রোল্যাক্টিন হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে হতে পারে।
৫. যৌন মিলনে ব্যথা বা অস্বস্তি
- এন্ডোমেট্রিওসিস বা পেলভিক ইনফ্লেমেটরি ডিজিজ থাকলে যৌন মিলনের সময় ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
- যোনিপথের শুকনো ভাব (Vaginal Dryness) ইস্ট্রোজেন হরমোনের ঘাটতির কারণে হতে পারে।
৬. ফ্যালোপিয়ান টিউবের ব্লকেজ বা ইনফেকশনের লক্ষণ
- তলপেটে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা বা চাপ অনুভূত হওয়া।
- অনিয়মিত বা দুর্গন্ধযুক্ত যোনিপ্রবাহ (Vaginal Discharge)।
- অতীতে পেলভিক ইনফেকশন বা অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ইতিহাস থাকলে ফ্যালোপিয়ান টিউব ব্লক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৭. ওজনজনিত সমস্যা
- অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি PCOS বা ইনসুলিন প্রতিরোধের কারণে হতে পারে।
- অতিরিক্ত কম ওজন থাকলে ডিম্বস্ফোটন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
৮. মানসিক চাপ ও বিষণ্নতা
- দীর্ঘদিন গর্ভধারণের ব্যর্থতা হতাশা, উদ্বেগ এবং মানসিক চাপে ফেলতে পারে।
- অতিরিক্ত মানসিক চাপ মাসিক চক্র অনিয়মিত করতে পারে।৷
মেয়েদের বন্ধ্যাত্বের প্রধান লক্ষণ হলো গর্ভধারণে দীর্ঘদিনের অসুবিধা, অনিয়মিত বা অনুপস্থিত মাসিক, পেলভিক ব্যথা, হরমোনজনিত পরিবর্তন এবং ওজনজনিত সমস্যা।
এসব লক্ষণ থাকলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান সম্ভব।
মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব কোন ভিটামিনের অভাবে হয়
মহিলাদের বন্ধ্যাত্বে বিভিন্ন পুষ্টির অভাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, বিশেষ করে কিছু নির্দিষ্ট ভিটামিন ও মিনারেল প্রজনন ক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়ক। নিচে উল্লেখযোগ্য ভিটামিনের অভাব এবং সেগুলোর প্রভাব ব্যাখ্যা করা হলো—
১. ভিটামিন ডি (Vitamin D) অভাব
- ভিটামিন ডি ডিম্বস্ফোটন এবং হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ।
- ভিটামিন ডি-এর অভাব থাকলে পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS), এন্ডোমেট্রিওসিস এবং অস্বাভাবিক মাসিক চক্র দেখা দিতে পারে।
- গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন ডি-এর পর্যাপ্ত পরিমাণ ডিম্বাণুর গুণগত মান (Egg Quality) উন্নত করতে সাহায্য করে।
উৎস: সূর্যের আলো, ডিমের কুসুম, মাশরুম, সামুদ্রিক মাছ (স্যামন, টুনা), দুগ্ধজাত খাবার।
২. ভিটামিন বি (Vitamin B Complex) অভাব
বিভিন্ন বি-ভিটামিন নারীদের উর্বরতা বাড়াতে সাহায্য করে:
(ক) ফোলেট বা ভিটামিন বি৯ (Folic Acid)
- ডিম্বাণুর মান ও সংখ্যা বৃদ্ধি করে।
- ফ্যালোপিয়ান টিউবের সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- গর্ভধারণের পর এটি ভ্রূণের সঠিক বৃদ্ধি ও বিকাশে সাহায্য করে এবং জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধ করে।
উৎস: পালংশাক, ব্রোকলি, কমলালেবু, বিনস, বাদাম, ডিম, লিভার।
(খ) ভিটামিন বি১২ (Cobalamin)
- ভিটামিন বি১২-এর অভাব ডিম্বাণুর গুণগত মান হ্রাস করে এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।
- এটি এন্ডোমেট্রিয়ামের স্বাস্থ্য বজায় রাখে, যা ভ্রূণ ধারণের জন্য জরুরি।
উৎস: মাছ, দুধ, ডিম, মাংস, চিজ।
(গ) ভিটামিন বি৬
- হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি করে, যা গর্ভধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
উৎস: কলা, ওটস, বাদাম, মাংস, আলু।
৩. ভিটামিন সি (Vitamin C) অভাব
- এটি ডিম্বাণুর কোষগুলোর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়, ফলে ডিম্বাণুর স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
- এন্ডোমেট্রিয়ামের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, যাতে ভ্রূণ সহজে ধারণ করা যায়।
- ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, যা ফ্যালোপিয়ান টিউবের সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
উৎস: কমলালেবু, লেবু, স্ট্রবেরি, টমেটো, ব্রোকলি।
৪. ভিটামিন ই (Vitamin E) অভাব
- ভিটামিন ই-এর অভাব থাকলে ডিম্বাণুর মান কমে যেতে পারে এবং গর্ভধারণের সম্ভাবনা হ্রাস পেতে পারে।
- এটি এন্ডোমেট্রিয়ামের রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, যা ভ্রূণের জন্য জরুরি।
উৎস: সূর্যমুখীর বীজ, বাদাম, অলিভ অয়েল, অ্যাভোকাডো।
৫. ভিটামিন এ (Vitamin A) অভাব
- এটি ডিম্বাণুর বৃদ্ধি ও পরিপক্বতায় সাহায্য করে।
- জরায়ুর স্বাভাবিক কার্যকারিতায় সাহায্য করে, যাতে ভ্রূণ ধারণ সহজ হয়।
উৎস: গাজর, মিষ্টি আলু, লিভার, দুধ, ডিম।
৬. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অন্যান্য খনিজ উপাদান
- আয়রন (Iron): আয়রনের অভাবে অ্যানোভুলেশন (Ovulation না হওয়া) এবং রক্তাল্পতা হতে পারে, যা বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে।
- জিংক (Zinc): এটি হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং ডিম্বাণুর সঠিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে।
- ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে।
নারীদের বন্ধ্যাত্বের জন্য ভিটামিন ডি, বি-কমপ্লেক্স, সি, ই ও আয়রনের অভাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পর্যাপ্ত পুষ্টি গ্রহণ, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন করলে প্রজনন ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব।
মহিলাদেত বন্ধ্যাত্ব দূর করার উপায়
মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব দূর করার জন্য সঠিক চিকিৎসা, স্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বন্ধ্যাত্বের কারণ অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন সমাধান প্রযোজ্য হতে পারে। নিচে বন্ধ্যাত্ব দূর করার কিছু কার্যকর উপায় উল্লেখ করা হলো—
১. ওভুলেশন (Ovulation) ঠিক রাখার উপায়:
যেসব মহিলার ডিম্বস্ফোটন (Ovulation) নিয়মিত হয় না, তাদের জন্য এটি একটি বড় সমস্যা। এটি নিয়ন্ত্রণে নিচের পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে—
(ক) স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা
- ভিটামিন ও খনিজ গ্রহণ: ভিটামিন ডি, বি-কমপ্লেক্স, আয়রন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
- পর্যাপ্ত প্রোটিন ও ফাইবার: মাছ, মাংস, ডাল, বাদাম, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি খাওয়া।
- চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার পরিহার: বেশি চিনি বা ফাস্ট ফুড খেলে হরমোন ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে।
(খ) ওজন নিয়ন্ত্রণ করা
- অতিরিক্ত ওজন বা খুব কম ওজন থাকলে ডিম্বস্ফোটন ব্যাহত হতে পারে।
- বডি মাস ইনডেক্স (BMI) ১৮.৫-২৪.৯-এর মধ্যে রাখা উর্বরতার জন্য ভালো।
(গ) মানসিক চাপ কমানো
- ধ্যান, যোগব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত ঘুম হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে ও বন্ধ্যাত্ব দূর করতে সাহায্য করে।
(ঘ) পর্যাপ্ত পানি পান করা
- ডিহাইড্রেশন রোধ করলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ভালো থাকে এবং জরায়ুর স্বাস্থ্য ঠিক থাকে।
২. ওভুলেশন বাড়ানোর জন্য ওষুধ
যদি স্বাভাবিক উপায়ে ওভুলেশন না হয়, তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে—
- ক্লোমিফেন সাইট্রেট (Clomiphene Citrate): ওভুলেশন প্রক্রিয়া সক্রিয় করতে ব্যবহৃত হয়।
- লেট্রোজোল (Letrozole): PCOS রোগীদের ওভুলেশন বৃদ্ধিতে কার্যকর।
- গোনাডোট্রোপিন ইনজেকশন (Gonadotropins): যারা সাধারণ ওষুধে সাড়া দেয় না, তাদের জন্য ব্যবহার করা হয়।
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ গ্রহণ করবেন না।
৩. হরমোনজনিত সমস্যার সমাধান
(ক) পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS) নিয়ন্ত্রণ
- কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত (Low GI) খাবার খাওয়া।
- ইনসুলিন প্রতিরোধ কমানোর জন্য মেটফরমিন (Metformin) ব্যবহার করা যেতে পারে।
(খ) থাইরয়েড সমস্যা নিয়ন্ত্রণ
- হাইপোথাইরয়েডিজম থাকলে থাইরক্সিন (Thyroxine) ওষুধ খেতে হয়।
- আয়োডিনযুক্ত খাবার (ডিম, সামুদ্রিক মাছ, লবণ) খাওয়া জরুরি।
৪. জরায়ু ও ফ্যালোপিয়ান টিউব সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান
(ক) টিউবাল ব্লক দূর করার উপায়
- হাইস্টেরোসলপিনগোগ্রাফি (HSG) টেস্টের মাধ্যমে ব্লক চিহ্নিত করা হয়।
- কিছু ক্ষেত্রে সার্জারি বা ল্যাপারোস্কোপি করে ব্লক খুলে দেওয়া হয়।
(খ) এন্ডোমেট্রিওসিসের চিকিৎসা
- হরমোন থেরাপি বা ল্যাপারোস্কোপি সার্জারি প্রয়োজন হতে পারে।
৫. সহায়ক প্রজনন প্রযুক্তি (ART) ব্যবহারের উপায়
যদি প্রাকৃতিকভাবে গর্ভধারণ সম্ভব না হয়, তবে কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করা যেতে পারে—
(ক) ইনট্রাউটেরাইন ইনসেমিনেশন (IUI)
- সরাসরি জরায়ুতে শুক্রাণু প্রবেশ করানো হয়, যা ফ্যালোপিয়ান টিউব ব্লক না থাকলে কার্যকর হতে পারে।
(খ) ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (IVF)
- যদি ডিম্বাণু ও শুক্রাণু স্বাভাবিকভাবে নিষিক্ত না হয়, তবে ল্যাবে নিষেক ঘটিয়ে ভ্রূণ জরায়ুতে স্থাপন করা হয়।
- এটি বয়সজনিত বন্ধ্যাত্ব বা টিউবাল ব্লক থাকলে কার্যকর।
(গ) ইনট্রাসাইটোপ্লাজমিক স্পার্ম ইনজেকশন (ICSI)
- শুক্রাণুর সংখ্যা কম থাকলে এটি IVF-এর মাধ্যমে করা হয়।
৬. জীবনধারাগত পরিবর্তন
- ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করা: এগুলো ডিম্বাণুর গুণগত মান কমিয়ে দেয়।
- নিয়মিত ব্যায়াম করা: যোগব্যায়াম ও হালকা কার্ডিও এক্সারসাইজ হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে।
- অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ পরিহার: দিনে ২০০ মিগ্রা’র বেশি ক্যাফেইন (২ কাপ কফি) গ্রহণ না করাই ভালো।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url