অ্যালগরিদম কি? অ্যালগরিদম কিভাবে কাজ করে?

অ্যালগরিদম কি? অ্যালগরিদম কিভাবে কাজ করে? এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই আর্টিকেলটিতে। আপনি যদি এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
তাহলে চলুন, কথা না বাড়িয়ে আজকের আলোচ্য বিষয়অ্যালগরিদম কি? অ্যালগরিদম কিভাবে কাজ করে? সে সম্পর্কে জেনে নিন।

অ্যালগরিদম Algorithm কি?

অ্যালগরিদম (Algorithm) হলো একধরনের সুস্পষ্ট নিয়ম ও ধাপের সেট, যা অনুসরণ করে কোনো নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধান করা যায়। এটি সাধারণত ধাপে ধাপে নির্দেশনা প্রদান করে, যা একটি গণনা, ডাটা প্রসেসিং, বা স্বয়ংক্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ব্যবহার করা হয়।

অ্যালগরিদম কিভাবে কাজ করে?

অ্যালগরিদম একটি নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য সুসংগঠিত ধাপগুলোর একটি সেট। এটি ইনপুট গ্রহণ করে, প্রক্রিয়াকরণ করে, এবং নির্দিষ্ট আউটপুট প্রদান করে। কম্পিউটার বা যেকোনো স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি অ্যালগরিদম অনুসরণ করে সমস্যা সমাধান করে।

অ্যালগরিদমের কাজ করার মূল ধাপ: একটি অ্যালগরিদম সাধারণত নিম্নলিখিত ধাপে কাজ করে:

১. ইনপুট গ্রহণ (Input): ব্যবহারকারী বা সিস্টেম থেকে প্রয়োজনীয় ডাটা সংগ্রহ করা। ইনপুট হতে পারে সংখ্যা, স্ট্রিং, তালিকা, গ্রাফ, ইত্যাদি।

উদাহরণ: আপনি যদি দুইটি সংখ্যার যোগফল বের করতে চান, তাহলে ইনপুট হবে দুটি সংখ্যা (যেমন ৫ ও ৩)।

২. প্রসেসিং বা গাণিতিক গণনা (Processing): ইনপুট ডাটার উপর বিভিন্ন নিয়ম প্রয়োগ করে প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। এটি হতে পারে গাণিতিক হিসাব, শর্ত অনুসারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, লুপ ব্যবহার করে পুনরাবৃত্তি, ইত্যাদি।

উদাহরণ: সংখ্যা দুইটির যোগফল বের করতে হলে, প্রসেসিং ধাপে সংযোজন (Addition) করা হবে:

৩. আউটপুট প্রদান (Output): প্রক্রিয়াকরণের পর পাওয়া ফলাফল ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। এটি স্ক্রিনে প্রদর্শন করা হতে পারে বা কোনো ফাইল বা ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা হতে পারে।

উদাহরণ: আগের উদাহরণ অনুযায়ী, আউটপুট হবে ৮।

৪. সমাপ্তি (Termination): একটি কার্যকর অ্যালগরিদম নির্দিষ্ট সংখ্যক ধাপে কাজ শেষ করে। এটি অনন্ত লুপে আটকে থাকবে না এবং অতিরিক্ত অপারেশন করবে না।

একটি বাস্তব উদাহরণ: ধরুন, আপনাকে একটি সংখ্যা বিজোড় না জোড় তা নির্ধারণ করতে হবে।

ধাপে ধাপে অ্যালগরিদম:
  • ইনপুট গ্রহণ করুন: ব্যবহারকারীর কাছ থেকে একটি সংখ্যা নিন (N)।
  • প্রসেসিং: সংখ্যা ২ দ্বারা বিভাজ্য কিনা তা পরীক্ষা করুন।
  • যদি হয়, তাহলে এটি জোড় সংখ্যা। অন্যথায় এটি বিজোড় সংখ্যা।
  • আউটপুট দিন: ফলাফল স্ক্রিনে দেখান। অ্যালগরিদম সমাপ্ত করুন।
অ্যালগরিদমের ধরন

১. সরল (Simple) অ্যালগরিদম: সাধারণ সমস্যা সমাধানে ব্যবহৃত হয়। যেমন: দুটি সংখ্যার যোগফল বের করা।

২. সার্চিং অ্যালগরিদম (Searching Algorithm): কোনো ডাটাসেটে নির্দিষ্ট তথ্য খুঁজে বের করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
যেমন: লাইনার সার্চ, বাইনারি সার্চ।

৩. সোর্টিং অ্যালগরিদম (Sorting Algorithm): ডাটাকে নির্দিষ্ট ক্রমানুসারে সাজানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন: বাবল সোর্ট, মার্জ সোর্ট, কুইক সোর্ট।

৪. গ্রাফ অ্যালগরিদম (Graph Algorithm): জটিল গ্রাফ-ভিত্তিক সমস্যাগুলোর সমাধানে ব্যবহৃত হয়। যেমন: ডিজস্ট্রার অ্যালগরিদম, ডিপথ ফার্স্ট সার্চ (DFS), ব্রেডথ ফার্স্ট সার্চ (BFS)।

কেন অ্যালগরিদম গুরুত্বপূর্ণ?
  • দক্ষতা বৃদ্ধি করে → দ্রুত ও কার্যকর সমাধান প্রদান করে।
  • স্বয়ংক্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অপরিহার্য → কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিংয়ে ব্যবহৃত হয়।
  • স্মৃতি ব্যবহারের অপটিমাইজেশন করে → কম জায়গায় বেশি কার্যক্ষমতা অর্জন করা যায়।

অ্যালগরিদম আবিষ্কারক বা জনক কে?

অ্যালগরিদমের জনক হিসেবে মুহাম্মদ ইবনে মুসা আল-খোয়ারিজমি (Muhammad ibn Musa al-Khwarizmi) কে গণ্য করা হয়। তিনি ছিলেন একজন পারস্যের গণিতবিদ, ভূগোলবিদ, জ্যোতির্বিদ ও জ্যামিতিবিদ, যিনি নবম শতাব্দীতে (প্রায় ৭৮০-৮৫০ খ্রিস্টাব্দ) বসরা ও বাগদাদের আব্বাসীয় খলিফার দরবারে কাজ করতেন।

কেন আল-খোয়ারিজমি অ্যালগরিদমের জনক?

তিনি গণিত ও গাণিতিক সমস্যা সমাধানের কাঠামোগত পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। তার নাম থেকেই "Algorithm" শব্দটি এসেছে। "Al-Khwarizmi" নামটি লাতিনে অনুবাদ করার সময় "Algoritmi" হিসেবে পরিবর্তিত হয়, যা পরবর্তীতে "Algorithm" শব্দে রূপ নেয়। 

তিনি 'Al-Kitab al-Mukhtasar fi Hisab al-Jabr wal-Muqabala' (الجبر والمقابلة) বইটি লেখেন, অযা বীজগণিত (Algebra) এর ভিত্তি স্থাপন করে। তার পদ্ধতিগুলো আধুনিক কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এবং সমস্যা সমাধানের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

আল-খোয়ারিজমির অবদান: দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি (Decimal System) প্রসারিত করেন। বীজগণিত (Algebra) প্রতিষ্ঠা করেন। গাণিতিক সমস্যার জন্য কাঠামোগত পদ্ধতি বা অ্যালগরিদম প্রবর্তন করেন। তার গবেষণা পরবর্তীতে কম্পিউটার বিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করে।

সুতরাং, মুহাম্মদ ইবনে মুসা আল-খোয়ারিজমি-ই আধুনিক অ্যালগরিদমের জনক হিসেবে পরিচিত।

অ্যালগরিদমের প্রকারভেদ

অ্যালগরিদমের বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে, যেগুলি তাদের কাজের ধরন, প্রয়োগ, এবং কাঠামোর ভিত্তিতে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। নিচে অ্যালগরিদমের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকারভেদ বর্ণনা করা হলো:

১. সার্চিং অ্যালগরিদম (Searching Algorithm): এই ধরনের অ্যালগরিদম ডাটাবেস বা সংগ্রহে কোনো নির্দিষ্ট উপাদান খুঁজে বের করতে ব্যবহৃত হয়।
  • লাইনার সার্চ (Linear Search): একটি একক উপাদান থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে সব উপাদান চেক করে।
  • বাইনারি সার্চ (Binary Search): সাজানো তালিকায় মধ্যবর্তী উপাদান চেক করে, এবং তারপর অনুসন্ধানটি উপাদানটি ছোট বা বড় হওয়ার উপর ভিত্তি করে হালনাগাদ করা হয়।
২. সোর্টিং অ্যালগরিদম (Sorting Algorithm): এই ধরনের অ্যালগরিদম ডাটাকে নির্দিষ্ট একটি ক্রমে সাজানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • বাবল সোর্ট (Bubble Sort): প্রতিটি প্রতিবেশী উপাদান তুলনা করে তাদের স্থান পরিবর্তন করে।
  • কুইক সোর্ট (Quick Sort): ডাটা একটি পিভট উপাদান দ্বারা ভাগ করা হয় এবং তারপর প্রতিটি ভাগে পুনরায় কুইক সোর্ট প্রয়োগ করা হয়।
  • মার্জ সোর্ট (Merge Sort): ডাটা ভাগ করে ছোট ছোট সেগমেন্টে সজ্জিত করা হয় এবং পরে পুনরায় একত্রিত করা হয়।
৩. গ্রাফ অ্যালগরিদম (Graph Algorithm): গ্রাফ ভিত্তিক সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহৃত অ্যালগরিদম।
  • ডিপথ ফার্স্ট সার্চ (DFS): একটি গ্রাফে প্রাথমিকভাবে যতটা সম্ভব গভীরে চলে যায়, তারপর উল্টে আসে।
  • ব্রেডথ ফার্স্ট সার্চ (BFS): গ্রাফে নোডগুলোকে স্তর অনুযায়ী অনুসন্ধান করে।
  • ডিজস্ট্রার অ্যালগরিদম (Dijkstra's Algorithm): গ্রাফে সবচেয়ে কম খরচের পথ খুঁজে বের করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
৪. ডাইনামিক প্রোগ্রামিং (Dynamic Programming): এই অ্যালগরিদমটি সমস্যাকে ছোট ছোট সাবপ্রোবলেমে বিভক্ত করে এবং সেগুলোর সমাধান মেমরি ক্যাশে সংরক্ষণ করে যাতে পুনরায় সমাধান না করতে হয়।

ফিবোনাচ্চি সিরিজ (Fibonacci Series): পূর্ববর্তী দুটি সংখ্যার যোগফল নিয়ে পরবর্তী সংখ্যা বের করা।

৫. গ্রীডি অ্যালগরিদম (Greedy Algorithm): এই অ্যালগরিদম সর্বদা বর্তমান সময়ে সর্বোত্তম বা সবচেয়ে সুবিধাজনক পছন্দ গ্রহণ করে, তবে এটি পুরোপুরি সমাধান দেবে না বরং একটি আনুমানিক সমাধান দেয়।

হাফম্যান কোডিং (Huffman Coding): কম্প্রেশন সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেখানে বেশি ফ্রিকোয়েন্সি সহ চরিত্রগুলো কম বিট দ্বারা উপস্থাপিত হয়।

৬. ডিভাইড অ্যান্ড কনকার (Divide and Conquer): এই ধরনের অ্যালগরিদম মূল সমস্যাটি ছোট ছোট সাব-সমস্যায় বিভক্ত করে, প্রতিটি সাব-সমস্যার সমাধান করতে এবং পরে তাদের একত্রিত করে মূল সমস্যার সমাধান প্রদান করা হয়।
  • মার্জ সোর্ট (Merge Sort)
  • কুইক সোর্ট (Quick Sort)
৭. ব্যাকট্র্যাকিং (Backtracking): এই অ্যালগরিদম একাধিক সম্ভাব্য সমাধান পরীক্ষা করে এবং যদি কোনো একটি সমাধান সঠিক না হয়, তবে পূর্ববর্তী পদক্ষেপে ফিরে যায় এবং অন্যপথ অনুসরণ করে।

নাইন কুইন্স প্রোবলেম (N-Queens Problem): বোর্ডে রানি বসানোর জন্য সঠিক ব্যবস্থা খোঁজা।

৮. সিমুলেটেড অ্যানিলিং (Simulated Annealing): এটি একটি প্রায়োগিক অ্যালগরিদম, যা কোনো সমাধানে পৌঁছানোর জন্য গ্রেডিয়েন্ট বা আশেপাশের পয়েন্টে চলে যায়, কিন্তু কখনো কখনো খারাপ সমাধানে অগ্রসর হতে দেয় যাতে স্থানীয় মিনিমাম অতিক্রম করা যায়।

৯. হিউরিস্টিক অ্যালগরিদম (Heuristic Algorithm): এই অ্যালগরিদমগুলি প্রায়শই একটি সমস্যার জন্য দ্রুত এবং কার্যকর সমাধান পেতে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু এটি সর্বদা সঠিক বা সর্বোত্তম সমাধান নাও দিতে পারে।

এস্টারিক সার্চ (A Search Algorithm): এটি পথ খোঁজার জন্য একটি হিউরিস্টিক পদ্ধতি, যেখানে স্থানীয় শর্তাবলী এবং সামগ্রিক উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করা হয়।

১০. সিমুলেশন অ্যালগরিদম (Simulation Algorithm): এই অ্যালগরিদমগুলি একটি বাস্তব বা কল্পিত পদ্ধতির মডেল তৈরি করে, তারপর সেই মডেলটি থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। উদাহরণ হিসেবে, গেম থিওরি বা স্টোকাস্টিক প্রসেসে সিমুলেশন ব্যবহৃত হয়।

এগুলো হলো অ্যালগরিদমের কিছু প্রধান প্রকারভেদ, এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যালগরিদম আলাদা আলাদা পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা হয় যাতে দ্রুত এবং দক্ষভাবে সমস্যা সমাধান করা যায়।

অ্যালগরিদমের বৈশিষ্ট্য

অ্যালগরিদমের কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা এটি একটি কার্যকরী এবং সঠিক সমাধান প্রক্রিয়া তৈরি করে। নীচে অ্যালগরিদমের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি বর্ণনা করা হলো:

১. স্পষ্টতা (Definiteness): প্রতিটি ধাপের কার্যকারিতা এবং নির্দেশনা সম্পূর্ণভাবে স্পষ্ট ও নির্দিষ্ট হতে হবে। কোন ধাপে কি করতে হবে, তা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা থাকে যাতে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি না হয়।

২. নির্দিষ্টতা (Finiteness): অ্যালগরিদমে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ধাপ থাকতে হবে, এবং তা কখনোই অনন্তকাল চলতে থাকবে না। এটি এক সময়ে সমাপ্তি পাবে এবং কোনো ধাপ অতিক্রম করার পর এটি কাজ শেষ করবে।

৩. ইনপুট (Input): অ্যালগরিদমে একটি বা একাধিক ইনপুট গ্রহণ করা হয়। ইনপুটগুলো হতে পারে সংখ্যা, স্ট্রিং, তালিকা, গ্রাফ বা অন্য কোন ধরনের ডাটা, যা প্রক্রিয়া করা হবে।

৪. আউটপুট (Output): অ্যালগরিদমটির অন্তত একটি আউটপুট প্রদান করতে হবে, যা সংশ্লিষ্ট সমস্যার সমাধান হিসেবে কাজ করবে। আউটপুটটি সঠিক, নির্ভরযোগ্য এবং বাস্তব উপযোগী হওয়া উচিত।

৫. কার্যকারিতা (Effectiveness): অ্যালগরিদমের প্রতিটি ধাপ কার্যকর এবং সহজবোধ্য হতে হবে, যাতে এটি সহজে কার্যকর করা যায়, হাতে বা কম্পিউটার দ্বারা। এর প্রতিটি ধাপ বাস্তবিকভাবে সম্পাদনযোগ্য এবং কার্যকর হবে।

৬. সামঞ্জস্য (Generality): অ্যালগরিদমটি শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতির জন্য নয়, বরং একই ধরনের সমস্যা সমাধান করতে অন্যান্য পরিস্থিতিতেও প্রয়োগ করা যেতে পারে। এটি ব্যাপকভাবে প্রয়োগযোগ্য হতে হবে।

৭. অপ্টিমাইজেশন (Optimization): একটি ভালো অ্যালগরিদম সাধারনত সর্বোচ্চ কার্যকারিতা এবং দক্ষতা অর্জন করে। এটি সময় এবং স্থান উভয় ক্ষেত্রে অপ্টিমাইজ করা থাকে, যাতে কম্পিউটেশনাল রিসোর্স যেমন সময় এবং মেমরি কম ব্যবহৃত হয়।

৮. স্বাধীনতা (Independence): অ্যালগরিদমটি তার কাজ সম্পাদন করতে হলে কোনো বাহ্যিক তথ্যের উপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়। এটি নিজস্বভাবে এবং নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে কাজ করবে।

৯. পুনরাবৃত্তি (Recursion): কিছু অ্যালগরিদম পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে, যেখানে অ্যালগরিদম নিজেই তার ধাপগুলি পুনরায় ব্যবহার করতে পারে। যেমন: ডিভাইড অ্যান্ড কনকার (Divide and Conquer) বা ডাইনামিক প্রোগ্রামিং (Dynamic Programming) পদ্ধতি।

এই বৈশিষ্ট্যগুলি একটি অ্যালগরিদমকে সঠিক, কার্যকর, এবং সহজে অনুসরণযোগ্য করে তোলে, যা কোন সমস্যা সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url