ফ্রিজের বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়, ফ্রিজের ভালো কম্প্রেসার চেনার উপায়

ফ্রিজের বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়, ফ্রিজের ভালো কম্প্রেসার চেনার উপায় আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই আর্টিকেলটিতে। যদি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটির সাথেই থাকুন।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ফ্রিজ একটি গুরুত্বপূর্ণ অপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। বর্তমান সময়ে এই ফ্রিজের প্রয়োজনীয়তা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে প্রতিটি বাড়িতেই ফ্রিজ রয়েছে এবং এর ব্যবহারও ব্যাপক। তাই ফ্রিজের বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়, ফ্রিজের ভালো কম্প্রেসার চেনার উপায় আমাদের জানা খুব প্রয়োজন। বিস্তারিত জানতে নিচের প্রতিবেদনগুলো ধৈর্য ধরে পড়ুন।

ফ্রিজের বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়

ফ্রিজের বিদ্যুৎ বিল কমানোর কিছু কার্যকর উপায় নিচে আলোচনা করা হলো—

১. ইনভার্টার প্রযুক্তির ফ্রিজ ব্যবহার করুন: ইনভার্টার প্রযুক্তির ফ্রিজ স্বাভাবিক ফ্রিজের তুলনায় ৩০-৪০% কম বিদ্যুৎ খরচ করে। এটি কম্প্রেসারের গতি নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।
২. সঠিক তাপমাত্রা সেট করুন:
  • ফ্রিজ: ৩°C থেকে ৫°C
  • ডিপ ফ্রিজ: -১৫°C থেকে -১৮°C
খুব কম তাপমাত্রায় রাখলে কম্প্রেসার বেশি কাজ করবে এবং বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যাবে।

3. দরজা বারবার খোলা এড়িয়ে চলুন: ফ্রিজের দরজা খোলার ফলে ঠান্ডা বাতাস বের হয়ে যায়, ফলে কম্প্রেসারকে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। দরজা খোলার সময় ১০ সেকেন্ডের বেশি খোলা রাখবেন না।

৪. ফ্রিজ পূর্ণ রাখুন, কিন্তু অতিরিক্ত বোঝাই করবেন না: ফ্রিজে পর্যাপ্ত খাবার থাকলে ঠান্ডা বজায় রাখতে কম বিদ্যুৎ লাগে। তবে অতিরিক্ত বোঝাই করলে বাতাস চলাচল কমে যায়, ফলে কম্প্রেসার বেশি কাজ করে।

৫. গরম খাবার সরাসরি ফ্রিজে রাখবেন না: গরম খাবার রাখলে ফ্রিজের ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, ফলে কম্প্রেসারকে বেশি কাজ করতে হয়। খাবার ঠান্ডা করে তারপর ফ্রিজে রাখুন।

৬. ফ্রিজ নিয়মিত পরিষ্কার করুন: কনডেনসার কয়েল পরিষ্কার করুন: পেছনের কনডেনসার কয়েলে ময়লা জমলে তাপ বের হতে পারে না, ফলে বিদ্যুৎ বেশি খরচ হয়। ভেতরের অংশ পরিষ্কার করুন: বরফ বেশি জমলে ফ্রিজের ঠান্ডা করার ক্ষমতা কমে যায়।

৭. ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করুন: বিদ্যুতের ভোল্টেজ ওঠানামা করলে কম্প্রেসার অতিরিক্ত লোড নেয় ও বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করলে ফ্রিজ দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।

৮. ফ্রিজের পিছনে পর্যাপ্ত জায়গা রাখুন: ফ্রিজের পেছনে কমপক্ষে ৬-১২ ইঞ্চি ফাঁকা জায়গা রাখুন যাতে গরম বাতাস বের হতে পারে। বাতাস চলাচল ঠিক থাকলে কম্প্রেসার কম কাজ করবে এবং বিদ্যুৎ কম খরচ হবে।

৯. পুরনো ফ্রিজ বদলান: ১০ বছরের পুরনো ফ্রিজ নতুন মডেলের তুলনায় ৩০-৫০% বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে। ৫ স্টার রেটিং-এর ফ্রিজ কিনলে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।

১০. ফ্রিজের রাবার গ্যাসকেট পরীক্ষা করুন: দরজার রাবার সিল ঠিকমতো বন্ধ হচ্ছে কিনা চেক করুন। যদি লিক থাকে, তাহলে ঠান্ডা বাতাস বের হয়ে যাবে এবং বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যাবে।

১১. রাতের সময় ফ্রিজের দরজা কম খুলুন: রাতের বেলা ফ্রিজ কম ব্যবহার করলে কম্প্রেসার কম চলে, ফলে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়।

ফ্রিজের বিদ্যুৎ বিল কমানোর জন্য ইনভার্টার প্রযুক্তির ফ্রিজ ব্যবহার করুন, দরজা বারবার খোলা এড়িয়ে চলুন, সঠিক তাপমাত্রা সেট করুন এবং নিয়মিত পরিষ্কার করুন। পুরনো ফ্রিজ বদলে ৫ স্টার রেটিং-এর ফ্রিজ নিলে বিদ্যুৎ খরচ আরও কমবে।

ফ্রিজের ভালো কম্প্রেসার চেনার উপায় 

ফ্রিজের জন্য ভালো কম্প্রেসার চেনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। নিচে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো—


১. কম্প্রেসারের ধরন চেনা: ফ্রিজের কম্প্রেসার প্রধানত তিন ধরনের হয়—

  • রোটারি কম্প্রেসার: বেশি কার্যকর, কম শব্দ করে, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।
  • পিস্টন বা রেসিপ্রোকেটিং কম্প্রেসার: বেশি শক্তিশালী তবে শব্দ বেশি হয়।
  • ইনভার্টার কম্প্রেসার: স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
২. ব্র্যান্ড এবং মান যাচাই:
  • বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড: LG, Samsung, Panasonic, Hitachi, Embraco, Danfoss ইত্যাদি।
  • ISO সার্টিফিকেশন: এটি থাকলে বুঝতে পারবেন কম্প্রেসারটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন।
৩. বিদ্যুৎ খরচ ও এনার্জি এফিসিয়েন্সি:
  • ইনভার্টার কম্প্রেসার হলে ৩০-৪০% বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।
  • স্টার রেটিং চেক করুন: ৫-স্টার রেটিং মানে কম বিদ্যুৎ খরচ।
৪. কুলিং পারফরম্যান্স:
  • দ্রুত ঠান্ডা করে কি না, তা পরীক্ষা করুন।
  • ২৪ ঘণ্টা ফ্রিজ চালিয়ে তাপমাত্রা স্থির থাকে কি না দেখুন।
  • No Frost ফিচার থাকলে ভালো হয়।
৫. শব্দের মাত্রা:
  • ভালো কম্প্রেসার কম শব্দ করে (৩০-৪৫ ডেসিবেল)।
  • উচ্চ শব্দ বা কম্পন থাকলে এটি নিম্নমানের হতে পারে।
৬. তাপ উৎপাদন ও দীর্ঘস্থায়িত্ব: কম্প্রেসার অতিরিক্ত গরম হয় কি না পরীক্ষা করুন। মানসম্পন্ন কম্প্রেসার ৮-১২ বছর পর্যন্ত ভালো কাজ করে।

৭. ওয়ারেন্টি ও বিক্রয়োত্তর সেবা: ভালো ব্র্যান্ড ৫-১০ বছরের ওয়ারেন্টি দেয়। সার্ভিস সেন্টারের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করুন।

ভালো ফ্রিজের কম্প্রেসার চেনার জন্য ইনভার্টার প্রযুক্তি, কম বিদ্যুৎ খরচ, কম শব্দ, দ্রুত ঠান্ডা করার ক্ষমতা, ওয়ারেন্টি এবং ব্র্যান্ড যাচাই করা জরুরি। এসব বিষয় বিবেচনায় নিলে টেকসই ও কার্যকর একটি ফ্রিজ পাওয়া সম্ভব।

ফ্রিজের কম্প্রেসার নষ্ট হওয়ার কারণ

ফ্রিজের কম্প্রেসার নষ্ট হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। নিচে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো—

১. ওভারলোড বা অতিরিক্ত চাপ: ফ্রিজে বেশি খাবার বা অতিরিক্ত ওজন রাখলে কম্প্রেসারকে বেশি কাজ করতে হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি করে। ফ্রিজের দরজা বারবার খোলা হলে কম্প্রেসার অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। অনেক সময় ভোল্টেজের ওঠানামা বেশি হলে কম্প্রেসারের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে।

২. বিদ্যুৎ সমস্যা (লো ভোল্টেজ/হাই ভোল্টেজ):

  • লো ভোল্টেজ: পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকলে কম্প্রেসার ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না, ফলে দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
  • হাই ভোল্টেজ: অতিরিক্ত ভোল্টেজের কারণে কম্প্রেসারের কপার কয়েল পুড়ে যেতে পারে।
  • সুরক্ষার জন্য ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করা উচিত।
৩. অতিরিক্ত গরম হওয়া (Overheating)
  • দীর্ঘক্ষণ অতিরিক্ত লোডে চললে কম্প্রেসার বেশি গরম হয়।
  • ভেন্টিলেশন ঠিক না থাকলে: (যেমন: ফ্রিজের পিছনে বাতাস চলাচল কম হলে) তাপ বের হতে পারে না।
  • ডার্টি কনডেনসার কয়েল: ফ্রিজের কনডেনসার কয়েলে ময়লা জমলে তাপ ঠিকভাবে বের হতে পারে না, ফলে কম্প্রেসার গরম হয়ে যায়।
৪. কুল্যান্ট (Refrigerant) লিক বা ঘাটতি: কম্প্রেসার গ্যাস (R134a, R600a) কমে গেলে বা লিক হলে কম্প্রেসার অতিরিক্ত পরিশ্রম করে, যা দ্রুত নষ্টের কারণ হয়। ফ্রিজে কুলিং ঠিকমতো না হলে বুঝতে হবে গ্যাস লিক হয়েছে।

৫. কম্প্রেসারের যান্ত্রিক সমস্যা
  • কম্প্রেসারের কয়েল বার্ন: বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে মোটরের ওয়্যারিং বার্ন হতে পারে।
  • বিয়ারিং বা পিস্টন ক্ষতিগ্রস্ত: এতে কম্প্রেসার ঠিকমতো কাজ করতে পারে না।
  • অয়েল লিক: কম্প্রেসারে থাকা লুব্রিকেশন অয়েল কমে গেলে ঘর্ষণ বাড়ে, ফলে নষ্ট হতে পারে।
৬. থার্মোস্ট্যাট বা রিলে সমস্যার কারণে: থার্মোস্ট্যাট নষ্ট হলে কম্প্রেসার ঠিকভাবে অন-অফ হয় না, ফলে অতিরিক্ত গরম হয়ে নষ্ট হয়ে যায়। স্টার্টিং রিলে বা ক্যাপাসিটার খারাপ হলে কম্প্রেসার চালু হতে সমস্যা হয়।

৭. পুরাতন বা নিম্নমানের কম্প্রেসার: নিম্নমানের কম্প্রেসার দীর্ঘমেয়াদে ভালো পারফরম্যান্স দেয় না। ১০ বছরের বেশি পুরাতন ফ্রিজের কম্প্রেসার ধীরে ধীরে কর্মক্ষমতা হারায়।

৮. ফ্রিজের ভুল সেটআপ বা ইনস্টলেশন সমস্যা: ফ্রিজের ব্যাকসাইড দেয়ালের সাথে লেগে থাকলে তাপ বের হতে পারে না, ফলে কম্প্রেসার গরম হয়ে নষ্ট হয়। নিচু বা কাত হয়ে বসালে কুল্যান্টের প্রবাহ ঠিকমতো হয় না।

সমাধান ও প্রতিরোধের উপায়:
  •  ফ্রিজে অতিরিক্ত লোড না দেওয়া।
  • নিয়মিত পরিষ্কার করা, বিশেষ করে কনডেনসার কয়েল।
  • ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করা।
  • থার্মোস্ট্যাট ও রিলে নিয়মিত চেক করা।
  • গ্যাস লিক হলে দ্রুত ঠিক করানো।
  • পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশন নিশ্চিত করা।
  • ভালো মানের ব্র্যান্ডের কম্প্রেসার বেছে নেওয়া।
ফ্রিজের কম্প্রেসার নষ্ট হওয়ার প্রধান কারণ হলো ওভারলোড, বিদ্যুৎ সমস্যা, অতিরিক্ত গরম হওয়া, কুল্যান্ট লিক, যান্ত্রিক ত্রুটি এবং নিম্নমানের কম্প্রেসার। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও সঠিক ব্যবহার করলে কম্প্রেসার দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।

ফ্রিজের কম্প্রেসার সমস্যা

ফ্রিজের কম্প্রেসারের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। কম্প্রেসারের সাধারণ সমস্যাগুলো নিম্নরূপ:

১. ফ্রিজ ঠান্ডা করছে না

সম্ভাব্য কারণ:
  • কম্প্রেসার ঠিকমতো কাজ করছে না।
  • কুল্যান্ট (গ্যাস) লিক হয়েছে।
  • থার্মোস্ট্যাট বা টেম্পারেচার সেন্সর নষ্ট।
  • স্টার্টিং রিলে বা ক্যাপাসিটর খারাপ।
  • কনডেনসার কয়েল ময়লা জমে ব্লক হয়ে গেছে।
সমাধান:
  • ফ্রিজের পাওয়ার সাপ্লাই ঠিক আছে কিনা চেক করুন।
  • কুল্যান্ট লিক হলে গ্যাস রিফিল করাতে হবে।
  • থার্মোস্ট্যাট ও স্টার্টিং রিলে পরীক্ষা করে নতুনটি লাগাতে হবে।
  • কনডেনসার কয়েল নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
২. কম্প্রেসার চলছে কিন্তু ফ্রিজ ঠান্ডা হচ্ছে না

সম্ভাব্য কারণ:
  • কুল্যান্ট (রেফ্রিজারেন্ট) কমে গেছে।
  • কনডেনসার ফ্যান ঠিকমতো কাজ করছে না।
  • কম্প্রেসারের প্রেসার কমে গেছে বা ইন্টারনাল ড্যামেজ হয়েছে।
সমাধান:
  • গ্যাস চেক করে প্রয়োজন হলে রিফিল করান।
  • কনডেনসার ফ্যান ও কয়েল ঠিক আছে কিনা দেখুন।
  • প্রয়োজনে কম্প্রেসার পরিবর্তন করুন।
৩. কম্প্রেসার অন-অফ হচ্ছে বারবার (বারবার ট্রিপ নিচ্ছে)

সম্ভাব্য কারণ:
  • ওভারলোড রিলে নষ্ট।
  • কম্প্রেসার অতিরিক্ত গরম হয়ে যাচ্ছে।
  • পাওয়ার ফ্লাকচুয়েশন (ভোল্টেজ ওঠানামা)।
  • ক্যাপাসিটর সমস্যা।
সমাধান:
  • ওভারলোড রিলে চেক করুন, প্রয়োজনে পরিবর্তন করুন।
  • ফ্রিজের পিছনে যথেষ্ট বাতাস চলাচলের জায়গা রাখুন।
  • ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করুন।
  • নতুন ক্যাপাসিটর লাগান।
৪. ফ্রিজ থেকে বেশি শব্দ আসছে (কম্প্রেসারের আওয়াজ বেশি)

সম্ভাব্য কারণ:
  • কম্প্রেসারের বিয়ারিং ক্ষতিগ্রস্ত।
  • কনডেনসার ফ্যান বা মোটর সমস্যা।
  • কম্প্রেসারের বডির সাথে পাইপ লেগে আছে।
  • ফ্রিজের পজিশন সঠিক নয়।
সমাধান:
  • ফ্রিজের অবস্থান ঠিক করুন (সমান স্থানে বসান)।
  • কম্প্রেসারের বডি ও পাইপের মধ্যে ফাঁকা জায়গা রাখুন।
  • ফ্যান বা মোটর চেক করুন, সমস্যা থাকলে সার্ভিসিং করান।
  • কম্প্রেসার যদি বেশি পুরাতন হয়, তাহলে নতুনটি লাগান।
৫. কম্প্রেসার বেশি গরম হয়ে যাচ্ছে


সম্ভাব্য কারণ:
  • ফ্রিজের ভেন্টিলেশন ভালো নয়।
  • অতিরিক্ত খাবার রাখার কারণে চাপ বেড়েছে।
  • কনডেনসার কয়েল ময়লা জমে ব্লক হয়েছে।
  • রেফ্রিজারেন্ট লিক হয়েছে, ফলে কম্প্রেসার বেশি পরিশ্রম করছে।
সমাধান:
  • ফ্রিজের পিছনে পর্যাপ্ত জায়গা রাখুন যাতে বাতাস চলাচল করতে পারে।
  • কনডেনসার কয়েল পরিষ্কার করুন।
  • কম্প্রেসারের গ্যাস চেক করান এবং প্রয়োজন হলে রিফিল করুন।
৬. ফ্রিজ চালু হচ্ছে না (কম্প্রেসার স্টার্ট নিচ্ছে না)

সম্ভাব্য কারণ:
  • পাওয়ার কানেকশন সমস্যা।
  • স্টার্ট রিলে বা ক্যাপাসিটর নষ্ট।
  • কম্প্রেসারের মোটর নষ্ট হয়ে গেছে।
সমাধান:
  • ফ্রিজের প্লাগ এবং সুইচ ঠিক আছে কিনা চেক করুন।
  •  নতুন রিলে বা ক্যাপাসিটর লাগান।
  • কম্প্রেসার পুরোদমে নষ্ট হলে নতুনটি লাগাতে হবে।
  • কম্প্রেসার সমস্যা প্রতিরোধের উপায়
  • বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখার জন্য স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করুন।
  • ফ্রিজে অতিরিক্ত খাবার বা ওজন রাখবেন না।
  •  নিয়মিত কনডেনসার কয়েল পরিষ্কার করুন।
  • ফ্রিজের পেছনে পর্যাপ্ত জায়গা রাখুন যেন বাতাস চলাচল করতে পারে।
  • গ্যাস লিক হলে দ্রুত সার্ভিসিং করান।
  • সঠিক তাপমাত্রায় ফ্রিজ ব্যবহার করুন, খুব কম বা বেশি করলে সমস্যা হতে পারে।
ফ্রিজের কম্প্রেসার নষ্ট হওয়ার প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত লোড, বিদ্যুৎ সমস্যা, বেশি গরম হওয়া, গ্যাস লিক এবং যান্ত্রিক ত্রুটি। যদি আপনার ফ্রিজের কম্প্রেসার সমস্যায় পড়ে, তাহলে প্রথমে বিদ্যুৎ সংযোগ, ক্যাপাসিটর, রিলে এবং গ্যাসের মাত্রা চেক করুন। সমস্যার ধরন বুঝে প্রয়োজনীয় সমাধান নিন অথবা একজন দক্ষ টেকনিশিয়ানের সাহায্য নিন।

ফ্রিজের ছবি 



































































































































































এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url